Connect with us

বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর আপত্তি, জলবায়ু সম্মেলনে যাবেন না ব্রিটিশ রাজা চার্লস

Published

on

আগামী নভেম্বর মাসে মিশরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের কপ ২৭ জলবায়ু সম্মেলন। এখানে ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তিনি নিজেও এই সম্মেলনে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ‘আপত্তি’ জানানোর পর আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে যাবেন না নতুন এই ব্রিটিশ রাজা।

রোববার (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেছেন তার বড় ছেলে চার্লস। আগামী ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার ইচ্ছা করেছিলেন নতুন এই রাজা।

তবে রানি মৃত্যুর ঠিক দু’দিন আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়া লিজ ট্রাস গত মাসে বাকিংহাম প্যালেসে চার্লসের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সময় এর বিরোধিতা করেন এবং এরপরই পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে গেছে।

মূলত ব্রিটেনের নতুন এই প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কারণে ইতোমধ্যেই বাজারে অশান্তি দেখা দিয়েছে। এর ফলে দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতিকে বিতর্কিতভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে চার্লসের জলবায়ু সম্মেলনে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিলের খবরটি সামনে এসেছে।

Advertisement

এএফপি জানিয়েছে, ট্রাসের সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু এমন মন্ত্রী রয়েছেন যারা তথাকথিত ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এছাড়া এই বিষয়টিতে ট্রাস নিজেকে পূর্বসূরি বরিস জনসনের চেয়ে কম আগ্রহী হিসাবে দেখে থাকেন।

সানডে টাইমস বলেছে, আগামী নভেম্বরে মিশরীয় রিসোর্ট শারম আল-শেখ-এ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৭তম সম্মেলনে লিজ ট্রাসের যোগদানের সম্ভাবনা কম। তবে গত বছর ব্রিটেন যখন স্কটিশ শহর গ্লাসগোতে জলবায়ু নিয়ে সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সেসময় চার্লস, প্রয়াত ব্রিটিশ রানি এবং চার্লসের পুত্র উইলিয়াম সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অবশ্য (জলবায়ু সম্মেলনে চার্লসের যোগ দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে) ডাউনিং স্ট্রিট এবং বাকিংহাম প্যালেস উভয়ই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। ব্রিটিশ এই সংবাদপত্রটি বলেছে, এই ঘটনাটি চার্লস এবং লিজ ট্রাসের মধ্যে ‘উত্তেজনা বাড়াতে পারে’।

তবে একটি সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সানডে টাইমস দাবি করেছে, গত মাসে বাকিংহাম প্যালেসে চার্লসের সাথে লিজ ট্রাসের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ ছিল এবং ‘সেখানে কোনো উত্তেজনা ছিল না’।

এদিকে, একটি রাজকীয় সূত্র ব্রিটিশ এই পত্রিকাকে বলেছে: ‘এটি কোনো রহস্য নয় যে, রাজাকে সেখানে (জলবায়ু সম্মেলনে) যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে রাজাকে তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে সম্পর্কে খুব সাবধানে চিন্তা করতে হয়েছিল এবং তিনি কপ২৭ সম্মেলনে যোগ দেবেন না।’

Advertisement

ব্রিটেনে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, রাজপরিবারের সদস্যদের বিদেশে সকল সরকারি সফর সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী করা হয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত না হলেও রাজা তৃতীয় চার্লস হয়তো কোনোভাবে জলবায়ু সম্মেলনে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্লাসগোতে। সেই সম্মেলনে অংশ নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন সেসময়কার প্রিন্স (বর্তমান রাজা তৃতীয়) চার্লস। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য প্রচারণার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তার।

অনন্যা চৈতী

জাতীয়

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির সঙ্গে সাইবার অপরাধও বাড়ছে’

Published

on

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে, সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা ও ঝুঁকি ততই বাড়ছে। এজন্য ঝুঁকি মোকাবিলায় আইন প্রণয়নসহ তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। যত দ্রুত আমরা ডিজিটাইজেশন করেছি, তত বেশি তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। ফলে আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম। এরপর প্রয়োজনের তাগিদে নতুন আইন ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

পলক বলেন, বিদ্যমান আইনের আলোকে আমরা চারটি মূল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেখান থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয়ত, ফরেন্সিক ল্যাবেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে ও অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ যাচাই-বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার রেসপন্স টিম, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ইনটেলিজেন্স এজেন্সিসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ২৩ হাজার এই ধরনের জুয়ার সাইট, পর্নোগ্রাফি সাইট, এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে যে প্ল্যাটফর্মগুলো যুক্ত ছিল সেগুলোকে আমরা ব্লক করেছি। বেশ কয়েকটি টিম নিয়মিত কাজ করছে, ফলে আমরা অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারছি। কিন্তু এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা চলমান থাকবে। আমাদের ৩৩৩ একটা কল স্টোর আছে সেখানে আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব তারা যেন ফোন করে তাদের কোনো তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন হলে বা কোনো উপদেশের প্রয়োজন হলে বা অভিযোগ জানাতে হলে তারা করতে পারেন। ৯৯৯ আছে এখানে পুলিশকে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কিছুই হবে স্মার্টভাবে। সব ধরনের কানেক্টটিভিটি তার থাকবে ভূগর্ভস্থ। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আমরা এই কার্যক্রম শুরুও করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি সংযোগের তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে। দেশে টিএন্ডটির লাইনসমূহ শুধু গ্রাহক পর্যায়ে কারিগরি কারণে মাটির ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে টিএন্ডটির তার ভূগর্ভস্থ করা হয়েছে। যেমন, এক্সচেঞ্জ থেকে কেবিনেট পর্যন্ত লাইনসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। তবে ভবনে ফাইবার ক্যাবলের চ্যানেল ইন্টারনেটসহ সব সার্ভিস লাইনের জন্য একক ডাক্টের ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মতো টিএন্ডটিসহ সব ধরনের কানেক্টটিভিটি সংযোগসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা সম্ভব হবে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

তথ্য চুরি করে এনআইডি বিক্রি করতেন ইসির ডাটা অপারেটর

Published

on

নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য চুরি করে টাকার বিনিময়ে  ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে আসছিলেন নির্বাচন কমিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জামাল উদ্দিন। তার সহযোগিতা করতেন লিটন মোল্লা। তাদের প্রধান গ্রাহক ছিলো মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারক চক্রগুলো। তাঁদের তৈরি এনআইডি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নকল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসি প্রধান জানান, কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জামাল  তথ্য চুরি করে হস্তান্তর করতেন লিটনের কাছে। ভুয়া সনদ তৈরির বাকি কাজ করা হতো নিজস্ব ওয়েবসাইটে। জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি ভুয়া জন্মসনদ এবং করোনা টিকার সনদও তৈরি করতো চক্রটি।

আসাদুজ্জামান জানান, আটককৃতরা অর্থের বিনিময়ে জাল এনআইডি, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকা সনদ ও টিন (TIN) সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতেন।

তিনি জানান,  কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী চক্রটি ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের দিতেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিতেন। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বীকার করেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে আটক করে সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের পৃথক দুইটি টিম। চক্রের বাকি সদস্য ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৮

Published

on

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাশী শহরের কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) তামিলনাড়ু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির ওই কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল। কী কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version