চট্টগ্রাম
পানি নেমে যাওয়ায় টেকনাফে ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষত
কক্সবাজারের টেকনাফে বন্যা কবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যায় ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠছে। পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গেল বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢল নেমে না আসার কারণে প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান।
সরজমিনে দেখা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের উপর দিয়ে পানি নেমে গেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফসলি জমিতে পানি রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বসত ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে ঘরে ফিরছেন।
হ্নীলার বাসিন্দা সৈয়দ আলম জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের পানি তার বাড়িতে কোমর সমান পানি ঢুকে পড়েছিল। গতকাল বিকেলের পর থেকে আর বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নেমে যাচ্ছে। বাড়ির অধিকাংশ জিনিসপত্র ভিজে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে পাশাপাশি নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে না পারায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। নাফনদীর কয়েকটি সুইচগেট নির্মাণাধীন থাকায় পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পরে বাঁধের বিভিন্ন অংশে কেটে দিলে পাহাড়ি ঢলের পানি নাফনদীতে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের স্ব স্ব ইউনিয়নের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
হ্নীলার ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে নাফনদীর তীরে নির্মাণাধীন সুইচগেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। গতকাল জোয়ারের পানির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
আই/এ
চট্টগ্রাম
আবারও থানচিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় আবারও পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে থানচি উপজেলার দর্শনীয় কয়েকটি পর্যটন স্পট খুলে দিলেও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আবারও উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন।
এর আগে, বান্দরবানের নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতার কারণে ২০২২ সালে অক্টোবর থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে দফায় দফায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গেলো বছরের শেষের দিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেএনএফ ২ ও ৩ এপ্রিল থানচি ও রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র লুটের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেএনএফের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে। ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে তিন উপজেলায় অঘোষিতভাবে পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
আই/এ
চট্টগ্রাম
টেকনাফে ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় রোহিঙ্গাসহ২ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ জুন) উপজেলার মহেশখালীয়া পাড়া নৌঘাট সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭জুন) র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী এসব বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলো, বালুখালী ক্যাম্প-০৯, ব্লক-এইচ/২৪, এর মৃত সুলতান আহমেদ এর ছেলে মো. অছি উল্লাহ(৩৭) ও সাবরাং ইউনিয়নের ডেগিলার বিল এলাকার মো. হাকিম আলীর ছেলে মোঃ ছব্বির আহম্মদ(৩৯)।
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বলেন, মহেশখালিয়াপাড়া ঘাট সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করে। পরে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত আলামতসহ মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম-ইলিশ-রসগোল্লা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম, ইলিশ মাছ ও রসগোল্লা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম, ৫০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৫০ কেজি রসগোল্লা হস্তান্তর করা হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় উপহারগুলো গ্রহণ করেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কার্গোওয়ার্ল্ড লজিস্টি নামে ঢাকার একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপহারসামগ্রীগুলো হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গেলো ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৫০০ কেজি আনারস উপহার পাঠান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
এই শুভেচ্ছা উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধুর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে। আমাদের মধ্যে সহমর্মিতা-সহাবস্থান বজায় আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারগুলো পৌঁছে দেয়া হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম তালুকদার, আগরতলা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা দিব্যেন্দু ভৌমিক ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের পরিদর্শক খাইরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএস/
-
আবহাওয়া1 day ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি8 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
অপরাধ23 hours ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
-
টুকিটাকি1 day ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
-
ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
-
জাতীয়10 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
-
আইন-বিচার1 day ago
পাহাড়ের নিচে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন আনার হত্যার আসামিরা
-
আন্তর্জাতিক3 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…