Connect with us

বাংলাদেশ

ট্রফি ভাঙা ইউএনও’র বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

Published

on

বান্দরবানের আলীকদমে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।    

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে আবাসিক জুনিয়র একাদশ ও রেপারপাড়া বাজার একাদশ দল মুখোমুখি হয়।

খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলায় সমাপনী বক্তব্যে এবং পুরস্কার বিতরণ করার একপর্যায়ে ইউএনও জনসাধারণের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলেন। এতে উপস্থিত দর্শকরাও ইউএনওর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

এর আগেও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। সবশেষ আলীকদমের ইউএনও এমন ঘটনা ঘটালেন।

Advertisement

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরাও আপনাদের মতো শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জেনেছি। বান্দারবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসব ঘটনা প্রশাসনকে বিব্রত করে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রত্যেক ঘটনার প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন কোনো নজির কিন্তু নেই।

আলী কদমের ইউএনওর কর্মকাণ্ডকে অপরাধ মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার পক্ষে মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক ঘটনার পেছনে পরম্পরা থাকে। সেটি না দেখে না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (মেহরুবা ইসলাম) দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটাও তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, আশা করি আজকের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাবো। প্রত্যেক জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা এ কমিটিগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, কোথাও কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে আপনারা যেমন বিব্রত হন, আমরাও হই। আমরাও চাই এ ধরনের ঘটনা না ঘটুক। আমরা বান্দারবানের আগে পেছনে কী ঘটনা ছিলো সেটি কিন্তু জানি না। সুতরাং প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এটি বলা যাবে।

Advertisement

পটুয়াখালীর গলাচিপায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দায় কী সরকার নেবে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যদি ব্যক্তি দায় থাকে, তাহলে তো সরকার দায় নেবে না। শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে যদি ক্ষতিপূরণ করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা করবো।  

আইন-বিচার

ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদের জামিন আবেদন

Published

on

ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত।

সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এর আগে গেলো ২৭ জুন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন একই সংগঠনের সাবেক এক নেত্রী। ইডেন কলেজের সাবেক ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর একাধিকবার ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তিনি।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এজাহারকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক।

এজাহারের অভিযোগ অনুযায়ী, ইডেন কলেজে পড়ার সময় ২০১৪ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান বাদী। সেখানে গিয়ে ফুয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদী ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা ‘শরীয়াহ মোতাবেক’ বিয়ে করেন।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন ফুয়াদ। বাদী তাতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে বাদীকে ওষুধ মিশিয়ে জুস খাওয়ান ফুয়াদ। এরপর বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন, নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা। পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির আশ্বাস দিয়ে বাদীর ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ফুয়াদ ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জঙ্গি তৎপরতা রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

Published

on

অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ। অনলাইনের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বললেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

সোমবার (০১ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সচেতন শ্রেণির মানুষ ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কীভাবে চলছে, কার সঙ্গে চলছে, কতক্ষণ তার সন্তান মোবাইলে থাকছে, একা একা থাকছে সবকিছু খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈষয়িক সমস্যা। বাংলাদেশেও এর থেকে মুক্ত নয়। এরপরও পুলিশের সিটিটিসি, এটিইউ ও জঙ্গি দমনে অন্যান্য বাহিনীর দক্ষতা ও দুরদর্শিতা বাংলাদেশকে সুন্দর অবস্থায় রেখেছে। জঙ্গি দমনে বিশ্বে রোল মডেল পরিচিত পেয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে দেখে থাকি জঙ্গি আক্রমণের পরে অপারেশন হয়, কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র উদাহরণ যে জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার তথ্য পুলিশের কাছে ছিল এবং ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং করে জঙ্গিদের অ্যাটাক করতে পেরেছি এবং অনেক ক্ষেত্রেই নির্মুল করতে পেরেছি।

Advertisement

হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে কোনো ঘটনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি চলমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবো।

জঙ্গিদের অর্থায়নে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্সের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি কিংবা সংগঠন তাদের পেছনে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোনও অর্ডার করিনি, অনুরোধ জানিয়েছি : এসবি প্রধান

Published

on

সংবাদে অতিরঞ্জিত ও খণ্ডিত তথ্যের কারণে প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। প্রতিবাদলিপিতে আমরা কোনও নির্দেশনা দেইনি। আপনাদের কোনও অর্ডার করিনি। শুধু পুলিশ নয়, যেকোনও নিউজ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করেছি। এটি পেশাগতভাবে আসলে যেকেউ করতে পারে। অনুরোধ রাখা না রাখা আপনাদের বিষয়। আপনাদের শুধু অনুরোধ করেছি। বললেন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানের দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এসবি প্রধান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপ্রকাশ হওয়ার পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। সেই প্রতিবাদলিপির বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। আপনাদের কোনও অর্ডার করিনি। অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি ব্যক্তির দায় সংগঠনের বা বাহিনীর না। কিন্তু পাশাপাশি অতিরঞ্জিত এবং খণ্ডিত তথ্য থাকে। যেমন আমাদের এক কর্মকর্তার বিষয়ে বলা হয়েছিল তিনি সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। আসলে তিনি পালিয়ে যাননি।

মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায়র পর অনেক দেশ মনে করেছিল এই জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আরও জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলেও অনেকে মনে করেছিলো। তবে দেশে এখন জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version