Connect with us

ক্রিকেট

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার

Published

on

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারালো অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চ-স্মিথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৭৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। জবাবে ভারত থেমেছে ৩০৮ রানে। ৬৬ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই যেন বড় উপহার পায় ভারত। অবৈধ বলসহ মোট ১১টি বল ছুড়ে ওভার শেষ করতে হয় মিচেল স্টার্ককে। ভারত পায় ২০টি মূল্যবান রান। এরপর থেকে দ্রুত রান তোলার ধারাও অব্যহত রাখে তারা। তবে মায়াঙ্ক আগারওয়াল (২২), বিরাট কোহলি (২১), শ্রেয়াশ আইয়ার (২), লোকেশ রাহুল (১২) বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে ওখানেই পিছিয়ে পড়ে ভারত। প্রহর গুণতে থাকে বড় পরাজয়ের। ভারতের টপ অর্ডারকে দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথ দেখান জস হ্যাজলউড।

তবে এরপরও ওপেনার শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে লড়াই জমিয়ে দেন তরুণ হার্ডহিটার হার্দিক পান্ডিয়া। এই দুইজনে মিলে গড়েন ১২৮ রানের লম্বা জুটিও। যাতে ভর করে অনেকটা জয়ের দুঃস্বপ্নও দেখতে শুরু করে ভারতীয় সমর্থকরা। 

তবে তা ওই পর্যন্তই। শিখরকে আউট করে স্বপ্ন দেখানো জুটিটি ভেঙে দেন অ্যাডাম জাম্পা। অজি লেগ স্পিনারের শিকার হওয়ার আগে ৮৬ বলে ৭৬ রান করেন শিখর। পান্ডিয়াকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি জাম্পা। তার স্পিনের নীল ছোবলে বিদায় নেন ৭৬ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলা পান্ডিয়া। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা।

পান্ডিয়ার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজা ৩৭ বলে ২৫ ও নবদ্বীপ সাইনি ৩৫ বলে ২৯ রান করলেও তা পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। শেষ অবধি ব্যাট করলেও ভারত থামে ৮ উইকেটে ৩০৮ রানে।

Advertisement

ফলে ৬৬ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জাম্পা ৪টি ও হ্যাজলউড ৩টি উইকেট শিকার করেন।

তার আগে টস জিতে ব্যাটিং করে ৩৭৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের পক্ষে শতক হাঁকান অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথ। ফিঞ্চ ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২৪ বলে করেন ১১৪ রান। স্মিথ খেলেন ঝড়ো ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ১০৫ রান। ম্যাচ সেরা স্মিথের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা।

এছাড়াও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও খেলেন এক টর্নেডো ইনিংস। ১৯ বলে ৪৫ রান সংগ্রহ করেন অজি এই হার্ডহিটার। তার এই বিনোদনপূর্ণ ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। এছাড়া ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকেও আসে মূল্যবান ৭৬ বলে ৬৯ রান। যাতে ১৫৬ রানের ভিত পায় অজিরা।

এদিন ভারতীয় বোলারদের সবাই ছিলেন খরুচে। সফরকারীদের পক্ষে সেরা বোলিং করেন মোহাম্মদ শামি। ১০ ওভারে ৫৯ রানের বিনিময়ে তিনি শিকার করেন ৩টি উইকেট। অন্যদিকে, যুজবেন্দ্র চাহাল ৮৯ রান, নবদ্বীপ সাইনি ৮৩ রান, জাসপ্রীত বুমরাহ ৭৩ ও জাদেজা খরচ করেন ৬৩ রান।

এস

Advertisement

ক্রিকেট

ট্রাভিস হেডকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মন্তব্য করলেন টম মুডি

Published

on

ট্রাভিস হেড আগুন ঝড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যাট হাতে। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে রানের তুবড়ি ছড়াচ্ছেন। সর্বশেষ ম্যাচে অভিষেক শর্মার সাথে বিনা উইকেটে দলকে জিতিয়ে বের হয়েছেন। যে ম্যাচে ৩০ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন হেড। এই অজি ওপেনারকে নিয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডি মন্তব্য করেছেন।

সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। হেড যেভাবে রান পাচ্ছেন, তাতে অস্ট্রেলিয়া যারপরনাই খুশি হতে পারে। সেই কথাই বলেছেন মুডি। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১১ ইনিংস খেলে ৫৩৩ রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটার। শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেললেন এক অমানবিক ইনিংস।

