সিলেট
৮ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজ (এমসি) ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় আট ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে দুই মাস ৮ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বহুল আলোচিত এই গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরের শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিরা হলো- মামলার এজাহারনামীয় আসামি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), মিসবাহ উর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন। এর মধ্যে রাজন ও আইনুদ্দিন ছাড়া অপর ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, চার্জশিট দাখিল প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে দুপুর ১২টায় নগরের শাহজালাল উপশহরের এসএমপির উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।
তিনি বলেন, মামলার আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হওয়ায় আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দাখিলে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার তিনদিনের মাথায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।
গত রোববার হাতে পাওয়া ডিএনএ টেস্টে ধর্ষণেরস্থল থেকে সংগৃহীত আলামতের সঙ্গে মামলার আসামিদের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় প্রাইভেট কারের মধ্যেই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতেই মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এস
সিলেট
বিপদসীমার ওপরে সিলেটে ৩ নদীর পানি
সিলেটে বাড়ছে নদী, হাওর ও খাল-বিলের পানি। বিশেষ করে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদনদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০।
এ ছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বুধবার দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য গণমাধ্যমকে বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিলেটের নদনদীর পান বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার দুপুরে তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে।
সিলেট
মৎস্য চাষী মাঠ স্কুল গঠন বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত
গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এর অর্থায়নে ‘কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারীজ এন্ড একুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ নামক প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় এই শোভা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৯মে) সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আয়না মিয়ার বাড়িতে মৎস্য চাষী মাঠ স্কুল গঠন বিষয়ে পরামর্শ সভা ও স্কুল উদ্বোধন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভবানীপুর গ্রামের মুরুব্বি আয়না মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আল-আমীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সংস্থার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর শফি উল্লাহ্, জগন্নাথপুর উপজেলার টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোবিন্দ দেব, জগন্নাথপুর মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আল-আমীন বলেন, সমবেত মৎস্য চাষীদের উদ্দেশ্য এই মাঠ স্কুল গঠনের মাধ্যমে হাতে কলমে মাছ চাষের সকল সমস্যা সমাধানে এবং তৃণমূল মাছ চাষীদের প্রয়োজন পূরণের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগের আহ্বান জানান। এলাকার মৎস্য চাষি, কৃষক, কৃষাণির উপস্থিতিতে উক্ত অন্যান্য বক্তব্য রাখেন, বিকাশ সরকার, উপেন্ড সরকার, মানিক দাস,নিখিল দাস, জানকী রানী সরকার, বানী রানী সরকার প্রমুখ। সভা শেষে ভবানীপুর গ্রামের কুয়ায় মাছ চাষ সিবিও’র ২৫ জন সদস্য সহ মৎস্য চাষী মাঠ স্কুল গঠন করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিসার আল আমিন মৎস্য চাষী মাঠ স্কুলের উদ্বোধন করেন।
সিলেট
যুক্তরাজ্যে এবার চাষাবাদ হবে সিলেটের ধান
বছরের অধিকাংশ সময় তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া যেখানে বিরাজমান থাকে সেখানে ধান চাষাবাদ করা অসম্ভব এবং আশ্চর্যের বিষয়। এবার শীতল আবহাওয়ার দেশ বৃটেনের মাটিতে ধান চাষ করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সফল উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা। বৃটেনে ধান চাষের এই অবাক করা সংবাদটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বহুল আলোচিত ধান চাষের সফল উদ্যোক্তা হলেন আজম খান ও তার সহধর্মিণী সুলতানা চৌধুরী। এই দম্পতির বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের দড়ি কুচ্ছনপুর গ্রামে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বিশিষ্ট জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী একটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। নতুন আবিষ্কৃত ‘পঞ্চব্রীহি’ নামের এই ধানের মতোই নতুন জাতের ধান চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেন প্রবাসী উদ্যোক্তা আজম খান। বৃটেনের শীতল মাটিতে প্রথমবার আজম খান ও তার সহধর্মিণী সুলতানা চৌধুরী নতুন জাতের এই ধানের বীজ বপন করে সফলতার মুখ দেখেন।
আজম খান জানান, আমাকে বিশ্ববিখ্যাত জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী নতুন জাতের এই ধান বীজ দিয়েছিলেন। ধানের বীজ গুলো টবে আমি আমার সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম বার ২০২৩ সালের সাত জুলাই বৃটেনের প্রতিকুল আবহাওয়ায় বীজ বপন করি, প্রায় তিন মাস নিবিড় পরিচর্যা করি এবং শীতল আবহাওয়া আসলে চারা ধান গুলো গ্রীণ হাউজে সংরক্ষণে রাখি, শীতল আবহাওয়ায় ধানের চারা গুলো টিকে থাকার প্রায় সাত মাস পর চারা থেকে ধানের তুর আসে, এক পর্যায়ে একটি দু’টি করে ধানের শীষ পাকতে শুরু করে, পাকা ধানের একটি ছরা কাটার পর অপর গুছিতে তুর আসে, আবার নিচ থেকেও ধানের শীষ গজিয়ে উঠে। তিনি আরও বলেন, আশ্চর্যের বিষয় মাত্র একটি ধানের বীজ থেকে ৯৬টি ধানগাছ হয়েছে, তবে এই ধানের জাত ‘পঞ্চব্রীহি’ নয়, এটি পঞ্চব্রীহির মতোই বছরে কয়েক বার ফলন দিবে। বৃটেনের শীতল আবহাওয়ায় এই ধানের চাষ করা সম্ভব হবে বলে আজম খান জানান।
আবেদ চৌধুরী জানান, বর্তমান বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় বৃটেনের মাটিতেও ধান চাষাবাদ করা সম্ভব হবে এবং সারা বছর না হলেও নির্দিষ্ট মৌসুমে ধান চাষ হবে। এখন থেকে সিলেটিরা বৃটেনে খাদ্য উৎপাদন করবেন এটি ঐতিহাসিক একটি মহূর্ত, সিলেটিরা বৃটেনকে এই টেকনোলজি দিয়েছে, একটি দুটি ধানের ক্ষণা থেকে একদিন লক্ষ লক্ষ টন ধান উৎপাদন হবে এবং বৃটেনের খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। নতুন এই জাতের ধানের বিষয় আবেদ চৌধুরী জানান, আজম খান যে ধান চাষ করেছেন এটি পঞ্চব্রিহি ধানের মতোই নতুন একটি জাত। এই ধান একবার রোপণ করলে আর মরবেনা জীবিত থাকবে এবং একবার কাটার পর আবার গুছা গজিয়ে ধানের ফলন দিবে।
-
টুকিটাকি7 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
বাংলাদেশ1 day ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বাংলাদেশ6 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