লাইফস্টাইল
খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চল্লিশেও চালশে…
![লাইফস্টাইল,-পুরুষের--ডায়েট](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%9F.jpg)
শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে মেয়েরা যতটা সচেতন, পুরুষেরা ঠিক ততটাই উদাসীন। শরীরের খেয়াল রাখার বিষয়টি অনেক পুরুষেরই সিলেবাসের বাইরে। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায় চরম অবহেলা করেন অনেকেই। সময়ে খাবার খাওয়া তো দূর, কাজ আর ব্যস্ততার কারণে অনেকে খেতেই ভুলে যান। সেই সঙ্গে অন্যান্য অনিয়ম তো আছেই। একটা বয়স পর্যন্ত অনিয়ম আর অবহেলা শরীর সহ্য করে নেয়। কিন্তু বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোনোর পর খাওয়াদাওয়া নির্দিষ্ট রুটিন মেনে করা জরুরি বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকেদের।
চলুন জেনে নেই চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষের ডায়েট রুটিন কেমন হবে-
প্রোটিন বেশি খেতে হবে
৪০ পেরনো মানেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হয়। সেই ঘাটতি পূরণ করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। মুরগির মাংস, গ্রিক ইয়োগার্ট, ডিম, বাদাম হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। এই খাবারগুলি খেলে প্রোটিনের শূন্যস্থান তৈরি হবে না।
ফল এবং শাকসব্জি খাওয়া জরুরি
সুস্থ থাকতে যেকোনও বয়সে ফল, শাকসব্জি খাওয়া জরুরি। তবে ৪০-এর পর বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। একটা করে ফল এবং সবুজ শাকসব্জি প্রায় প্রতিদিনই খাওয়া প্রয়োজন। ফল-সব্জিতে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়।
হোল গ্রেন খেতে পারলে ভাল
ফাইবার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস হল বিভিন্ন ধরনের শস্য। সেই ধরনের খাবার বেশি করে খেতে হবে। ফাইবার হজমের গোলমাল দূর করে। তা ছাড়া রক্তচাপের মাত্রা বশে থাকে। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে এমনকি হার্টও ভাল থাকে। ব্রাউন রাইস, ওট্স, বার্লির মতো খাবার খেতে পারলে ভাল।
রেসিপি
স্পাইসি বিফ কাবাব রান্না করবেন যেভাবে
বিশেষ কোনো অকেশনে খাবারের মেন্যুটা হতে হয় একদম স্পেশাল, তাই না? উৎসব মানেই তো পোলাও, মাংস ভুনা, কোফতা, দই আরও কত মজার মজার খাবার! কিন্তু সাথে কাবাব না থাকলে কিন্তু মেন্যুটা ইনকমপ্লিট থেকে যায়। শেষ হলো কুরবানির ঈদ। এখন সবার ঘরেই গরু মাংস। তাই অতিথিদের অপ্যায়ন বা নিজের খাবার জন্য জটপট রান্না করুন বিফ টিকিয়া বা বিফ কাবাব। অল্প সময়ে হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়েই মজাদার কাবাব বানিয়ে নেয়া যায়। স্পাইসি বিফ কাবাব তৈরি করতে কী কী লাগছে, চলুন জেনে নেই।
কী কী উপকরণ লাগবে?
গরুর মাংস- ৫০০ গ্রাম (হাড় ছাড়া)
ছোলার ডাল বা বুটের ডাল- ২ কাপ
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ- ৪টি
লবণ- পরিমাণমতো
পেঁয়াজ কুঁচি- ২ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ কুঁচি- ২ টেবিল চামচ
গোল মরিচের গুঁড়ো- হাফ চা চামচ
গরম মশলার গুঁড়ো- হাফ চা চামচ
ডিম– ১টি
তেল- কাবাব ভাজার জন্য
কীভাবে তৈরি করবেন স্পাইসি বিফ কাবাব?
