দেশে করোনার সংক্রমণের নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় আবারও সাত দিনের লকডাউন শুরু হবে। টানা সাত দিনের ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে এবার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ রাখা হবে বলেও জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
আজ রোববার (১১ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিন যাত্রীবাহী সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউনের প্রজ্ঞাপন আসার পর পরবর্তীতে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
তবে লকডাউনের সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো বিমান, স্পেশাল/চাটার্ড ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে বলেও জানান মফিদুর রহমান।
এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেবিচক।
এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে ও সবশেষ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিকে করোনায় আজও প্রাণ গেলো আরও ৭৮ জনের। যা দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় দেশে ৯ হাজার ৭৩৯ জনের প্রাণহানি হলো।
গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ হাজার ৩৭৬ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৫ হাজার ৮১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে মোট করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জন।
আজ রোববার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুভ মাহফুজ
