Connect with us

জাতীয়

গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম : প্রতিমন্ত্রী

Published

on

ফাইল ছবি

আইএমএফ বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির শর্ত দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দু’বার দাম বাড়ানো হয়েছে। এটি একটি নিয়মিত সমন্বয়। সরকার চাইলে আমরা দাম বৃদ্ধি করি। আমাদের আবার যখন দাম বৃদ্ধির কথা বলা হবে, তখন আমরা দাম বৃদ্ধি করব। তবে আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। বললেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)  বিদ্যুৎ বিভাগের বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বাড়বে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

গ্যাসের স্বল্প চাপ বিষয়ে  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়ের কারণে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী ১৪ থেকে ১৫ জুলাই টার্মিনালটি পুনরায় গ্যাস সরবরাহ করলে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের ৩০ হাজার পোল বিনষ্ট হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে সব সাবস্টেশন পানির নিচে চলে গেছে।  এসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণের ব্যবস্থা সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যেন গ্রাহককে ঝড় ও বন্যার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যেই  গ্যাস-সংকট দূর করা সম্ভব হবে। এ জন্য আরও দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এর বাইরে স্থলভাগে ও অগভীর সমুদ্রে নতুন করে কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও দাম বাড়তি কিনা এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসের শেষের দিকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হতে পারে। নেপালের বিদ্যুতের সুবিধা হচ্ছে কুড়ি বছর ৮ টাকা ইউনিটেই বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে। জীবাশ্ম জ্বালানির দাম বাড়লে যেমন বিদ্যুতের দাম বাড়ে, এখানে এটা হবে না।

আই/এ

জাতীয়

৩০ মিনিট পর চালু হলো মেট্রোরেল

Published

on

বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল চলাচল ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল। বললেন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিএল)।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ডিএমটিসিএল প্রথমে জানায়, ‘দুপুর ১৪:২৭ মিনিট (২টা ২৭) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। পরবর্তীতে চালু হলে জানানো হবে।’

এর ঠিক ৩০ মিনিট পরে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল শুরু করেছে।’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সাইন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

Published

on

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবরোধ করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (০৭ জুলাই) দুপুরে নীলক্ষেত থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এর ফলে মুহূর্তেই যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘চাকরি পেতে, স্বচ্ছ নিয়োগ চাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা বাতিল ঘোষণা করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ছাত্র সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ শ্রেণিকে যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।

তারা আরও বলেন, এটি আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। এর আগেও আমরা টানা চারদিন কলেজের মূল ফটকে অবস্থানসহ কোটাবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। আমাদের দাবি একটাই। সেটি হচ্ছে কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে সমতা রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে, গতকাল শনিবার (০৬ জুলাই) হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ (৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ‘বাংলা ব্লকেড’ (অবরোধ) কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গেলো ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

পরে গেলো বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করায় লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সময় নষ্ট করার যৌক্তিকতা নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কোটা বাতিল করেছিলাম। কিন্তু এতে লাভ কী হলো। অনেক মেয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক জেলার মানুষও বঞ্চিত হয়েছে। এরকমই একজন মামলা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় হাইকোর্টের রায় মেনে নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, কোটাবিরোধী আরেকটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও আন্দোলন করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিল তাদের কতজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েছিল এবং কতজন পাশ করেছিল তার একটা হিসাব বের করা দরকার। তারা (মেয়েরা) দেখাক পরীক্ষা দিয়ে বেশি পাশ করেছিল কিনা। মেয়েরা প্রমাণ করুক তারা বেশি পাশ করেছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version