Connect with us

পরামর্শ

যে খাবারগুলো খেলে কমবে পিঠের ব্যথা

Published

on

পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই পিঠের ব্যথায় ভোগেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরে পুষ্টির অভাব সব মানুষের সমস্যা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা পিঠে ব্যথা উপশম করতে বিভিন্ন টিপস দেন। ব্যায়াম তার মধ্যে অন্যতম। এটি শুধু পেশিকে শিথিল করে না, শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ তাই নিয়মিত ব্যায়াম করাটা দরকারি।

তবে ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করলে ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা কমানো যায়। এবার দেখা যাক, যে কোন ধরনের খাবার খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমানো যায়।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ : ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ, শ্লেষের বীজ এবং মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। রান্নায় সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার : অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবারগুলি ব্যথা কমাতেও সহায়তা করতে পারে। আপনি আপনার রান্নাঘরে এমন অনেক মশলা খুঁজে পেতে পারেন, যা এই ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে লাগতে পারে। দারুচিনি, গোলমরিচ এবং আদার মধ্যে এই জাতীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ এমন একটি মশলা যা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : শরীরের প্রোটিনের অভাব প্রায়ই ব্যথা সৃষ্টি করে, তাই আপনাকে আপনার ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোমরের ব্যথা কম করতে ডিম খাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

সবুজ শাকসবজি : ফুলকপি, ব্রকোলি, পালং শাক ও বাঁধাকপির মতো সবুজ শাকসবজিও খেতে পারেন। এগুলিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে কম থাকে। এগুলিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ রয়েছে যা ব্যথা উপশমকারী হিসাবে কাজ করে। এগুলো পিঠে ব্যথার জন্য উপযোগী।

মূল জাতীয় সবজি : ব্যথা কমাতে বিটরুট, গাজর সহ মূল জাতীয় সবজিও খেতে পারেন, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। এগুলি নিয়মিত খেলে কোমরের ব্যথা কমে যেতে পারে।

তাজা ফল : ব্যথা উপশম ছাড়াও, আপনার স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন তাজা ফল খান। আনারস, আপেল, চেরি, বেরি, সাইট্রাস ফল, আঙুর ইত্যাদি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

জেএইচ

Advertisement

পরামর্শ

ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলুন ৮টি খাবার

Published

on

প্রায়ই আমরা বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বা ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা যতই নামী-দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি মেনটেইন করা না হয়, তাহলে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের খাবারের তালিকায়। আজ আপনাদের জানাবো এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলতে হবে।

ত্বক সুন্দর রাখতে যা যা খাবেন না

আমাদের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। স্কিনকেয়ার করে হয়তো অল্প সময়ের জন্য ত্বককে সুন্দর করা যায়, তবে গভীর থেকে স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পেতে হলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হজমের সমস্যা, ইনফ্ল্যামেশন, একনে ইত্যাদি তৈরি করতে পারে, যা আমাদের ত্বকের জন্য মোটেই ভালো নয়। এ ধরনের খাবার খেলে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের অকালে বয়সের ছাপও পড়তে পারে। তাই ত্বকের সুস্থতা চাইলে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হবে বেশ সতর্ক।চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে যে ৮টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে-

লবণ

আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে লবণ। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মুখে বিশেষ করে, চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশ পাতলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এসব জায়গা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে ডার্ক সার্কেল এর সমস্যাও হতে পারে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়াটা এড়িয়ে চলা উচিত।

Advertisement

দুগ্ধজাত খাদ্য

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা নিয়েই সাধারণত অনেক কথা হয়। শরীর ও ত্বকের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য খুবই উপকারী। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন,চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও বলিরেখার মতো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়।

চিনি

চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি খাবার। চিনিতে প্রচুর ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে, যা থেকে একনে ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি যাদের পিসিওএসের তো হরমোনাল সমস্যার কারণে একনে হয়, তাদের একনেও অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।

চকলেট বা ক্যান্ডি

Advertisement

কম বেশি সবাই ক্যান্ডি বা চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ ত্বকের জন্য যেসব খাবার আমাদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে, এই মজাদার চকলেট বা ক্যান্ডি তার মধ্যে অন্যতম। কারণ যদি আপনি নিয়মিত এগুলো খান, তাহলে আপনার শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে মারাত্মক আকারে। এই অতিরিক্ত চিনির কারণে ত্বকে থাকা কোলাজেনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে। পাশাপাশি ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই প্রচন্ড পছন্দের খাবার হলেও ত্বকের সুস্থতার জন্য চকলেট কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা উচিত।

