Connect with us

আইন-বিচার

জামিনের মেয়াদ বেড়েছে ড. ইউনূসের

Published

on

ড.-ইউনূস

শ্রমআইনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আদেশ অনুযায়ী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল ট্রাইব্যুনাল মেয়াদ বাড়ানোর এ আদেশ দেন।

এর আগে গেলো ২৩ মে শ্রমআইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ড পাওয়া নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে চারজনের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গেলো ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে গেলো ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেয়। ৩ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের সময় পরবর্তী তারিখ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ১৬ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এরপর আবার বাড়িয়ে চার ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

Advertisement

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গেলো বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গেলো বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গেলো ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘শ্রমআইন ২০০৬ ও শ্রমবিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।’

 

এসি//

Advertisement

আইন-বিচার

গাড়িচাপায় দারোয়ানের মৃত্যু, মালিক পলাতক

Published

on

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গাড়িচাপায় দারোয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানা একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গাড়ির মালিক মফিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তিনি সাবেক বিআইডব্লিউটির ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান।

নিহত ফজলুল হক ১৯/এ,১৯/১ পূর্ব রাজাবাজারের বাসাটিতে দারোয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, পূর্ব রাজাবাজারের সেই বাসার মালিক গাড়ি বের করার সময় দারোয়ান ফজলুল হক গ্যারেজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গ্যারেজের দরজায় ধাক্কা লাগে। গ্যারেজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ফজুলল হকের ওপরে এ সময় গাড়িটি উঠে যায়, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় উঠে এসেছে। মালিক পলাতক রয়েছেন।

মফিদুল ইসলামের গাড়ির চালক গণমাধ্যমে বলছেন, গাড়ির ব্রেকপ্যাড ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। স্যার সেটা চেক করতে গাড়িতে উঠে পা দিয়ে একসেলেটর চাপ দেন, এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলে তিনি হয়তো থামাতে গিয়ে ব্রেকে পা না দিয়ে ভুলে একসেলেটরে আরও জোরে চাপ দেন। এতে গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে গেট ভেঙে বাইরে গিয়ে ধাক্কা খায়।

Advertisement

উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় পরিবহন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি ভুক্তভোগীর স্ত্রী করেছেন। এতে একমাত্র আসামি হলেন গাড়ির মালিক ইঞ্জিনিয়ার মফিদুল। তবে এখনো পলাতক থাকায় তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

আদালতের পেশকার জনি ৩ দিনের রিমান্ডে

Published

on

বিচারকের আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) পেশকার খন্দকার মোজাম্মেল হক জনির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে খন্দকার মোজাম্মেল হক জনিকে আটকের নির্দেশ দেন। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় জনিকে। বৃহস্পতিবার তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের হেফাজতে পাঠান আদালত।

উল্লেখ্য, আদালতের আদেশের পর জনিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেয়া হয় জালিয়াতির মামলা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড : তিন আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

Published

on

কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় তিন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। এ তিন আসামী হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভুইঁয়া।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে আসামী গ্যাস বাবুর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, এ বক্তব্য কাজী কামাল আহমেদ বাবুর  ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলানো হয়েছে। মূলত মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তাধীন কোনো মামলায় আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি জনসম্মুখে প্রকাশ করার একটা বাধা রয়েছে। কারণ এটা হচ্ছে প্রাইভেট ডকুমেন্টস। এটা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।

আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন জানান, শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ মর্মে চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গেলো  ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version