ইমরান খানের লংমার্চ ঠেকাতে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেছেন, তার দলের লংমার্চ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

দ্য ডন পত্রিকার খবর অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে এক বৈঠকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) লংমার্চ ঠেকাতে রাজধানী ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সদস্যদের অবহিত করা হয়, লংমার্চে প্রায় ২০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই লংমার্চ চলাকালীন ফেডারেল রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং এফসিকে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ এই নিরাপত্তা কমিটি।

এর আগে পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দলীয় কর্মীদের ইসলামাবাদে ‘হাকিকি আজাদি মার্চ’-এর জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তার দলের নেতা ও কর্মীদের শপথ নিতে বলেছিলেন যে, তারা দেশের জন্য জিহাদ বিবেচনা করে তার ডাকের পর লংমার্চে অংশ নেবেন।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, পাকিস্তানের বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো দেশে নতুন সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

পিটিআই প্রধান ইমরান খান দীর্ঘ সময় ধরে বারবারই বলে আসছেন যে, ‘শুধুমাত্র আগাম নির্বাচনই পাকিস্তানে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটাতে পারে’। ইমরানের দাবি, সময়মত নির্বাচন হলে দেশ আজ যে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে তা থেকে রক্ষা করত।

পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী রাজধানী ইসলামাবাদের রেড জোনে সরকারি ভবন এবং কূটনৈতিক এলাকা সুরক্ষিত করা এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আসাদ ভূঁইয়া 

Recommended For You

Exit mobile version