সোডা ও কোমল পানীয়

খুব গরম পড়লে বা গুরুপাক খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় বা সোডা পান করা প্রায় সবারই একটি নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোমল পানীয় পান করতে বেশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়! এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। তাই এগুলোতে ক্যালরিও অনেক বেশি। কোমল পানীয়র কারণে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়াসহ বিভিন্ন স্কিন ইরিটেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি হুটহাট কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আজই সেটি ছাঁটাই করে ফেলুন।

ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মিড মর্নিং বা বিকেলের নাস্তায় চপ, সিঙাড়া অথবা বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও, ত্বকের জন্য কিন্তু এগুলো একেবারেই উপকারী নয়! এই খাবারগুলো আমাদের ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন বা ব্রণজনিত সমস্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এখন থেকে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

কফি

বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা দিনশেষে ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই! কারো কারো তো কফি না খেয়ে দিনই শুরু হয়না! তবে এই অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং সেই সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। তাই অতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকাটা খুব জরুরি সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে হলে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

যেসকল খাবার প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত না হয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত হয়, সেসব খাবার ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এধরনের খাবারের মধ্যে প্যাকেট করা বা কৌটাজাত দীর্ঘদিন সংরক্ষিত বিভিন্ন খাবার যেমনঃচিকেন নাগেটস, মিটবল, ক্যানে থাকা ফল বা সবজি, জুস অন্যতম। এসকল খাবার আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভস, যা আমাদের স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি করে। তাই এই খাবারগুলো কম খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খান। বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে করে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে, আবার ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।

তো এই ছিলো ত্বক সুন্দর রাখতে যে খাবারগুলো কম খাওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। সবসময় মনে রাখবেন, সুস্থ ত্বকের জন্য সবার আগে দরকার সঠিক খাদ্যাভাস এবং পরিমিত মাত্রায় খাবার গ্রহণ। আমাদের শরীর যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পায় তবে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখাটাও হবে বেশ সহজ।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

প্রযুক্তির বেড়াজাল থেকে নিজেকে উদ্ধার করবেন যেভাবে

Published

on

ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমিয়ে পড়া পর্যন্ত হাতে ফোন থাকেই! প্রযুক্তিময় জীবনটাই বেশ পছন্দ করে সবাই। কখনো কি মনে হচ্ছে প্রযুক্তি আপনাকে জীবনের মূলধারা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসছে অনেকটাই? যদি সেটা পাল্টাতে চান তো সচেতন হন এখনই। অল্প কিছু অভ্যাস একটু একটু করে পাল্টে নিন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই প্রযুক্তির বেড়াজাল থেকে নিজেকে উদ্ধার করার কিছু কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে।

প্রযুক্তির বেড়াজাল থেকে নিজেকে উদ্ধার করার পদ্ধতি 

১. ডায়রি লিখুন

সারাদিন সামাজিক সাইটগুলোতে ঘোরাঘুরি কমিয়ে আনুন অল্প অল্প করে। দিন জুড়ে স্ট্যাটাস আপডেট করার চাইতে বরং রাতের বেলা প্রিয় ডায়রিতে নিজের দিনটাকে বন্দী করে রাখবেন। এমনটাও হয়, আমরা খুব একটা উপভোগ করছি না কিন্তু তাও ফেসবুকেই সময় কাটাচ্ছি। বিষয়টা এমন যে অন্য কিছু করার ইচ্ছেটাই কাজ করছে না তখন আর তাই ফেসবুক ওই মুহূর্তে ভালো না লাগলেও সেটাই আমাদের সঙ্গী। এই অভ্যাসটা বাড়তে দেয়া কখনোই ভালো কিছু নয়!

