Connect with us

ঢাকা

বসুন্ধরায় এসি বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ১ জনের মৃত্যু

Published

on

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা, সন্তান ও বোনের পর মারা গেছেন দগ্ধ রকসি আক্তার (২০)। এ নিয়ে ঘটনাটিতে দগ্ধ পরিবারটির ৪জনই মারা গেলেন।

রোববার (১৬ জুন) ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যাান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রকসি।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জন ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ।

তিনি জানান, রকসির শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।

এর আগে গেলো ১২ জুন ভোরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রকসির ছেলে আয়ান (৩) ও ১৩ জুন বিকেলে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান রকসির বোন ফুতু আক্তার (১৮)। আর গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) মারা যান। তার ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

Advertisement

গেলো সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রকসি আক্তারের দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। আয়ানের বাবা সিরাজুল মোস্তফা দুবাই প্রবাসী। আয়ানের মা রকসির ব্রেইন টিউমার হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখে তারা সপরিবারে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। হাসপাতালটির পাশের ওই ভবনের নিচ তলায় একটি বাসায় ভাড়ায় ওঠেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন।

তিনি আরও জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় বাসার এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে রুমের মধ্যে থাকা শিশুসহ পরিবারটির চারজন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে এভারকেয়ার হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

ঢাকা

পুরস্কারের আশায় জীবন্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাজির কৃষক

Published

on

৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবন্ত  রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নিয়ে প্রেসক্লাবে হাজির হয়েছেন রেজাউল খান (৩২) নামে এক কৃষক। তবে সাপটি জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নেয়ার জন্য বন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে বন বিভাগ প্রাপ্তী স্বীকারপত্র দিতে অপরগতা প্রকাশ করে। এর আগে ফরিদপুরে প্রতিটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারার বিপরীতে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

রোববার (২৩ জুন) জীবন্ত সাপ ধরার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া।

কৃষক রেজাউল জানান, ফসলি জমিতে চাষ করার সময় রাসেলস ভাইপারটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সেটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন।

ফরিদপুর পৌরসভার ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, সাপ ধরার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, সরিসৃপ জাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান রেই। ধরাটাই একটি অপরাধ। কারো জালে আটকে গেলে সে অন্য কথা। তাই আইনগতভাবে তিনি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে পারেন না। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন বিভাগে অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেল ভাইপার জমা দেয়া চেষ্টা করছে। এ নিয়ে তারা বিপদের মুখে পড়েছেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

প্রেমিকের বাড়িতে ফাঁস নিলেন প্রেমিকা

Published

on

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন শান্তা আক্তার (২৩)। কিন্তু তার আসার খবরে ঘরে তালা দিয়ে লাপাত্তা হন প্রেমিক সোহাগ। তার বা‌ড়িতে ৪‌ দিন অবস্থান নেয়ার পরও প্রেমিক‌ না আসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক সন্তানের জননী শান্তা।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নাগাবড়ি ইউনিয়নের খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের বা‌ড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কালিহাতী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পলাতক প্রেমিক সোহাগ ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় সোহাগের বাবা ও মাকে আটক করেছে পু‌লিশ। মৃত শান্তা আক্তার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।

জানা যায়, এক বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয় গৃহবধূ শান্তার। এরপর থেকে তাদের দুইজনে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এছাড়া শান্তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছিলেন সোহাগ। পরে বিয়ের জন্য শান্তা সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন ও স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে সোহাগের বা‌ড়িতে চলে আসেন। তবে শান্তার আসার খবরে বা‌ড়ি থেকে পা‌লিয়ে যান সোহাগ। পরে তার বা‌ড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে শান্তা। এরপরও প্রেমিক না আসায় তিনি ওই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন।

এর আগে বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো সমাধান পাননি শান্তা আক্তার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।

Advertisement

এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় প্রেমিকের বাবা ও মাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

আবাসিক হোটেলে অভিযান, আটক ২০ তরুণ-তরুণী

Published

on

ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটকদের মধ্যে পাঁচ নারী ও ১৫ জন পুরুষ রয়েছেন।

শনিবার (২২ জুন)  শহরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজার সংলগ্ন হোটেল গুলশান ও খড়িপট্টিতে অবস্থিত ৫টি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন— আবেদ আলী (২৪), চুন্নু মোল্যা (৩৪), তাপস বিশ্বাস (১৯), রোজিনা আক্তার (৩২), ডালিয়া আক্তার (২২), শম্পা আক্তার (২১), সন্ধ্যা (২৫), ফয়সাল ফকির (২৮), ফয়সাল খান (২২), মো. শাহীন শেখ (২৫), মেহেদী হাসান (২৩), আহম্মদ শেখ (২৩)।

ওসি মো. হাসানুজ্জামান জানান, ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, বোর্ডিংয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এসময় হোটেল গুলশান, হোটেল নুর আবাসিক, সকাল-সন্ধ্যা আসাবিক, ভাই-ভাই হোটেল, নিবর বোর্ডিং থেকে পাঁচ নারী ও ১৫ জন পুরুষকে আটক করে থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version