১. হাড় বাদে শুধুমাত্র সলিড মাংসের পিস নিতে হবে। প্রথমেই মাংসের পিসগুলো কিমা করে নিন।
২. এবার প্রেশার কুকারে ২ কাপ পানিতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, শুকনো মরিচ, গরম মশলার গুঁড়ো, ছোলার ডাল ও মাংসের কিমা একসাথে দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।
৩. পানি শুকিয়ে মাংস ও ডাল নরম হয়ে গেলে ব্লেন্ডার বা শিলপাটায় ভালোভাবে বেটে নিতে হবে।
৪. এবার পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, গোল মরিচের গুঁড়ো, ডিম ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালোভাবে কাবাবের মিশ্রণ বানিয়ে নিন। ডিম দিলে খুব ভালোভাবে বাইন্ডিং হয়।
৫. এবার পছন্দমতো শেইপে কাবাব বানিয়ে নিন। একটু বেশি ঝাল ঝাল কাবাব খেতে চাইলে চিলি ফ্লেক্স বা বোম্বাই মরিচ অ্যাড করতে পারেন।
৬. ফ্রায়িং প্যানে তেল গরম করতে দিন। ডুবো তেলে কাবাবগুলো ভাজতে হবে। তেল ভালোভাবে গরম হয়ে গেলে কাবাব এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নিন। খুব বেশি জোরে তাপ দিবেন না, এতে কাবাবগুলো পুড়ে যাবে।
ব্যস, স্পাইসি বিফ কাবাব বা বিফ টিকিয়া রেডি টু সার্ভ। বিরিয়ানি, পোলাও, খিচুড়ি সবকিছুর সাথেই বেশ ভালো মানিয়ে যায় এটি। বাচ্চাদের টিফিনেও দিতে পারবেন এই কাবাবটি।
জেএইচ
পরামর্শ
ঘুম থেকে উঠার পর শরীর ব্যথা হয় কেন?
সারাদিন ব্যস্ততার পর রাতে আমরা ঘুমাতে যাই। পরিপূর্ণ ঘুমের পর সকালে দেহ ক্লান্তি কাটিয়ে সারাদিন কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকবে এমনটিই আশা করে সবাই। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে, প্রায় প্রতিদিন অকারণে দেহে এক ধরনের ব্যথা জড়িয়ে আড়ষ্টতা নিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠছেন, তার পেছনে এই কারণগুলো থাকতে পারে-
১. ভালো ঘুমের অভাব
আপনি রাতে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমালেও যদি ঘুমের গুণগত মান ভালো না হয়, সেক্ষেত্রে শরীর খারাপের জন্য এটি একটি কারণ হিসেবে দায়ী। এক্ষেত্রে বারংবার ঘুম ভেংগে যাওয়াকে ঘুমের গুণগত মান খারাপ হওয়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী করা হয়। আপনি যদি ভালোভাবে না ঘুমান, তাহলে শরীরের কোষ ও টিস্যুগুলো রিপেয়ার হতে পারে না, যার ফলে সকালে শরীর ব্যথা হয় এবং অলসতা কাজ করে।
২. দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস
অতিরিক্ত কাজ থেকে শুরু করে অত্যাধিক ব্যায়াম- এমন অনেক কারণ রয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে করতে থাকলে মানুষ স্ট্রেসড অনুভব করে। আপনার প্রতিদিন সকালে শরীরের ব্যথা নিয়ে জেগে উঠার এটাও একটি কারণ হতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রেসে থাকেন এবং সারাদিন ধরে টেনশন অনুভব করেন, তবে এটি পেশিতে ব্যথা হওয়ার জন্য কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। কোন বিষয়টি আপনাকে মানসিকভাবে চাপে রেখেছে সে সম্পর্কে কারো সাথে পরামর্শ করুন।
৩. আপনি যথেষ্ট ব্যায়াম করছেন না
আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন যে, ব্যায়ামের অভাব ঘুম থেকে উঠার সময় আপনার শরীরে ব্যথা অনুভব করার কারণ হতে পারে। সপ্তাহে পাঁচ দিন অন্তত ৩০ মিনিটের ইয়োগা বা অন্যান্য শারীরিক ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে বাইরে গিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় বাস-রিকশা না নিয়ে কিছুটা পথ হেঁটে যেতে পারেন। তাছাড়াও লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি জিমে গিয়ে ব্যায়াম ক্লাসে যোগদান করতে পারেন।
৪. আপনি খুব বেশি ব্যায়াম করছেন:
ব্যায়ামের অভাব যেমন সকালে পেশি ব্যথার কারণ হয়ে থাকে, তেমনি খুব বেশি ব্যায়ামও আপনার ঘুম থেকে উঠার সময় ভয়ঙ্কর পেশি ব্যথার কারণ হতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত জিমে যান এবং মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, তাহলে ঘুম থেকে উঠার সময় আপনার পুরো শরীরে ব্যথা হতে পারে। আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় বিশ্রামের জন্য সময় দিতে প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম দুইদিন ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঘুম থেকে উঠার পর শরীর ব্যথা কমাতে যা খাবেন
