Connect with us

বাংলাদেশ

চেক ডিজঅনার মামলায় কারাগারে পাঠানো সংবিধান পরিপন্থি : রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

Published

on

চেক ডিজঅনার মামলায় কোনো ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ও এ সংক্রান্ত রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) আবেদন করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

তিনি জানান, আমরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছি। বিষয়টি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হতে পারে।

এর আগে গেলো ২৮ আগস্ট ডিজঅনার মামলায় কোনো ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তির রায়ে রোববার এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

Advertisement

চেক ডিজঅনার মামলায় কোনো ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো সংবিধান পরিপন্থি বলে রায়ের পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেছেন আদালত।

আদালত রায়ে বলেছেন, কোনো ব্যক্তিকে তার ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। আর নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট , ১৯৮১ এর ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় ব্যক্তিকে কারাগারে বন্দি রাখা ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণের শামিল

আদালত রায়ে নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারা সংশোধন করে চেক ডিজঅনার মামলায় জেলে পাঠানোর বিধান বাতিল করার জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত চেক ডিজঅনারের মামলা নিষ্পত্তির জন্য একটি গাইড লাইন করে দিয়েছেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরো বলেন, চেক ডিজঅনার মামলায় কোনো ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো, কারাগারে রাখা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি এবং ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের অনুচ্ছেদ ১১ এর পরিপন্থি। বাংলাদেশ-এর স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে চেক ডিজঅনার মামলায় কোনো ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠাতে পারে না। আদালত উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলেন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চেক ডিজঅনার মামলায় জেলে পাঠানোর বিধান নেই। এসব দেশে চেক ডিজঅনারের মামলাগুলোকে দেওয়ানি প্রকৃতির মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনে ১৯৯৪ সালে প্যানেল কোড সংযোজনের মাধ্যমে আধা-ফৌজদারি হিসেবে পরিণত করা হয়েছে।

আদালত বলেন, কনট্রাকচ্যুয়াল অব নেগোসিয়েশন বা চুক্তিগত দ্বায়-দায়িত্ব পূরণে ব্যর্থতার জন্য কোনো ব্যক্তিকে কারাগারে বন্দি রাখা যাবে না। চুক্তিগত দ্বায়-দায়িত্ব পূরণে ব্যর্থতার জন্য যদি কারাগারে পাঠানো হয় তাহলে অচিরেই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কারাগারে চলে যাবে। এটা কারো কাম্য নয়।

Advertisement

আদালত মনে করেন, নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারা দ্রুত সংশোধন করে কারাগারে পাঠানোর বিধান বাতিল করা আবশ্যক। আদালত প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, জাতীয় সংসদ অতি দ্রুত নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারা সংশোধন করবে। আদালত বলেন, জাতীয় সংসদ যতদিন না ১৩৮ ধারার সংশোধন না করেন বা সংশোধনী আনা হয়, ততদিন পর্যন্ত নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারার আওতায় চেক ডিজঅনারের মামলা আপসযোগ্য হবে। চেক ডিজঅনারের মামলা বিচারের এখতিয়ার সম্পন্ন দেশের সব আদালতে সাজার পরিবর্তে তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা দিতে পারবে। আদালত এই রায়ের অনুলিপি দেশের সব আদালতে ও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল রোববার দেয়া এই রায়ের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ড. কাজী আকতার হামিদ বাসস'কে বলেন, চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত মামলা নিয়ে হাইকোর্ট যে রায় ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এটি যুগান্তকারী। এই রায় বাস্তবায়ন করা হলে চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত মামলা এখন দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

তিনি বলেন, ব্যবসা বা কোন আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ব্যক্তি পর্যায়ে, সমবায়-সমিতি, বেসরকারি সংস্থা, ব্যাংক-বীমায় গ্যারান্টি হিসেবে চেক প্রদান করা হয়। সেই চেক ডিসঅনার করে চেক গ্রহীতা চেকদাতার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানির অসংখ্য নজির রয়েছে আমাদের দেশে। রায়টির ফলে এই ধরনের হয়রানি এখন লাঘব হবে। এ রায়ের ফলে আদালতে মামলা জটও অনেকাংশে কমে আসবে।

আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আশেক মমিন।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আশেক মমিন সাংবাদিকদের জানান, এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি অভিমত দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, এনআই অ্যাক্টের মামলায় বিশেষ করে চেক ডিজঅনারের মামলায় কাউকে জেলে পাঠানো সংবিধান পরিপন্থি। আদালত ধারাটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এসব মামলা নিষ্পত্তিতে একটি নীতিমালা করে দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে সেটি থাকবে বলেও জানিয়েছেন আদালত।

Advertisement

দুর্ঘটনা

ট্রেনের ধাক্কায় রেলসেতু থেকে পড়ে ২ বৃদ্ধ নিহত

Published

on

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ রেলস্টেশনে রেলসেতু পার হওয়ার সময় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের  ধাক্কায় পড়ে গিয়ে দুই নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

রোববার (১২ মে) বিকেলে উপজেলার সুতিয়া নদীর ওপর রেলসেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আল আমিন।

রেলসেতুর কাছের দোকানি কবির হোসেন জানান, ময়মনসিংহগামী  ট্রেন আসতে দেখে আশপাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুরু করলেও তারা দুজন তাড়াহুড়ো করে ব্রিজ পার হওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ব্রিজ থেকে দুজন ছিটকে নিচে পড়েন। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

ইয়াসিন আরাফাত নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনের ধাক্কায় দুজনেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিচে পড়ে যান। তাঁরা সেতুর প্রায় শেষ সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত গতির ট্রেন নিমেষেই তাদের দুজনকেই ধাক্কা দেয়। একজনের মাথা ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা যায়। অপরজনের শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যান।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সাবেক মন্ত্রীর চার সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Published

on

সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

রোববার (১২ মে) অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে- মুজিবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মুজিবুর রহমান সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্য তিনজন একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম গণমাধ্যমে বলেন, ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় উত্তরা ব্যাংকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাবেক মন্ত্রীর চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (অভিবাসন) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, উত্তরা ব্যাংক থেকে যে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে, তার বিপরীতে ব্যাংকে কোনো সম্পত্তি বন্ধক নেই। বিবাদীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর করেছিল ব্যাংক।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ,সন্ত্রাসীদের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা এবং চেইন থাকে। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ,আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটছে। অনেক রোহিঙ্গা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িয়ে গেছে। যার ফলে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দিনদিন।

প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সব সময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত। কিন্তু গত ৭ বছরে একজনকেও নিয়ে যায়নি। সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছে যাতে মিয়ানমারকে তারা চাপ প্রয়োগ করে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত গত ৭০ বছর ধরে ছিল। এখন এটাকে প্রত্যাবাসনে অজুহাত হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই।

Advertisement

ডোনাল্ড লু এর সফর সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার। এ সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।

তিনি আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর শুরু করেছে বিএনপি। তারা এখন তাবিজ ও দোয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version