Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে নিহত ২, আহত ১৪

Published

on

নিউইয়র্কে-বন্দুকধারীর-গুলিতে-২-বাংলাদেশি-নিহত
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ওল্ড সেটেলারস পার্কে গোলাগুলিতে ২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। নিহতের পরিচয় পুলিশ জানায়নি।

গেলো শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১ টায় জুনটেন্থ উৎসবের সময় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার রাউন্ড পুলিশ প্রধান অ্যালেন ব্যাংকস বলেন, একটি কনসার্টে দুই গ্রপের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হলে এই গোলাগুলির ঘটে। ঘটনাস্থলে নিহত দুজন বাদানুবাদে জড়িত ছিলো না। আর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অ্যালেন ব্যাংকস আরো জানায়, তদন্তের পাশাপাশি পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজছে।

আন্তর্জাতিক

এবার কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই

Published

on

এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। দিল্লির আদালত থেকেই সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এর আগে এই একই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়ার পরেই তিহাড়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের একটি দল। তার বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। বুধবার (২৬ জুন) তাকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছিল সিবিআই।

সে অনুযায়ী, বুধবার দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক কেজরিওয়ালকে হাজির করেন তিহাড় কর্তৃপক্ষ। দুই পক্ষই বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের সামনে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। সেখানেই সিবিআই কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন করে।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আইনজীবী আদালতে বলেন, আবগারি মামলার তদন্তের অগ্রগতির জন্য কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়। যদিও কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, তাকে কোনো নোটিস ছাড়াই জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় গেলো ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর কয়েক দফা ইডির হেফাজত শেষে তাকে তিহাড় কারাগারে পাঠান বিচারক। গেলো বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। তবে শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে ইডি। পরবর্তীতে কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাইকোর্ট।

Advertisement

শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাইকোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায় স্থগিত ছিল। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে যান কেজরিওয়াল।

নিম্ন আদালত যখন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলো তখন শীর্ষ আদালতে কেজরিওয়ালের মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চের সামনে দিল্লি হাই কোর্টের মঙ্গলবারের নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়। তারপরই শীর্ষ আদালত কেজরিওয়ালকে তার পুরোনো আবেদন তুলে নিয়ে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেয়।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললো পেন্টাগন

Published

on

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।

বুধবার (২৬ জুন) পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর মনে করে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে পেন্টাগন অ্যাক্রেডিটেড সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সাথে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে আমি কী তা জানতে পারি?

জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন– ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গেলো মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই– বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

গেলো মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভারতে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী

Published

on

প্রথমবারের মতো কোনো সাংবিধানিক পদে পেলেন রাহুল গান্ধী। ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিও কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে। গেলো ১০ বছর লোকসভায় কোনো বিরোধী নেতা ছিলেন না। কারণ, বিরোধী দলনেতার পদ পেতে গেলে লোকসভার মোট আসনসংখ্যার দশ শতাংশ বা ৫৪টি আসনে জিতে আসতে হতো। গেলো ১০ বছরে কোনো বিরোধী দলই এতগুলি আসন পায়নি। কংগ্রেস এবার ৯৯টি আসন পেয়েছে। ফলে তারা এবার বিরোধী নেতার পদ পেল।

বুধবার (২৬ জুন) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহাতবকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকেই বিরোধী নেতার পদের জন্য মনোনীত করেছে। ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিও কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। ২০০৪ সালে আমেঠি থেকে জিতে লোকসভায় প্রবেশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর দশ বছর কেন্দ্রে ইউপিএ-র সরকার ছিল। সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অনেকবার রাহুলকে মন্ত্রী হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি।

২০১৭ সালে রাহুল কংগ্রেস সভাপতি হন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আবার ভরাডুবি হওয়ায় রাহুল ইস্তফা দেন। তারপর তিনি আর দলের দায়িত্ব নেননি। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতার দায়িত্বও নেননি। কিন্তু এবার কংগ্রেসের ফল ভালো হওয়ায়, তাদের শক্তি অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর রাহুল বিরোধী নেতার পদ নিতে রাজি হয়েছেন। ফলে এই প্রথমবার তিনি কোনো সাংবিধানিক পদে গেলেন।

শুধু তাই নয়, এই প্রথমবার লোকসভায় তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। লোকসভায় সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এক হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর কাজটা তাকেই করতে হবে। স্পিকার পদে কংগ্রেসের প্রার্থী স্পিকারের পদ নিয়ে এবার ভোটাভুটি হবে। স্পিকারের পদে এনডিএ-র প্রার্থী হলেন গতবারের স্পিকার ওম বিড়লা।

Advertisement

কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি ছিল, রীতি মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের দিতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বিরোধীদের অনুরোধ করেছিলেন, ডেপুটি স্পিকারের বিষয়টি নিয়ে পরে ফয়সালা হবে। আগে স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে সমর্থন করুক বিরোধীরা। এরপর কংগ্রেস আটবারের সাংসদ সুরেশকে স্পিকার পদে প্রার্থী করেছে। সুরেশ এই লোকসভায় সবচেয়ে বেশিবার জিতে আসা সাংসদ। কংগ্রেসের দাবি ছিল, তাকেই প্রোটেম স্পিকার করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। প্রোটেম স্পিকার হয়েছেন ভর্তৃহরি মহাতব।

কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, সরকার ডেপুটি স্পিকারের পদ নিয়ে অনড় মনোভাব দেখানোর পর দলিত নেতা কে জি সুরেশকে প্রার্থী করা হয়। এর পিছনে একটা রাজনৈতিক বার্তা আছে। তৃণমূলের ক্ষোভ স্পিকার পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার সামান্য আগে কংগ্রেস একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায়, স্পিকারের পদের জন্য সুরেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এরপর তৃণমূল জানিয়েছিল, কংগ্রেস এইভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ইন্ডিয়া শরিকদের সঙ্গে কেন আলোচনা করা হলো না, সেই প্রশ্নও তোলে তারা। রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলির নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে তৃণমূলের দুই নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েন গেছিলেন।

ওই বৈঠকে ঠিক হয়, ইন্ডিয়ার সব শরিক দল সুরেশকে সমর্থন করবে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বকে তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন একতরফা সিদ্ধান্ত না নেন। তবে স্পিকার পদে লড়াই হলেও লোকসভায় এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে ওম বিড়লার দিকেই পাল্লা ভারী।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, ভিপি নরসিমহা রাও, বাজপেয়ী, মনমোহনের আমলে বিরোধী দলের থেকেই ডেপুটি স্পিকার হয়েছেন। সেই রীতি মানা হচ্ছে না বলেই, তারা একজন প্রবীণ দলিত নেতাকে স্পিকারের পদে দাঁড় করিয়েছেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version