Connect with us

বাংলাদেশ

‘আ.লীগ কারচুপি করে নয়, জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে’

Published

on

কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি বরং আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সূত্র: বাসস

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলেন তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ নির্বাচনে অবাধে তাদের ভোট দেবে এবং বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যথায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই,’ উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যারা জনগণের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেননি, নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রশ্নে এত গুরুত্ব দেয়ার কী আছে তিনি জানেন না।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘে ভোট দেবে, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা জানে যে, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে।

‘যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় তাহলে কার কি করার আছে’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।’
শেখ হাসিনা অবশ্য বলেছেন, এই ইভিএমের বিরুদ্ধে কিছু লোক আছে এটা ঠিক।

দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেজন্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে যাদের এনআইডি নেই তারা পাসপোর্ট দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।

‘আপনি এই ইউএনজিএ থেকে কী নিয়ে দেশে ফিরছেন'-এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্ব, আমি বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে দেশে ফিরছি এবং বাংলাদেশ যে উন্নয়নের বিস্ময় সে কথাটাই সবাই বলার চেষ্টা করেছে।’

Advertisement

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমরা শান্তি চাই, আমি যুদ্ধ চাই না, সংঘর্ষ চাই না। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় কথা আমি এই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি এবং সবাই বাংলাদেশ এবং আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।

 

জাতীয়

‘জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করলে আরও গ্রহণযোগ্য হবে’

Published

on

জাতীয় নির্বাচন যদি ধাপে ধাপে আয়োজন করা যায় তাহলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে নির্বাচনের আয়োজন করতেও সহজ হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনও নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এটি করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২ জুন) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা টিআইবিকে বলেছি- জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে আরও বেশি সুষ্ঠু করা যাবে। কারণ, তখন আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আরও বেশি পোলিং এজেন্ট মোতায়েন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও তার কয়েকজন সহকর্মী এসেছিলেন। আমরা পুরো কমিশন তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরাই মূলত তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার কারণটা হচ্ছে— প্রায়ই আমাদের মধ্যে এসএমএস (শর্ট ম্যাসেজ) এর মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছিল। তাই আমরা আরও বড় পরিসরে আলোচনা করতেই আজ বসেছিলাম।

বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তাদের মূল দাবিটা ছিল আমরা যেন দ্রুত তথ্য দেই। উনারা (টিআইবি) তথ্যের অবাধ প্রবাহ চাচ্ছেন। যেকোনো তথ্য যেন আমরা ওয়েবসাইটে সাথে সাথে তুলে দেই সেকথা তারা বলেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উনারা বলেছেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছি না।

Advertisement

সিইসি আরও বলেন, টোটাল নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। এবারের নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে ফেয়ার হয়েছে। ইভিএম প্রযুক্তি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এটি নিয়ে অনাস্থা ছিল, এখনও আছে। তবে ইভিএমে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে, এখানের ভোট ওখানে চলে গেছে। ইভিএমকে আরও সহজ করা যেতে পারে।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে বৈঠকে বসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

হিজড়াদের হামলায় চোখ হারিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

রাজধানীর রমনার পরিবাগ এলাকায় হিজড়াদের হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত এসআইয়ের নাম মো. মোজাহিদ।

শনিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল রাতে পরিবাগ এলাকায় ডিউটি করছিলেন। এ সময় হিজড়াদের একটি দল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি ইট এসআই মোজাহিদের চোখে এসে লাগে। এতে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ছাড়াও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশ তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এসআই মোজাহিদকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আরও কয়েকটি অপারেশন লাগবে।

Advertisement

তিনি জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই তিনজন হিজড়াকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রোববার দুপুরে আরও একজন হিজড়াকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রিজার্ভ চুরির চার্জশিট দেবে কবে, জানালো সিআইডি

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। সম্ভবত আমরা দুই এক মাসের মধ্যে এটার তদন্ত শেষ করে আমরা চার্জশিট দিয়ে দেব। জানালেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আট বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও এখনো সেই আলোচিত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সিআইডি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আসলে সমসাময়িক অনেক বিষয় আছে, আমরা কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি। আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোপূর্বে মাদক ব্যবহারকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসতাম। আমরা এখন স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত যত প্রোপার্টি আছে সেগুলোকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনটা সিজ করেছি।

গেলো এক বছরে কি পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা এক্সাক্টলি আমাদের কাছে ওইভাবে তথ্য নেই। এটা তো বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারব মানি লন্ডারিং রিলেটেড এম এফ এস রিলেটেড যেসব মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক রিকভারিও করেছি। এই রিলেটেড তাদের একাউন্ট সম্পত্তি যা আছে এগুলো আমরা ফ্রিজ করেছি।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version