Connect with us

জাতীয়

বিশ্বে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হওয়ায় দেশের জনগণকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। এখন থেকে সবাইকে কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে। আমরা যেন অতিরিক্ত ব্যয় না করি। আর উৎপাদন বাড়তে হবে। বিশ্বে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, সঞ্চয় করা এবং সব পর্যায়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আবারও সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময় বাংলাদেশের জনগণকে কোনো দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে না হয়। আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এ জন্য কৃচ্ছতা সাধনের পাশাপাশি সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হওয়ায় দেশের জনগণকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এখন থেকে আমাদের সকলকেই কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে এবং কোনমতেই কোন কিছুতেই আমরা অতিরিক্ত ব্যয় না করি। আর উৎপাদন বাড়তে হবে। নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে সবসময় যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে পারি সেই ব্যবস্থাও আমাদের নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি সরবরাহে সমস্যায় পড়ছে, সেখানে তারা রেশনিং করছে। তারা পানি গরম করার ব্যবস্থায় ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রেখেছে। তাদের হিটিং সিষ্টেম বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কাজেই বিভিন্ন পণ্যের দাম যেহেতু অতিরিক্ত বেড়ে গেছে তাই আমাদেরও কৃচ্ছতা সাধন করতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে দেশের সব ঘর আলোকিত করেছে, কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেই খরচ কমাতেও কিছু ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পেশাগত ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বরেণ্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাঝে আইডিইবি স্বর্ণপদক প্রদান করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হালিম বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর করিম খান এবং বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী আইডিইবি স্বর্ণপদক লাভ করেন।

Advertisement

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

আইডিইবি সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন।

জাতীয়

ইউএএল’র সম্মানসূচক ডক্টরেট ফিরিয়ে দিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

Published

on

আলোকচিত্র এবং আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালের ৭ জুলাই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমকে। ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের (ইউএএল) দেয়া সেই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ফিরিয়ে দিয়েছেন এই আলোকচিত্রী।

ড. শহিদুল আলমকে ইউএএল থেকে ফটোগ্রাফি ও অ্যাক্টিভিজম ক্যাটাগরিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৮ জুলাই লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভাল হলে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি।

এ আলোকচিত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ওই সময় আর্ট ও ডিজাইনের জন্য ইউএএল ছিল বিশ্বের শীর্ষ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। ডিগ্রিটি আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে ইউএএল’র চ্যান্সেলর গ্রেসন পেরি থেকে গ্রহণ করেছিলাম। কেননা, ওই সময় একাডেমিক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি ইউএএল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পান জেমস পুরনেল নামের একজন স্বীকৃত জায়নবাদী। আর ইউএএল’র শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রদর্শন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দেশটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানানোর দাবিতে ব্রিটেনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বলেও আশ্বস্ত হয়েছিলাম। তবে এই স্বস্তি কেটে যায়, যখন দেখতে পাই ইউএএল প্রশাসন, বিশেষ করে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে অনেক অনেক দূরে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, তাদের ছকে ফেলা হচ্ছে এবং তারা উপেক্ষিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছে, পুমা, করনিট, এলভিএমএইচ, ল’রিয়েলসহ ইসরায়েল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড লিমনোলজিক্যাল রিসার্চ, শেনকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বেজালেল একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি বা এ দেশটির অনুষঙ্গী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউএএল ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, বর্ণবাদ এবং চলমান গণহত্যার অংশীদার। আর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির এই অংশীদারত্বের অবসান দাবি করছে।

Advertisement

ড. শহিদুল আলম বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সঙ্গে কোনোভাবেই আমি যুক্ত থাকতে চাই না। এলসিসির ডিন অব মিডিয়া স্টিফেন ক্রসকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্মানসূচক ডক্টরেটটি ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এ আলোকচিত্রী।

প্রসঙ্গত. ড. শহিদুল আলম দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও মেজরিটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৩ সালে লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন এই আলোকচিত্রী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু করতে কাজ করছে সরকার : প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

Published

on

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে সরকার আশাবাদী। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বলেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন কর্মী মালয়েশিয়া গেছেন। ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। তবে বায়রার কাছে লিস্ট চাওয়া হলেও তারা দেয়নি। এ বিষয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুব কমিটির প্রধান। যারা দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিমান ভাড়া বেশি নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সিন্ডিকেটে সরকারের আস্থা নেই উল্লেখ করে বলেন, সব এজেন্সি যেন কর্মী পাঠাতে পারে সেটা চায় সরকার। তবে যে দেশ নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হজ করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৫৬ হাজার যাত্রী

Published

on

পবিত্র হজ পালন করতে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫৬ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিটে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, রবিবার পর্যন্ত সর্বমোট ৫৬ হাজার ৫৫৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী তিন হাজার সাতশ ৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৫২ হাজার ৮১২ জন।

হজযাত্রীদের নিয়ে এ পর্যন্ত সৌদি আরব গেছে ১৪৫টি ফ্লাইট। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৭৪টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৪৬টি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২৫টি।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর কোটা ৪৫৬২ এবং বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা ৮০ হাজার ৬৯৫। তাদের শতভাগ ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। এবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

Advertisement

হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবে যাত্রার ফ্লাইট শুরু হয় ৯ মে। শেষ ফ্লাইট যাবে ১০ জুন। এরপর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। ২২ জুলাই শেষ ফিরতি ফ্লাইট দেশে আসবে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version