রাজধানীর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ রোডে অবস্থিত একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে ৫০০ বোতল মদ এবং ছয় হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের তথ্য জানান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন,গরিবে নেওয়াজ রোডে কিংফিশার রেস্টুরেন্টের নামে একটি ‘বার’ চালিয়ে আসছিলেন মো.মুক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি। অভিযান চালানোর সময়ও বিনা লাইসেন্স সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন বারটিতে বসে মদপান করছিলেন।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে তাদের কাছে তথ্য আসে, রাজধানীর ১৩ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ এভিনিউ রোডের একটি বাড়িতে শত শত ছেলে মেয়ে গান বাজনার নামে ডিজে পার্টি করছে এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণে মদ বিক্রি হচ্ছে। এর আগেও উত্তরার সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে গণ্যমান্য অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন বাড়িটিতে সবসময় নৈরাজ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে।
তিনি আরও বলেন, তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিবির কয়েকটি টিম ওই বাড়িতে যায়। টিমের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন যে, ভয়াবহ অবস্থা। প্রথমে বাড়িটির সাত তলায় গিয়ে তারা দেখেন, অনেক ছেলে-মেয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। পরে ভেতরে গিয়ে দেখেন, সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ ও বিয়ার মজুত রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় গিয়েও একই অবস্থা দেখতে পান।
অভিযানে দামি ব্র্যান্ডের প্রায় ৫০০ বোতল বিদেশি মদ এবং বিয়ারের প্রায় ছয় হাজার ক্যান জব্দ করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেখান থেকে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করাহ য়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বারের ম্যানেজার জানান, মুক্তার ২০০৮ সালের দিকে বারিধারায় এভিলিয়ন নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন। লেকভিউ নামে গুলশান-২ এর একটি রেস্টুরেন্টেও তিনি কাজ করেছেন। ওয়েটার থেকে এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক। যুক্তরাষ্ট্রে তার বাড়ি-গাড়ি আছে। স্ত্রী-সন্তানরা সেখানেই থাকেন।
আসাদ ভূঁইয়া
