অসামাজিক কার্যকলাপ বা অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হলে পুলিশ যেকোনো সময় অভিযান পরিচালনা করতে পারে। বললেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আজ রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্টে নামে একটি কথিত বারে পুলিশের অভিযান ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ডিবি কীভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হারুন বলেন, পুলিশ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে পারে কি না বা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে কিনা তা সাংবাদিকরা ভালো জানেন। আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কারা তল্লাশি করবেন বা করবেন না।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রয়োজনে অবৈধ কোনো জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ, অবৈধভাবে মদ বিক্রি এবং যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ অভিযান বা তল্লাশি চালাতে পারে। আমরা সব সময় এটা করে আসছি, আমরা বড় বড় চালান ধরছি। এছাড়া অবৈধবারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
গত ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার একটি ভবনে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানকার একটি বার থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ক্যান বিয়ার ও সাড়ে চার শতাধিক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করার কথা জানিয়ে।
ডিবি বলেন, ওই ভবনে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ারের ব্যবসা করা হয়। কিংফিশার রেস্টুরেন্ট নামে ওই ভবনের পঞ্চম, ষষ্ট ও সপ্তম তলায় অবৈধ কার্যক্রম চলত। অভিযানকালে বারটি থেকে ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সংরক্ষিত মদ ও বিয়ার আমদানির বৈধ কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। অভিযানে কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও লেকভিউ বারের মালিক মুক্তার হোসেনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অন্যদিকে সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে দুই জন ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনরা থানায় জিডি করতে গেলে তাদের ভিন্ন তথ্য দিয়ে জিডি করতে বলা হয় যে, বাসা থেকে বের হয়ে তারা নিখোঁজ হয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিবির বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা যাত্রাবাড়ীতে কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি। জনগণের কাছে অনুরোধ থাকবে কেউ যদি ডিবি পরিচয় দেয় তাহলে তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে। ডিবির প্রতিটা টিমের কাছে বলা আছে যে যে এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন চাহিবা মাত্র কার্ড প্রদর্শন করবেন।
এ ডিবি কর্মকর্তা বলেন, শুধু এইটুকু বলতে চাই, আমরা স্বচ্ছ। কোথাও কোনো এলাকায় কেউ ডিবির নাম ব্যবহার করলে আপনারা চ্যালেঞ্জ করবেন। আইডি কার্ড দেখাতে না পারলে তখন আপনারা যা করার তা করবেন। ডিবি যখন অভিযান করে তখন সঠিক তথ্য দিয়েই অভিযান পরিচালনা করে। ডিবির নাম যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে সে জন্য আমরা যেমন অত্যাধুনিক আইডি কার্ড তৈরি করেছি, তেমনি কিউআর কোড সম্বলিত নতুন পোশাকও সংযুক্ত করেছি। এর একটিও যদি আমাদের কাছে না থাকে তাহলে মনে রাখতে হবে ডিবির নাম কেউ ব্যবহার করেছে।
গত ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার একটি ভবনে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানকার একটি বার থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ক্যান বিয়ার ও সাড়ে চার শতাধিক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করার কথা জানিয়ে। ডিবি বলছে, ওই ভবনে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ারের ব্যবসা করা হয়। কিংফিশার রেস্টুরেন্ট নামে ওই ভবনের পঞ্চম, ষষ্ট ও সপ্তম তলায় অবৈধ কার্যক্রম চলত। অভিযানকালে বারটি থেকে ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সংরক্ষিত মদ ও বিয়ার আমদানির বৈধ কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। অভিযানে কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও লেকভিউ বারের মালিক মুক্তার হোসেনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আসাদ ভূঁইয়া