বিএনপি
ভারতের সাথে চুক্তি বাতিল না করলে দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না : বিএনপি
অচিরেই ভারতের সাথে করা চুক্তি বাতিল করতে হবে, নইলে দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। যেখানে দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আপনারা সমঝোতা চুক্তি করে মসনদ পাকা করার চেষ্টায় আছেন। বললেন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (২৮ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে প্রজন্ম বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন ফারুক।
বিএনপি চেয়াপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, যে দল গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায়, সে দলের জন্য আজ মানুষ অন্নহারা,অধিকারহারা। দেশের মাটির ওপর দিয়ে রেললাইন নিয়ে যাওয়ার একটাই অর্থ, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরকারের কোনো সম্মান নেই।
ফারুক বলেন, দেশের মানুষ আজ ভারত ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। সরকার ফেলানী হত্যার বিচার করতে পারেন না, পারেন শুধু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা মানুষদের জেলে ভরতে। দেশের মানুষ জানে, কী করে এই অগনতান্ত্রিক সরকারকে বিদায় করতে হয়।
তিনি বলেন, একটি ভুয়া মামলার জন্য খালেদা জিয়া বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী রয়েছেন, মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। অথচ আইনমন্ত্রী হেসে হেসে বলেন— বেগম জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে।
এসময়ে আইনমন্ত্রী উদ্দেশ্যে করে এ বিএনপি নেতা বলেন, তিনি কি একদিনও সৌজন্যতাবশত তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন? তাই মন্ত্রীর এ অট্টহাসির অনুভূতি বিএনপি প্রত্যাখ্যান করে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি ভেবে থাকে, তারেক জিয়াকে দেশের বাইরে রেখে আর বিএনপি কর্মীদের জেলে পুরে রাজপথে বিএনপির আন্দোলনকে রুখে দেবেন, তা কোনোদিনও সম্ভব হবে না।
আই/এ
বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ধীরে-ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। বললেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
রোববার (৩০ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ডা. জাহিদ এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামকে যে অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম, এখন তার চাইতে ভালো আছেন। এখন উনার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
বিএনপির নেতারা দাবি করে আসছেন, বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে মূলত তার রোগগুলো যেন বেড়ে না যায়, সেইগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসা দিতে হলে বিদেশে উন্নত সেন্টারে নিতে হবে। যেখানে একসঙ্গে অনেকগুলো রোগের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
গেলো ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়নে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
এর আগে ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
গেলো বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
কেএস/
বিএনপি
র্যাব-পুলিশ সরে গেলে সরকারের অপমৃত্যু ঘটবে: রিজভী
র্যাব-পুলিশ সরে গেলে এই সরকারের অপমৃত্যু ঘটবে। কয়েক দিন আগে শেখ হাসিনা বলছেন ‘জনগণ থেকে সরে গেলে আমি আর বাঁচবো না’ কিন্তু আগেই তার সরকারের রাজনৈতিক অপমৃত্যু হয়েছে। বললেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারের পতন ঘটবে, রাজপথে লুটোপুটি খাবে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ম্যানেজ করতে বিমানে কয়েক কার্টুন ইলিশ নিয়ে গেছেন কিন্তু পারেননি। উল্টো ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছেন।
গেলো ৭ জানুয়ারি ও ৩০ ডিসেম্বরের আগের নির্বাচন জায়েজ করতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দেশবিরোধী এসব চুক্তি করেছেন। এসব কারণেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কেএস/
বিএনপি
বিএনপি ভারতের বন্ধুত্ব চায়, প্রভুত্ব নয়: গয়েশ্বর
বিএনপি ভারতবিরোধী নয়। আমরা আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে। সুতরাং কেউ যদি মনে করে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা ভারতের বন্ধুত্ব চাই। প্রভুত্ব নয়। বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করার তাগিদ দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বক্তৃতায় দেশ স্বাধীন হয়নি, যুদ্ধ করেই দেশ স্বাধীন করতে হয়েছে। সুতরাং বক্তৃতায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না।
তিনি আরও বলেন, গত সাত ধরে বছর বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে আসেন না, জনগণ তার কণ্ঠ শুনতে পায় না। সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করেছে। তিনি এখনো বন্দি, তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পান না, জামিন পান না, অথচ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জামিন পায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সে মামলায় একদিনের জন্যও তাকে কারাদণ্ড দেওয়ার কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্যই এই রায়। আর যারা ক্ষমতায় আনে, তাদের সন্তুষ্টির জন্যই এই রায়।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব মুছে যাবে বলেও গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা যদি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারি, বাংলাদেশ অতি তাড়াতাড়ি মানচিত্র থেকে মুছে যাবে, যেসব চুক্তি ভারতের সঙ্গে করেছে, প্রত্যেকটা চুক্তি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় রাখছে, তারা বাংলাদেশকে তাদের কলোনি বানাতে চায়।
এএম/
-
পর্যটন3 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম3 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
অপরাধ3 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া5 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি4 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
বলিউড2 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
রংপুর4 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়4 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!