Connect with us

বাংলাদেশ

প্রতি মাসে ২৮৮ কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহ

Published

on

এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশের ২৮টি জেলায় ২ হাজার ৩০১ জন কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি মাসে ২৮৮ কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহ হয়েছে। এ সময় ৫৮৯টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২২ উপস্থাপন করেছে। 

এ ফোরাম ২০২২ সালের প্রথম ৮ মাসে দেশের ২৪টি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে বাল্যবিবাহের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া বাল্যবিবাহ–সংক্রান্ত তথ্য তারা মাঠপর্যায় থেকে নিয়েছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, প্রথম ৮ মাসে ৭৬ কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়। এর বেশির ভাগই রাস্তায়, নিজ বাসায় ও স্বজনদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার। এ সময় পর্নোগ্রাফির শিকার ১৫ জন, অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার ৩ জন, অপহরণ ও পাচারের শিকার ১৩৬ জন, হত্যার শিকার ১৮৬ জন, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার ১৩ জন এবং হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে, আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন ও ৮ কন্যাশিশুকে বিভিন্ন স্থানে ফেলে যাওয়া হয়।

জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫৭৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ৮৪ জন ও ৪৩ জন প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম বলেছে, ধর্ষণের ঘটনার পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। চূড়ান্ত শাস্তির কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

Advertisement

ফোরামটি গৃহশ্রমিক নির্যাতনের তথ্যও তুলে ধরে বলেছে, প্রথম ৮ মাসে ১৫টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে এবং ২ জন হত্যার শিকার ও ১ জন আত্মহত্যা করে। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের ফোকাসড গ্রুপ আলোচনার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, দিনে ৩০ থেকে ৩৫ জন নারী সাইবার বুলিংয়ের শিকার।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের কিছু উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হলো—শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত বিচার করা, অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই অভিযোগ প্রমাণের দায়, কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রশ্রয় বন্ধ করা, শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর, বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নজরদারি বৃদ্ধি, সাইবার সচেতনতা বাড়ানো, আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কন্যাশিশু নির্যাতন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর প্রতিরোধ প্রয়োজন। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সুরক্ষা জন্মকাল থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। কন্যাশিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। তাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করতে পারলে সবার জন্যই সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।

 

বিপ্লব আহসান 

Advertisement

দুর্ঘটনা

স্টিল মিলে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

Published

on

রাজধানী ডেমরায় বাশেরপুল জহির স্টিল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন ব্যক্তি দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশংকামুক্ত।

শনিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।

আহত মেকানিক্যাল শিফট ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, তিনিসহ তার টিম নিয়ে গিয়ার নামে ওই যন্ত্রটি খুলছিলেন। এ সময় যন্ত্রটি ওভারহিটের কারণে বিস্ফোরিত হয়। তখন খুব কাছাকাছি থাকায় তার এবং সুজন নামে আরেকজনের বুকে, হাতে আঘাত লাগে। আর কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বাকিদের শরীরে বিস্ফোরণে গরম বাতাস গিয়ে লাগে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জানান, আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং বাকি চারজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ক্যাম্পে পুলিশের ওপর হামলা, ৫ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক পুলিশ সদস্যকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে শফিউল্যাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পে অভিযানে গেলে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১ জুন) পৃথক অভিযানে উপর্যুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নাজির হোসেন, মো. সাকের, নুর ইসলাম, সৈয়দ আলম ও আমেনা খাতুন। এরা সবাই উখিয়ার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শফি উল্লাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফর বলেন, পুলিশ ক্যাম্পের টহলদল বের হলে মাঠের উত্তর পাশে ৫ থেকে ৭ জন রোহিঙ্গা বসেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের হাতে একটি ওয়ান শুটারগান দেখতে পেয়ে তাকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করেন। একই সময় রোহিঙ্গারাও পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

Advertisement

এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা উখিয়ার ১৬ নম্বর ক্যাম্পের বি/৫ ব্লকের বাসিন্দা সাবেক রোহিঙ্গা নেতা কালুর ছেলে মো. আমিন (২০) চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের শেড থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা দা-লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।

কালুর স্ত্রী সেতারা বেগম তার হাতে থাকা দা দিয়ে টহল দলের এপিবিএন কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেনের মাথায় কোপ মারে। এতে মাথার বাম পাশে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হলে তাৎক্ষণিক আহত কনস্টেবল শাখাওয়াতকে উখিয়ার জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোয় জটিলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’

Published

on

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বললেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেটে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় পাঁচ লাখের ওপরে কর্মী প্রেরণের জন্য দেশটির সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বায়রা সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন,  পরবর্তী সময়ে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।

এর আগে  ভিসা পেয়েও যারা মালয়েশিয়া আসতে পারছেন না, তাদের দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।

Advertisement

প্রসঙ্গত, জটিলতার জন্য ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী ভিসা থাকার পরেও মালয়শিয়া যেতে পারেন নি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version