দেশজুড়ে
বন্যার পানিতে কৃষকের ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি
ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জে প্রায় দুই হাজার ২৬৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে জেলার কৃষকদের ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন তাদের মাথায় ঋণের বোঝা যুক্ত হয়ে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর জেলায় আউশ আবাদ হয়েছিল ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৩শ ৭৭ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে ১৭শ হেক্টর আউশ আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির ৫৬৭ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আউশধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৩৩ কোটি টাকার।
সদর উপজেলার কৃষক মহিবুর রহমান বলেন, স্ত্রীকে দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ধুন্দল আর পটলের চাষ করেছিলেন। অনেক ফুলও এসেছিল, যে কারণে টাকা ঋণ নিয়েছি তাতে আমি সফল হয়েছেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বন্যা তাঁর সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিলো। এখন কিস্তি কিভাবে পরিশোধ করবো সে চিন্তা করছেন তিনি।
দোয়ারাবাজার উপজেলার ডাউকেরখারা গ্রামের কৃষক জুবায়ের আহমদ জানান, ৫ একর জমিতে ডাটা, করলা, ধুন্দল, ঝিঙ্গার চাষ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে গ্রামের বাধ ভেঙে গিয়ে স্রোতের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়। যে জমিতে ফসল চাষ করেছিলেন সেখানে কাদা ছাড়া কিছুই নেই।
বিমল চন্দ্র সোম জানান, সুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হয়েছে এবং তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। ভবিষ্যতে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।
আই/এ
অপরাধ
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি ২২ পরীক্ষার্থী, শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও এক শিক্ষকের প্রতারণার কারণে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি ২২ পরীক্ষার্থী। এতে পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিনা কারণে পুলিশের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের মারপিট করেছে।
রোববার (৩০জুন) সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ পরীক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হয়ে নিকরাইলের পলশিয়া রানী দীনমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গিয়ে আন্দোলন শুরু ও ভাঙচুর করতে থাকে।
জানা গেছে, উপজেলার নিকরাইল শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত টাকার চেয়ে বাড়তি টাকা দাবি করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়তি টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেন এ সুযোগে ২২জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেন ফরম পূরণের জন্য। কিন্তু পরবর্তিতে ওই শিক্ষার্থীদের বোর্ড থেকে কোনো রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের।
পরীক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত ৮ হাজার টাকা দিতে না পারায় ফরম পূরণ করেনি। পরে কলেজের বাংলা প্রভাষক লোকমানের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জালিয়াতির শিকার হয়েছি। টাকা দিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকের প্রতারণার কারণে। আমরা যেভাবে হোক পরীক্ষা দিতে চাই।
শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, ওই ২২ শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়েছে। সব প্রমাণপত্র আমার কাছে রয়েছে। কিন্তু গতকাল রাতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বোর্ডে ফোন করে ২২জন পরীক্ষার্থীর ফরম বাতিল করেছেন।
তবে শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আক্তারুজাজামান গণমাধ্যমে জানান, পরীক্ষার্থীরা কলেজে কোনো যোগাযোগ করেনি। অনেক শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ফরম পূরণ করা হয়েছে। বাড়তি ফি নেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সত্য না।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কেন্দ্রে আন্দোলন করে। পরে কেন্দ্র অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এএম/
অপরাধ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক-স্টাফদের ওপর হামলার অভিযোগ
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা পুরুষ স্টাফ নার্সদের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে আয়ান (১৪ মাস) নামে এক শিশু রোগীর সাথে আসা স্বজনদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন।
অভিযুক্তরা হলেন, পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের হাছান তারেকের ছেলে রাব্বি (২৫), রাব্বির বাবা হাসান তারেক (৫২) ও সদরের কাসাতপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মানিক মিয়া (৪২)।
জানা গেছে, জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছিলেন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ স্টাফ নার্সরা। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যুর রিপোর্ট দেয়ার মাঝে গরম চা দিয়ে অসাবধানবসত বুক ও পেট ঝলসে যাওয়া আহত ওই শিশুকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এরপর অভিযুক্তরা উত্তেজনাপূর্ণ-উগ্র আচরণ শুরু করে জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা অন্যদের পাশাপাশি সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীনের উপর চড়াও হয়ে কিল ঘুষি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এসময় অন্য রোগীসহ স্টাফ ও চিকিৎসক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সকলকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাদের উপর হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসক আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবী করছি।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, যখন অভিযুক্তরা আসেন তখন প্রচুর রোগীর চাপ। রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার মাঝে কারণ ছাড়াই অভিযুক্তরা হামলা চালায়, এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। মূলত আমাকেই মারতে আসছিল তারা।
এদিকে শনিবার ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার তৌহিদুজ্জামান তার স্ত্রী নাজনীন নাহার বৃষ্টি তলপেটের ব্যথা অনুভব করায় প্রথমে দেশ ক্লিনিক পরে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃষ্টি মৃত্যুবরণ করে। রোগীর স্বামী তৌহিদুজ্জামান ভূল চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নুরে আলমসহ সিনিয়র স্টাফ নার্স স্টাফদের ওপর অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রঞ্জু আহস্মেদ বলেন, শিশু আয়নকে নিয়ে চিকিৎসক ও কর্তব্যরতদের ওপর হামলার অভিযোগে একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ভোর রাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে আবারও হামলার আরেক ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদুজ্জামানকে তার পরিবারের লোকজন আসা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম/
দুর্ঘটনা
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বগুড়ার গাবতলীতে সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে গাবতলী স্টেশনে প্রবেশের আগে ট্রেনটির পেছন থেকে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করবে।
এএম/
-
পর্যটন3 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম2 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
অপরাধ3 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া5 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি4 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর4 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
বলিউড2 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
জাতীয়4 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!