৫ বছর পেরিয়ে গেলেও নেই রোহিঙ্গা সমাধান!

মিয়ানমারের সেনা নির্যাতনের মুখে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণসহ নারকীয় নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের সেনারা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৫ বছর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট)।

মানবতার খাতিরে দেশহীন প্রায় দশ লাখ মানুষকে ঠাঁই দিয়েছিলো বাংলাদেশ। তাদের আশ্রয় দিয়ে এখন বিপাকে বাংলাদেশ। 

একদিকে যেমন আশার আলো নেই প্রত্যাবাসন উদ্যোগে তেমনি ক্যাম্পগুলো ঘিরে বাড়ছে নানা অপরাধ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, সংস্থার শীর্ষ প্রতিনিধিরা নিয়মিতই দেখতে আসেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প, অনুধাবন করার চেষ্টা করেন উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুর্বিষহ জীবন। দেন নানা আশ্বাস। কিন্তু সেই আশ্বাসেই ঘুরপাক খায় দেশহীন এসব মানুষের ঘরে ফেরার স্বপ্ন।

গেলো তিনবছর ধরে থেমে আছে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আলোচনা। ফলে আশাহীন রোহিঙ্গাদের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ। বিশেষ করে প্রত্যাবাসন চেষ্টাকারী নেতাদের পরিকল্পিত হত্যার ঘটনায় শংঙ্কিত তারা। রোহিঙ্গারা বরাবরই বলে আসছেন, পূর্ণ নাগরিক অধিকার পেলে ফিরতে প্রস্তুত নিজ দেশে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।

এদিকে রোহিঙ্গাদের ঘিরে মাদক, হত্যা, অস্ত্রের ঝনঝনানি, বন পাহাড় ধংস এবং স্বাস্থ্যখাতে বিপর্যয়সহ গেলো পাঁচবছরে ঘনীভূত হয়েছে নানা সংকট। তাতে স্থানীয়দের মাঝে বাড়ছে হতাশা-শংঙ্কা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশন বলছে, দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে কাজ করছে সরকার। এজন্য মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের তালিকা। আর জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, মিয়ানমারে ফেরার পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে সফল হবে না প্রত্যাবাসন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নারকীয় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় কমপক্ষে ১০ লাখ রোহিঙ্গা। যাদের রাখা হয়েছে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে।

টিআর

Recommended For You

Exit mobile version