বাংলাদেশ
যশোরে সাড়ে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, নিহত এক
যশোরের শার্শা উপজেলায় পুলিশ ও স্বর্ণ পাচারকারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আটকদের কাছ থেকে ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণে বার উদ্ধার করা হয়।
গেলো বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার জামতলা পাঁচপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাভারন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান।
এ সময় একটি প্রাইভেট কারসহ দুই স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের কাছ থেকে ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণে বার উদ্ধার করা হয়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে মহাসড়কের পাশ থেকে মোটরসাইকেলসহ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি স্বর্ণ পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়া গোলাগুলির ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, জামতলার পাঁচ পুকুর এলাকায় রাত ১২টার দিকে একটি তেল কোম্পানির ফ্যাক্টারির সামনে মহাসড়কের ওপর ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথভাবে রাত্রিকালীন চেকপোস্ট চলছিল। এ সময় পুলিশ সন্দেজনকভাবে একটি প্রাইভেট কারসহ দুইজনকে (ঢাকা মেট্রো-গ ২২-০৪২৪) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাইভেট কারে থাকা দুইজন স্বর্ণ পাচারকারী তাদের কাছে স্বর্ণ আছে বলে স্বীকার করেন।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে মহাসড়কের দু'দিক হতে ২৫ থেকে ৩০টি মোটরসাইকেলে ৬০ থেকে ৭০ জন যুবক এসে পুলিশের ওপর হামলা করে প্রাইভেট কার ও স্বর্ণ পাচারকারীদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ করে কয়েকদফা ককটেল বোমা বিস্ফরণ ঘটায়। পুলিশও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে গেলে পুলিশ আটকদের শরীর ও প্রাইভেট কার তল্লাশি করে ৯ কজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্নের বারসহ কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আবুল সরকারের ছেলে রবিন (৩৫) ও দাউদকান্দি উপজেলার কবীর হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৫) নামে দুই জনকে আটক করে।
ঘটনাস্থল থেকে ১৫০ থেকে ২০০ মিটার দূরে মহাসড়কের পাশে এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলসহ আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। এ সময় আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের শরীরে স্প্রিন্টারের চিহ্ন রয়েছে। তারাও বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাভারন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, নাভারন সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা পাঁচপুকুর নামক স্থানে যশোর ডিবি ও শার্শা থানার পুলিশ যৌথ চেকপোস্ট চলছিল। এ সময় একটি প্রাইভেট কারসহ দুই স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটক রবিনের শরীরে ও গাড়ির মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার মুল্য আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারাও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে তার শরীরে কোনো গুলির চিহ্ন নেই। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিআ
অপরাধ
সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।
র্যাব জানায়, সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।
প্রাথমিকভাবে র্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।
এএম/
অপরাধ
৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২
ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এসব চক্রের সদস্যরা। গাজীপুরে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট জব্দসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর বটতলা মোড়ের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গি উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন পক্ষিয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. শিবলু (৩৯)। ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৭)।
পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব চক্রের সদস্যরা। জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চক্র অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল নোট জব্দসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের সাথে জড়িত আরও ৩/৪ জনের তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাছা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।
মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।
এএম/
-
আইন-বিচার7 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি7 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়6 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
অপরাধ7 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
আইন-বিচার5 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন