Connect with us

জাতীয়

এবার দ্বিপক্ষীয় সফরে শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন সরকারপ্রধান।

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটি হবে কোনো সরকারপ্রধানের ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।  চলতি মাসে এটি হবে তাঁর দ্বিতীয়বারের মতো দিল্লি সফর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন।

বুধবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুন নয়াদিল্লী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষে ২১-২২ জুন নয়াদিল্লী অবস্থান করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গী দল।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সফরকালে ২২ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লীর ফোরকোর্টস্থ রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র সালাম গ্রহণ ও গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে আনুষ্ঠানিক ছবিও তোলা হবে এই সংবর্ধনা পর্বে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজঘাটে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পরিদর্শন বইয়ে সাক্ষর করবেন।’

Advertisement

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও  বলা হয়,  ‘একইদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক উপলক্ষে হায়দ্রাবাদ হাউস গমন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ ও  চুক্তি বিনিময় এবং দুই নেতার প্রেস বিবৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এখানে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজ আয়োজনের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার আয়োজনও থাকছে এই পর্বে।

সফরের শুরুর দিন ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর।

২২ জুন বিকালে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখার এর সাথে তাঁর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাত করবেন।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপরাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গমন করবেন। এসময় ভারতের রাষ্ট্রপতি মিজ দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফরসঙ্গী দল ২১ জুন শুক্রবার বেলা দুইটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে পালাম বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

Advertisement

দুদিনের এ সফর শেষে ২২ জুন স্থানীয় সময় অপরাহ্ন ৬ টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে আছে—আন্তঃসীমান্ত সংযোগ উদ্যোগ, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ, মোংলা বন্দরের ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ বাণিজ্য।  এছাড়া, একটি সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

জাতীয়

দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়? বিএনপির কাছে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

Published

on

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সংগৃহীত ছবি

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে দেশে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে, আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন চীন থেকে আসার পর তারা বলে কি না, চীনের কাছেও দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। যেখানেই যাই তারা বলছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিএনপির কাছে আমার আমার প্রশ্ন, দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়?’

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব এসব কথা বলেন। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতিটাই অনুসরণ করে চলেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখে বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে। সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেছে।’

‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং আমরা অত্যন্ত সফলভাবে সেটি করে চলেছি’ মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে কিছুদিনের বিরতিতে তিনি এখন চীন সফরে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত চমৎকার ও ভালো সম্পর্ক।’

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিকট প্রতিবেশী ভারত যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের পাশে ছিল না তারাও আমাদেরকে সহায়তা করছে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে, আমাদের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির এই সফলতা। এটি বিএনপিসহ অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করে।’

Advertisement

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার সরকার মাথা উঁচু করে চলে। শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নোয়াবার নয়, এটি মনে রাখতে হবে। খেপাটে মেজাজের রিজভী সাহেব কী বলল, ঢুলঢুলে মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বলল, শিক্ষিত হয়েও মীর্জা ফখরুল সাহেব অশিক্ষিতের মতো কথা বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সেটিই করে চলেছেন।’

‘গণমাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নতি প্রতিফলিত হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি, প্রতিটি মানুষের জীবন মানের উন্নতি, সেটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। সেটি অনেক সময় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। সমাজের অসংগতি কিংবা দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা যতটুকু প্রতিফলিত হয়, সমাজের উন্নতি, রাষ্ট্রের উন্নতি কিংবা দায়িত্বশীলদের সফলতা সেটি অনেক সময় ততটুকু প্রতিফলিত হয় না, সেটি হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।’

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে’র মহাসচিব দীপ আজাদ।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু হচ্ছে

Published

on

মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকরীদের সুবিধার্থে ৯৫টির পরিবর্তে ডাটা প্যাকেজ ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমতে থাকে। ইন্টারনেট প্যাকেজ থেকে যে আয় হয়, তাতেও ধস নামে মোবাইল অপারেটরগুলোরও।

তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাটা প্যাকেজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। গেলো বছরের অক্টোবরে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

অপারেটরগুলো জানায়, গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল ৩ দিনের। এটা বন্ধ করায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমে যায়। এতে তাদের আয়ে ভাটা পড়ে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ চালুর দাবি জানাতে থাকেন মোবাইল অপারেটরগুলো।

অপারেটর ও গ্রাহক—উভয়পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশের পর এক জরিপ দেখা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তিনদিনের ডাটা প্যাকেজ ব্যবহার করেন। তারা পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের এ প্যাকেজ চালুর দাবিও জানান।

বিটিআরসির এক বৈঠকে সম্প্রতি এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রাহকদের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে প্যাকেজ সাজানোর পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।

Advertisement

সম্প্রতি বিটিআরসিতে কলড্রপ সংক্রান্ত সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমে বলেন, গণশুনানিতে দেখেছি, গ্রাহকদের কাছে ছোট প্যাকেজগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। জনপ্রিয় প্যাকেজগুলো যেন আমরা পুনরায় চালু করি, সেই নির্দেশনা আছে।

তিনি আরও বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অপারেটরগুলোকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে। আশা করি দ্রুত ছোট প্যাকেজগুলো আবারও ফিরে পাবেন গ্রাহকরা।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

Published

on

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহবাগ ছাড়ার আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার (০৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ (অবরোধ) কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, শুধু শাহবাগ মোড় নয়, রাজধানীর প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা নেমে এসে কর্মসূচি সফল করবেন। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন।

এ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।

Advertisement

এর আগে, কোটা বাতিলের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো শনিবার বিকেলে অন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিলে নিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে আসেন তারা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামছেন।

Advertisement

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version