সিলেট
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে বানের পানি থৈ থৈ করছে। এ দুই উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি আছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) সুরমা নদীর দিরাই ও ছাতক পয়েন্টে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বায়ান্ন টিভিকে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জ সদরের পশ্চিম লালপুর, পূর্ব লালপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মল্লিকপুর, মুক্তিরখলা গ্রামে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমেছে। বিশেষ করে জগন্নাথপুর উপজেলা পানি এখনো কমে নাই। অল্প অল্প করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এই উপজেলার জনসাধারনের দূর্ভোগ চরমে গিয়েছে।
সুরমা নদীর পানি শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর নদীতে স্রোত না থাকায় পানি ধীরগতিতে কমছে বলে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সদর উপজেলার মঈনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া বন্যার প্রকোপ রোধে ২০টি নদী খনন করার কথা জানান মন্ত্রী।
মল্লিকপুর গ্রামের রাসেল মিয়া জানান, বাড়ি থেকে পানি নেমেছে কিন্তু এখনো চলাচলের সড়ক ডুবে আছে। পানি ঘর থেকে কমলেও বসবাসের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। বানের পানিতে গোলার ধানসহ ঘরের আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুনামগঞ্জের নদী পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও প্রায় তিন দিন সময় লাগবে।
আই/এ
দুর্ঘটনা
সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোগলাবাজার-মাইজগাঁও সেকশনের কটালপুর এলাকায় ট্রেনের পাঁচ-ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধারে কুলাউড়া থেকে একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ হতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। তারপর পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এএম/
অপরাধ
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজনই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কর্মী। একই ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে চারটায় এ ঘটনা ঘটে। চলন্ত ট্রেনটি ওই সময় লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। ভোরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী হলেন মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছর বয়সী এক তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি ভৈরব থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন। ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন। তার বাড়ি বান্দরবানে। তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত আসমিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করা হয়েছে। ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছে আজ সকাল ৮টায়।
এএম/
সিলেট
খুলে দেয়া হয়েছে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৭টি পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রগুলো হলো- গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, রাতারগুল ও বিছনাকান্দি,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল।
রোববার (২৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম।
কোম্পানিগঞ্জ এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ইউএনও জানান, চলতি মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পর দুই দফা পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম ধাপে গত ৩০ মে সিলেটের সব কটি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ৭ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়।
তাঁরা আরও জানান, দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে ১৮ জুন থেকে আবারও সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার থেকে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গোয়াইনঘাটের ইউএনও জানান, পর্যটকদের বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। মাঝিদের একইভাবে সাবধানতার কথা বলা হয়েছে। যারা সাঁতার জানেন না কিংবা যাদের বয়স ১২ বছরের কম তাদেরকে পানিতে না নামার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আই/এ
-
আবহাওয়া1 day ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি11 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
অপরাধ1 day ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
-
আন্তর্জাতিক6 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
-
ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
-
টুকিটাকি1 day ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
-
জাতীয়13 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
-
আইন-বিচার1 day ago
পাহাড়ের নিচে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন আনার হত্যার আসামিরা