২. ছুটির দিনে শহর ঘুরে দেখুন 

Advertisement

নিজের শহরটাকে পুরো ঘুরে দেখার পরিকল্পনা নিন, শুরু করুন, আপনার সময় যে দারুণ কাটবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ভ্রমণপ্রিয় হলে তো কথাই নেই, একা ঘুরতেও দিব্যি ভালো লাগবে তখন। সারাদিন মুভি দেখা, রেস্টুরেন্টে চেক-ইন দেয়া ইত্যাদি পরিকল্পনায় ভরা ছুটির দিনটা পাল্টে নিন পুরোপুরি। না দেখা কোন জায়গাকে জানার জন্য বেড়িয়ে পড়ুন। দিন খারাপ যাবে না আপনার।

৩. বই পড়ুন

ই-বুক, পিডিএফ পারতপক্ষে এড়িয়ে চলুন। কাগজের বই যে নির্মল আনন্দ দিতে পারে তার বিকল্প আর কিছুতে নেই। দরকারের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই করবেন, বই পড়ার ক্ষেত্রেও তেমন হতেই পারে কিন্তু ই-বুকের কারণে কাগুজে বই ভুলে যাবেন, এটা শুভ কিছু নয়।

৪. ঘুরে বেড়ানো

সময় পেলে ঘুরতে বেড়িয়ে যান। দলবল নিয়ে বা কখনো একা, ঘুরে বেড়ান কাছের-দূরের জায়গাগুলোতে। আপনি নিজে ঘরকুনো হতেই পারেন, আপনার ঘুরে বেড়াতে ভালো নাই লাগতে পারে কিন্তু সঙ্গের মানুষটা হয়তো ঘুরতে চাচ্ছে, বন্ধুরা আনন্দ নিয়ে প্ল্যান করেছে বেড়ানোর, তাদের সঙ্গে বেড়িয়ে পড়ুন।

Advertisement

৫. প্রিয়মুখগুলোকে সময় দিন

সময়ের এতোটাও অভাব হয় না যে মাসে দুই-একবার আপনি প্রিয়মুখগুলোর জন্য সময় করতে পারবেন না। মূল সমস্যা অনাগ্রহ, আলসেমি যা আপনাকে প্রিয় মানুষদের থেকেই দূরে নিয়ে যাচ্ছে। এক শহরে আছেন যারা, যতোটা পারা যায় একসাথে সময় কাটান। প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে সম্পর্কের সজীবতা অটুট থাকে। মেসেজে-স্কাইপে খোঁজ নিয়ে কাজ সারার চল এবার বন্ধ দিন।

৬. পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান

প্রতিদিন রাতে খাবারের পর পরিবারের সঙ্গে ছোট একটা আড্ডা জমান। সবাই নিজেদের গল্প ভাগাভাগি করুন। কিছু অসাধারণ সময় জমা হবে আপনার ঝুলিতে। এই সময়গুলিই বহু বছর বাদে মনে পড়বে, মুখে হাসি এনে দিবে।

জীবনটাকে তার আসল রূপেই উপভোগ করুন। প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই থাকবে, সেটা সাথেই নিয়েই চলুন কিন্তু তাতে হাড়িয়ে যাবেন না। একটি সতেজতায় ভরপুর জীবন আপনার অপেক্ষায় আছে। সেটা প্রযুক্তির বেড়াজালে আটকে যেতে দিবেন না। পৃথিবী, প্রকৃতি আমাদের দু’হাত ভরে দিয়েছে, সেই স্বাদ-বর্ণ-ঘ্রাণ উপভোগ করুন যতোটা পারা যায়।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

সন্তানকে আয়ত্বে আনতে কিছু টিপস জেনে নিন

Published

on

সাম্প্রতিক সময়ে এটা যেন অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, প্রত্যেকটা শিশু কিশোরের বাবা-মায়ের মুখে একই সমস্যার কথা- ‘বাচ্চা দিন দিন আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে’। যেহেতু এখনকার সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ হাতের মুঠোয় অনেককিছু পেয়ে যাচ্ছে তাই আগেকার দিনের বাচ্চা আর এখনকার দিনের বাচ্চাদের মধ্যকার তফাৎটা চোখে পড়ার মতো। সময়ের আগেই আজকাল বাচ্চারা অনেক কিছু বুঝে ও জেনে ফেলেছে। আর এটাই আমাদের মানতে সমস্যা হয় যে, বাচ্চারা থাকবে বাচ্চাদের মতো, বড়দের মতো আচরণ করবে কেন? এখান থেকেই এইসব সমস্যার সৃষ্টি, বাচ্চারা অকারণেই বেশি জেদ করছে।

মোট কথা বাচ্চা আয়ত্বের বাইরে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে যায়। তাই সন্তানকে আয়ত্বে আনতে কি করতে হবে তা জানতে হবে আমাদের। সন্তানকে আয়ত্বে আনতে কিছু টিপস জেনে নিন।

১. অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চান

আমরা যদিও সন্তানের চেয়ে বয়সে এবং বিবেক-বুদ্ধিতে বড়, তবুও এটা মানতেই হবে যে কোনো মানুষই ভুলের বাইরে নয়। আপনি যখন বুঝতে পারছেন আপনার কোনো ভুল হয়ে গেছে এবং আপনি সেটার জন্য অনুতপ্ত, কোনো দ্বিধা না করে সরাসরি ক্ষমা চেয়ে নিন। এতে আপনি যেমন আপনার সন্তানের নিকট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকবেন তেমনি আপনার সন্তানও আপনার কাছ থেকে এই মহৎ শিক্ষাটি পেয়ে যাবে। তখন পিতামাতা ও সন্তানের মধ্যে অহেতুক দূরত্ব বা ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।

২. সবকিছু কে বয়স দিয়ে বিচার করা থেকে বিরত থাকুন

Advertisement

শুধু মাত্র বয়সে বড় বলে আপনি এটা অনুমান করবেন না যে আপনার সকল সিদ্ধান্ত বা কাজ সব সময় ঠিক এবং সন্তানের নিজের মতামত সবসময় ভুল। সন্তানকে সবসময় একজন আলাদা সত্ত্বার মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে তার নিজের পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব দিন। তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন এবং তার মতামত যুক্তিসংগত হলে তা যদি আপনার মতের সাথে সাংঘর্ষিকও হয়, তবুও রিয়েক্ট না করে ঠান্ডা মাথায় মেনে নিন।

৩. প্রশংসা করুন ধন্যবাদ দিন

আপনার সন্তান যখন কোনো ভালো কাজ করবে তখন তার প্রশংসা করে তাকে ভালো কাজে উৎসাহিত করুন। পজেটিভ কাজের জন্য তাকে ধন্যবাদ দিন পারলে কাজের জন্য পুরষ্কার দিন। এতে করে তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে তেমনি আরো বেশি ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাবে।

৪. নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার থাকতে শিক্ষা দিন

অনেক ছেলেমেয়ে বেড়ে উঠার সাথে সাথে মিথ্যে বলার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাবা মায়ের সাথে সম্পর্কের দূরত্ব। সন্তান যখন আপনাকে সরাসরি কোনো কিছু শেয়ার করতে ভয় পাবে তখনই তার মাঝে মিথ্যে বলে নিজের ভুলকে আড়াল করার প্রবণতা দেখা দেবে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই আপনার সন্তানকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার থাকতে শিক্ষা দিন।

Advertisement

৫. সঠিক-ভুল ও উপকার-অপকার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিন

সঠিক কাজের জন্য যেমন তাকে পুরষ্কৃত করবেন তেমনি ভুল কোনো কাজ করলে কখনোই তাকে তিরষ্কার করবেন না। বরং অন্য সময় যেন এরকম ভুল না হয় সেটা সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। এই ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে তাকে সাহায্য করুন। দেখবেন যে কোনো ভুলে বা সমস্যায় পড়লে সে আপনাকেই সবার আগে বলবে এবং এর থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করবে। ফলে দ্বিতীয়বার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না আর আপনিও থাকবেন নিশ্চিন্ত।

৬. সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুন

অনেক ক্ষেত্রে বাবা মায়ের ব্যস্ততার কারণে সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়ে উঠে না। ফলে সন্তান কি করছে না করছে, কার সাথে মেলামেশা করছে কোনো কিছুর খেয়াল থাকে না। এই সুযোগে সন্তান খারাপ পথে যাওয়ার সুযোগ পায়। বাবা-মাকে এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে যেন কোনো মতেই কমিউনিকেশন গ্যাপ না আসে। সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে তাদের পর্যাপ্ত সময় দিন। ছুটির দিনে বাইরে ঘুরতে যান, বাসায় নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ান। তাদের কথা শুনুন, খেলাধুলা করুন। সন্তানকে আয়ত্বে আনতে হলে অবশ্যই সন্তানকে বুঝতে হবে, বকাঝকা করে কঠোর হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে হিতের বিপরীত হতে পারে। সন্তানকে পারতপক্ষে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে রাখুন, নিজের সাথে সম্পর্ক সহজ করে নিন।

সমস্যাকে কঠিন করলেই কঠিন, আবার সমস্যাকে আন্তরিকভাবে মোকাবেলা করলে সব সমস্যারই একটা সমাধান আছে। ভালো থাকুক আপনার সন্তান, ভালো থাকুক প্রতিটি পরিবারের সকল সদস্য।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version