আপনি যদি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ না করেন তবে এটি শরীরের উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলবে। পেশিতে ব্যথার জন্য স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, গম ও অ্যালকোহল আছে এমন খাবার দায়ী।
তাই ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো-
তৈলাক্ত মাছ
ফল ও শাকসবজি
বাদাম ও বীজ
মশলা, যেমন: আদা ও হলুদ
সুস্থতা নিশ্চিত করতে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে একটি ভালো মানের ডায়েট প্ল্যানের পাশাপাশি পরিপূর্ণ ঘুম ও পরিমিত ব্যায়াম নিশ্চিত করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজের অবস্থার পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন।
জেএইচ
পরামর্শ
মোবাইলের প্রতি শিশুর আসক্তি দিন দিন বাড়ছে? যেভাবে এই অভ্যাসে রাশ টানবেন
কোভিড-পরবর্তী সময়ে শিশুরা মোবাইলের প্রতি এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে, তার কুপ্রভাব পড়ছে ওদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর। স্কুলের পড়াশোনাই হোক কিংবা খেলাধূলা- শিশুদের গোটা জগৎটাই এখন মোবাইল-নির্ভর হয়ে গেছে।
যত দিন এগোবে ততই ‘ডিজিটাল ডিভাইসের’ ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে, তা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু অল্পবয়সিদের মধ্যে ডিজিটাল-আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাবটি উপেক্ষা করার নয়।
আগেকার মতো বিকেল হলেই বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ঘুরে বেড়ানো বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে নয়, স্মার্টফোনের ভার্চুয়াল বন্ধুত্বেই অধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করছে এখনকার বেশির ভাগ শিশু। আপাতদৃষ্টিতে এই পরিবর্তনগুলি নগন্য বোধ হলেও সমাজজীবনের ক্ষেত্রে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
সমাজ ও সামাজিকতা- ধীরে ধীরে এই দুই বিষয় থেকেই অনেকটাই দূরে চলে যাচ্ছে শিশুর। কেউ অজান্তেই, কেউ আবার জেনেবুঝেই অন্তর্জালে গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেদের। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিশুরা অনেক বেশি হিংসাত্মক আচরণ করে- এর পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই ডিজিটাল-আসক্তিই দায়ী।
কীভাবে মোবাইল-আসক্তি কমাবেন?
১. যখন-তখন নয়, একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুকে স্মার্টফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিন। তবে তখন শিশু স্মার্টফোনে কী করছে বা কী দেখছে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। খেলাধুলো, নাচ, গান যে বিষয়ে শিশুর আগ্রহ আছে, সে সব বিষয়ে মন দিতে উৎসাহী করে তুলুন খুদেকে। পড়াশোনার জন্য খুদে ফোন ব্যবহার করলে, সেই সময়টা ও পড়াশোনার কাজই করছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
২. শিশু যদি অনলাইনে ক্লাস করে, তা হলে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে সে কী করছে, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৩. শিশুর স্মার্টফোনের আসক্তি কাটাতে আপনাকে ওর জন্য সময় বার করে নিতে হবে। ওর জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন। তখন শিশুর মনের কথা শুনুন, শিশুর সঙ্গে খেলুন, ওর সঙ্গে গল্প করুন।
৪. আপনি যদি খুব বেশি প্রযুক্তিতে আসক্ত হন, তা হলে স্বাভাবিক ভাবে আপনার সন্তানও সেই কাজই করবে। তাই আগে নিজের আসক্তি দূর করুন।
৫. ঘুমোনোর ঘণ্টাখানেক আগে শিশুকে ফোন, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে নিষেধ করুন। প্রয়োজনে বলে বা বুঝিয়ে শাসন করুন
-
বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
-
ক্রিকেট6 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
-
বাংলাদেশ6 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
-
বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
-
বাংলাদেশ7 days ago
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে তিন শর্ত পুতিনের