Connect with us

বাংলাদেশ

সিএনএনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানির মামলা

Published

on

মানহানির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

সোমবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ফ্লোরিডার একটি আদালতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন বলা হয়, মানহানির অভিযোগে সিএনএন এর কাছে ৪৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন ট্রাম্প। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, সিএনএন তার বিরুদ্ধে ‘মানহানি ও অপবাদের প্রচারণা’ চালিয়েছে। 

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট লডারডেলের মার্কিন জেলা আদালতে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্প দাবি করেছেন, সিএনএন তাকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করার জন্য একটি নেতৃস্থানীয় সংবাদ সংস্থা হিসাবে নিজেদের প্রভাবকে ব্যবহার করেছে।

সিএনএন অবশ্য এই মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Advertisement

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান ট্রাম্প তার ২৯-পৃষ্ঠার মামলায় দাবি করেছেন, সিএনএন দীর্ঘদিন ধরেই তার সমালোচনা করে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই নিউজ নেটওয়ার্কটি তার প্রতি আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ তারা ভয় পাচ্ছে যে- তিনি ২০২৪ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মামলায় দাবি করা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করার সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে সিএনএন বাদীকে (ট্রাম্পকে) ‘বর্ণবাদী’, ‘রাশিয়ান দালাল’, ‘বিদ্রোহবাদী’, এমনকি শেষ পর্যন্ত ‘হিটলার’- এর চেয়েও বেশি কলঙ্কজনক প্রমাণ করতে মিথ্যা এবং মানহানিকর লেবেল দিয়ে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে।’

মামলায় বেশ কয়েকটি উদাহরণের তালিকা রয়েছে যেখানে সিএনএন ট্রাম্পকে হিটলারের সাথে তুলনা করতে দেখা গেছে। যার মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে উপস্থাপক ফরিদ জাকারিয়ার একটি বিশেষ প্রতিবেদনও যুক্ত করা হয়েছে যাতে জার্মান একনায়কের ফুটেজ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ‘আগামী সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে’ অন্যান্য বড় মিডিয়া সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও মামলা করবেন এবং এমনকি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাপিটলে হামলার তদন্তকারী কংগ্রেসনাল কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারেন তিনি।

Advertisement

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

এমপি আজিম কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

আমাদের এনএসআই কাজ করছে। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি পুরনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝে শুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মায়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন বলে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৯ মে) গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সংসদ সদস্য কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন।

এদিকে গত ৩ দিন ধরে এমপির সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি তিনি আজ রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েও অভিহিত করেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবু আজিফ গণমাধ্যমে জানান, আমরা মৌখিক ভাবে শুনেছি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ভারতে ‘নিখোঁজ’ এমপি আনারের সর্বশেষ অবস্থান জানালো ডিবি

Published

on

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত ভারতীয় নম্বরের সর্বশেষ অবস্থান মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ উত্তর প্রদেশে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার রোববার (১২ মে) দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল নামে একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর যাননি।

তখন থেকেই তার মেয়ে ও এপিএস আনোয়ারুল আজিমের ব্যবহৃদ ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। তার হোয়াটসঅ্যাপে থেকে মেসেজ আসে, ‘তিনি দিল্লিতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে।’ কিন্তু এই মেসেজগুলো তার পরিবার বিশ্বাস করছে না।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমি বিষয়টি দুদিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক এমপিরও পরিচিত, তিনি আমাকে টেলিফোন করে তাকে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। জানার পর ভারতীয় বিশেষ টাস্তফোর্স-এসটিএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।

Advertisement

ডিবিপ্রধান বলেন,আনোয়ারুল আজিমের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৭টার দিকে তার নম্বর থেকে দুটি কল আসে। একটি আসে তার এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুজনের কেউই কল ধরতে পারেননি।

‘ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় জানতে পেরেছি, আনোয়ারুল আজিমের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন মুজাফফরাবাদ, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশ। সবকিছু মিলিয়ে আমরাও খোঁজখবর রাখছি।’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। আনোয়ারুল আজিম তার ব্যবহৃত নম্বরটি মাঝে মাঝে খুলছেন আবার মাঝে মাঝে বন্ধ করছেন। কারা কাজটি করছেন, তিনি কোনো ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন কি না- সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জিকেএস

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version