Connect with us

বাংলাদেশ

পুলিশ পরিচয়ে দেড়শ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি

Published

on

রুবেল একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। যার ছিনতাইয়ে প্রথম পছন্দ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আরও অর্ধশতাধিক তরুণীকে অপহরণ করে তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই এবং অশালীন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাকিল (২৮) ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

শাকিলের সহযোগিরা হচ্ছে- মো. আকাশ শেখ (২২), দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও মো. হাবিবুর রহমান। গ্রেপ্তারের সময তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়্যারলেস, দুটি পুলিশের স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, ‘রুবেল এখন পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে হাজারের ওপরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে ছিনতাইয়ের পর কমপক্ষে ৫০ জন মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। ছিনতাইয়ের পর মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন এ জন্য যে, তারা যেন পরে লোকলজ্জার ভয়ে কোনো কথা না বলে বা অভিযোগ না করে। এটা রুবেলের ছিনতাইয়ের কৌশল।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ওই ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও গত ১২ আগস্ট জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজনের কাছ থেকে ছিনতাই করেছে। পরে সেই মোটরসাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে দিয়াবাড়ীতে নিয়ে ছিনতাই করে।’

Advertisement

প্রাথমিকভাবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ ছিনতাই ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন। এই অভিনব চক্রটি সারাদেশে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫০০ জনের কাছ থেকে একইভাবে ছিনতাই করেছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, রুবেলের বাড়ি গাজীপুর। তার আরও দুটি ঠিকানা পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। রুবেল ঢাকায় কোনো বাসা ভাড়া নেয়নি। সে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে অবস্থান করতো। তারপর মোটরসাইকেল ছিনতাই কিংবা ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিংবা কলেজের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে এসব ঘটনা ঘটাত। মেয়েদের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রাজধানীর ৩০০ ফিট, দিয়াবাড়ী ও পূর্বাচল এলাকায় নিয়ে যেত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছিনতাইয়ের ছয়টি মামলা রয়েছে।’

গত ২৫ আগস্ট পুলিশ পরিচয়ে থানায় নেওয়ার কথা বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে মোটরসাইকেলে করে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকায় নিয়ে যান রুবেল। সেখানে ওই তরুণীর স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুলসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেন তিনি।

এসি

Advertisement

ফুটবল

নিলামে মেসি-বার্সা চুক্তির ন্যাপকিন পেপার

Published

on

মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে চুক্তি হয়েছিল একটি ন্যাপকিন পেপারের মাধ্যমে। যে ন্যাপকিনটি অবশেষে নিলামে উঠতে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও, তা মালিকানা দ্বন্দ্ব থাকায় স্থগিত হয়ে যায়। তবে নিলামটি আবারও শুরু হতে যাচ্ছে ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামসে। জানা যায়, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি ৩৭ লাখ থেকে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে এই ন্যাপকিনের মূল্য।

ন্যাপকিনটির নিলাম হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে।  কিন্তু মালিকানা প্রশ্নে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় দুই দশক ধরে এই ন্যাপকিনটি ছিল আর্জেন্টিনার ফুটবল এজেন্ট হোরাচিও গ্যাগিওলির কাছে। নিলাম নিয়ে আলোচনা ওঠার পর আরেক এজেন্ট জোসেফ মিনগোলা মালিকানার দাবি তোলেন।

নিলাম হাউস থেকে অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন আর এর মালিকানা নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। যেখানে হোরাচিওর নামেই এটি তালিকাভুক্ত করা আছে।

মেসির সাথে বার্সার চুক্তি হয় ২০০০ সালে। মেসির বয়স তখন কেবল ১৩ বছর। আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনায় আসেন ট্রায়াল দিতে। ট্রায়াল পর্যায়ে এতই চমকে দেন যে, সেসময়কার বার্সা ক্রীড়া পরিচালক মেসির পরিবারকে খাবারের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খাবারের হোটেল থেকে পাওয়া এক ন্যাপকিনে মেসির সাথে বার্সেলোনার ঐতিহাসিক সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মেসির সাথে বার্সেলোনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ২০২১ সালে। ক্লাবটির হয়ে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেন এই ফুটবলার। চুক্তি থাকাকালীন জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার- যেখানে ফিফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর এর মতো অর্জন ছিল। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১০ টি লা লিগা, ৪ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। বার্সেলোনার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন মেসি। চুক্তি শেষ হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের মানতেও বেশ সময় লেগেছে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন নিজেই!

Published

on

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না রুমা আক্তারের। এতে বুদ্ধি করে বোনের কাছে টাকা নিয়ে ইয়াবা কিনে আনেন। পরে সেই ইয়াবা বাসার বালিশের নিচে রেখে ফোন দেন ট্রিপল নাইনে। পুলিশ গেলে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এরপর গেলো বৃহস্পতিবার তাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে, সরবরাহকারী জাকিরকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।

গ্রেপ্তার রুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটিহাতা গ্রামের মৃত সাবির উদ্দিনের মেয়ে।

ওসি জানান, ১৪ পিস ইয়াবাসহ রুমা আক্তার (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা। কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি নিজে এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের সময় ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকির (৩৩) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে প্রবাসী কাওছারের সঙ্গে বিয়ে হয় রুমার। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এই ঝগড়া বিবাদের কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে ফিরলে তাদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়তে থাকে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আশুলিয়া নয়, নতুন পরিকল্পনায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

Published

on

রাজধানী সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা নেয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।

শুক্রবার (১০ মে) মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমে বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version