হেডকে নিয়ে মুডি মন্তব্য করেন, “আমি বিশ্বাস করি ট্রাভিস হেডের বর্তমান ফর্ম অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুশি হওয়ার মতো। যেভাবে সে এবং ফ্রেশার ম্যাকগার্ক পারফর্ম করেছেন, আমি কল্পনা করি- প্রায় অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক, যদি বেশি না হয়- তারা এই দুই সম্পদকে একসাথে ব্যাট করতে দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। ট্রাভিস হেড এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বুস্ট হিসেবে কাজ করছে।”

বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে হেডকে ওপেনার হিসেবে বিবেচনা করেছে ম্যানেজমেন্ট। আরেক তরুণ অজি জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্কও নিজের জাত চিনিয়েছেন চলতি আইপিএলে। তবে সুযোগ মেলেনি তার। বরং অভিজ্ঞতার উপর আস্থা রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ব্যর্থ বাংলাদেশ

Published

on

চেষ্টা করল বাংলাদেশের নারীরা। তবে হার এড়ানো গেল না। সিরিজের শেষ ম্যাচে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হলো ২১ রানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে বাংলাদেশ।

সিলেটে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতের একাদশ ছিল অপরিবর্তিত। লক্ষ্যমাত্রা ১৫৭ রান মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চেষ্টা চোখে পড়েছে স্বাগতিকদের। যদিও দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারী- কারও ইনিংসই বড় হয়নি। দিলারা ৪ রানে, সোবহানা ফিরেছেন ১৩ রানে।

রুবিয়া হায়দারের ব্যাটে রান করার প্রয়াস চোখে পড়ে। তবে সেটিও থেমেছে ২০ রানে, রাধা যাদবের শিকার হয়ে। রাধা মোট ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটও হাসেনি। জ্যোতি যখন ফিরেছেন ৫ উইকেট হারিয়ে ৫২ রানে অবস্থান করছিল তখন বাংলাদেশ।

সেসময় চলছিল ৯ ওভারের খেলা। ঠিক সেখান থেকে দারুণ পার্থক্য তৈরি করেন রিতু মনি ও শরিফা খাতুন। দলীয় শতক নিশ্চিত করে ফিরে যান রিতু, তার ব্যাটে আসে ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। অন্যদিকে অপরাজিত ছিলেন শরিফা। তার ২১ বলে ২৮ রানের ইনিংস ছিল লড়াকু মানের।

এর আগে স্মৃতি মান্ধানা, দয়ালয়ান হেমলতা ও হারমানপ্রীত কৌরের যথাক্রমে ৩৩, ৩৭ এবং ৩০ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে লড়াকু সংগ্রহ তোলে ভারত। রিচা ঘোষ খেলেন ১৭ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ১৫৭ রান

Published

on

টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত।  টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দলটি। স্বাগতিক দলের বোলারদের ভালোই নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের নারীরা।  মান্ধানা, হেমলতা, হারমানপ্রীতদের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ তোলে ভারত।

 

অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে সিলেটের মাঠে নামে ভারত। দলটির প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২৫ রানে। শেফালি ভার্মাকে ১৪ রানে ফিরিয়ে দেন সুলতানা খান।   এরপর স্মৃতি মান্ধানা এবং দয়ালান হেমলতা মিলে দারুণ খেলতে থাকেন। মান্ধানার উইকেট পতন ঘটে, দলের রান যখন ৬২।  নাহিদা আক্তারের ডেলিভারিতে ৩৩ রানে ফিরে যান মান্ধানা।  অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ব্যাটেও রান পায় ভারত।

 

কৌর ও হেমলতা মিলে গড়ে তোলেন ৬০ রানের জুটি।  সফরকারী মেয়েরা আরও এগিয়ে যেতে পারত। তবে পর পর দুই ওভারে কৌর ও হেমলতা ফিরে যান।   উইকেট দু’টি সংগ্রহ করেন নাহিদা এবং রাবেয়া খান।  দলের সংগ্রহ ছিল তখন ১২২ রান।  চলছিল ১৬ তম ওভারের খেলা।  এরপর রিচা ঘোষের ব্যাটে কিছু রান পায় ভারতীয় দল।  শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ভারত।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version