Connect with us

বাংলাদেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েলের মনোভাব জানাল যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া প্রস্তাবে ইসরায়েল সমর্থন করেছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জ্যাক সুলিভান জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবে ইসরায়েলের সমর্থন রয়েছে। হামাসকে এজন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) ইতালিতে জি-৭ জোটের সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলেরে মধ্যকার যেসব পার্থক্য রয়েছে তা দূর করাই এখন মূল লক্ষ্য। এসময় তিনি হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

এর আগে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে বেশ কয়েকটি শর্তারোপ করে মূল্যায়ন রিপোর্ট মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে জমা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়, চুক্তিতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির তারিখ আগেই নির্ধারণ করতে হবে। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর আলোচনার মাধ্যমে তারিখ নির্ধারণে সম্মত নয় তারা।

Advertisement

হামাসের দাবি, গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু তাই নয়, মিসরের রাফাহ সীমান্তবর্তী এলাকায়ও ইসরায়েলি সেনা থাকতে পারবে না।

যুদ্ধ শেষ হলে গাজা পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা দেওয়ার কথাও বলেছে হামাস। এছাড়া, ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিষয়েও শর্তারোপ করেছে হামাস। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি কারাগারে থাকা সব হাইপ্রোফাইল বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ইসরায়েল কোনো আপত্তি করতে পারবে না।

এমআর//

বাংলাদেশ

সেন্টমার্টিনে আবারও খাদ্য সঙ্কট

Published

on

বাংলাদেশের দক্ষিণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আবারও খাদ্য সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দ্বীপ থেকে টেকনাফের নৌ যোগাযোগ ২০ দিন ধরে বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে নাফনদী ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নৌপথ ছাড়া যোগাযোগের আর কোনো তেমন পথ নাই।

আরেকটি বিকল্প সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজযোগে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ। এটা সময়সাপেক্ষ এবং শুধু জাহাজ দিয়েই সম্ভব।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, এখন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা চাইলে নাফ নদী ব্যবহার করে মূল ভূখণ্ডে যাতায়াত করতে পারেন।

আর আইএসপিআর আর জানিয়েছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

সেন্টমার্টিন টেকনাফের একটি ইউনিয়ন। জনসংখ্যা ১০ হাজারের মতো। সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, এই ২০ দিনে মাত্র একবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেন্টমার্টিনে খাদ্যসামগ্রী পঠানো হয়েছে। আর সেটা ছিল জেলে এবং যারা সরকারের ভিজিএফ কার্ডধারী৷ ফলে এখন খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

Advertisement

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের কিছু মানুষ জেলে আর অধিকাংশই কৃষক৷ চাহিদার ২০ ভাগ খাদ্যও এখানে উৎপাদন হয় না। জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ আছে৷ বন্ধ আছে পর্যটন। ফলে আয়ের উৎস যেমন বন্ধ তেমনি বাইরে থেকে খাদ্য আনারও কোনো সুযোগ নাই। আর তিন-চার দিনের মধ্যে যদি খাদ্য সরবারাহ করা না হয় তাহলে অনেককেই অনাহারে থাকতে হবে বলে তিনি জানান।

একই কথা বলেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ঈদ নাই৷ আতঙ্কে আর খাদ্য সংকটে আমাদের দিন কাটছে৷ দ্বীপের মানুষের হাতে কোনো কাজ নেই। নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কাজের জন্য কোথাও যেতে পারছেন না। দোকানে যে চাল, তেল, ডাল পাওয়া যাচ্ছে তার দাম অনেক৷ শাকসবজি শেষ হয়ে গেছে৷ ট্রলার চলাচল শুরু না হলে সামনের দিনে আমরা কী খাবো তাই ভেবে পাচ্ছি না।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কাল নতুন সময়সূচিতে অফিস করবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

Published

on

টানা পাঁচ দিন ছুটি উপভোগ শেষে কাল বুধবার (১৯ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি অফিস। এদিন থেকে এক ঘণ্টা বেশি অফিস করবেন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরেরা।

এবার সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি শুরু হয় গেলো রোববার (১৬ জুন)। শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন)। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা মোট পাঁচদিন ছুটি উপভোগের সুযোগ পান।

আগামীকাল বুধবার থেকেই সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সময়সূচি কার্যকর হচ্ছে। নতুন এ নিয়মে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিসহ) আট ঘণ্টা অফিস করতে হবে। গেলো ৬ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় ছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট সাত ঘণ্টা।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

বৃষ্টিতে ডুবলো সিলেট, ম্লান ঈদ আনন্দ

Published

on

সিলেট নগরীতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে নগরীর উপশহর, সোবহানীঘাট, জামতলা, তালতলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা। চৌখিদেখী থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার প্রধান সড়কও পানির নিচে। অনেকের বাসাবাড়ি, দোকানপাটেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসীরা। ঈদের আনন্দ পরিণত হয়েছে বিষাদে।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ; টানা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুকনো জায়গা না পেয়ে অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না। পানির মধ্যে বেঁধে রেখেছেন গরু-ছাগল। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।

একইভাবে মেজরটিলা, কদমতলী, বিমানবন্দর সড়ক, উপশহর, সুবহানিঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে পানি প্রবেশ করায় নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।

Advertisement

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version