ইভিএমে প্রথম ভোট, শঙ্কায় ভোটাররা

আসছে ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে উপনির্বাচন। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বনিদ্বতা করছেন। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছেন সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনের ভোটাররা। কিভাবে ইভিএম-এ ভোট দিতে হবে তা নিয়ে অনেক ভোটার আছেন চিন্তায়।

সাঘাটা উপজেলার ইউনিয় কচুয়া ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের প্রবীন ভোটার মঞ্জু মিয়া তিনি বলেন, “শুনতেছি এবার ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু আমাদের তো ইভিএম সর্ম্পকে কোন ধারণা নাই। একই গ্রামের প্রবীন ভোটার হামিদুল হক বলেন, এবারেই প্রথম সাঘাটা-ফুলছড়িতে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। সেজন্য ভোটের আগে সবাইকে ইভিএম সর্ম্পকে সচেতনতা করলে ভালো হতো।”

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের তেতুলের তল এলাকার রাসেল মাস্টার বলেন, “ভোট পছন্দের প্রার্থীকে দেয়া যাবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কা আছে। যারা ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবে তারা কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।” 

একই ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের তরুণ ভোটার ফুয়াদ হাসান বলেন, “আমরা যারা তরুণ ভোটার তাদের জন্য ইভিএমে ভোট দেয়া কোন কঠিন কাজ নয়। আমার কাছে ইভিএম পদ্ধতি সুন্দর ও সহজ মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রবীন ব্যক্তিদের যদি ইভিএমে ভোট দিতে হয় কিভাবে সেটা শেখানো যেতে তাহলে কোন সমস্যা হতো না”।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন,  ভোট নিয়ে সংশয় শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রদানের পদ্ধতি এবং ভোটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। ইভিএম বিষয়ে দুইটি উপজেলায় মাইকিং, পোস্টার, বিভিন্ন ধরণের লিফলেট দ্বারা জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। সাঘাটা উপজেলার ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬ শত ৭৬ জনসহ আসনটিতে মোট ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

উল্লেখ্য, ৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। শূন্য এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।

মেঘ

Recommended For You

About the Author: মেঘ হাসান

As a journalist, I am entitled to find out the truth behind every incident.
Exit mobile version