Connect with us

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ৪

Published

on

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। 
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তোষ দেখা দিলেও আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে উত্তপ্ত দেখা যায়।

এ সময় সকালে ১০টার দিকে প্রশাসনকে দেখতে পেয়ে শ্রমিকদের মাঝে নানান গু্ঞ্জন শুরু হয়, এতে হঠাৎ করে প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে এক সময় সংঘর্ষে রূপ নেয়। দীর্ঘ সময় ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পর গুলি বিনিময় হয়।

এতে বেশ কিছু শ্রমিককে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়, তবে এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের বিস্তারিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এদিকে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হচ্ছে ও  নিহত চারজনের লাশ বাঁশখালী মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় নি। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন,  মৃত অবস্থায় চারজনের লাশ উপজেলা লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। এছাড়া ৮ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রজেক্ট এলাকায় ইফতার, নামাজ সূচি নির্ধারণ, বেতন ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় শ্রমিকরা। এসময় প্রজেক্টের চীনা কর্মকর্তাদের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় তারা। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশের গুলিতে চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। আহতদের ৮ জনকে বাঁশখালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই চমেক হাসপাতালের দিকে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এএ

Advertisement

চট্টগ্রাম

নাফ নদী থেকে দুই জনকে অপহরণ করলো আরসা

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি চাকমা যুবককে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) সদস্যরা।

শনিবার (১৮ মে) টেকনাফ মডেল থানায় এক ভুক্তভোগীর মা ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।

ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা জানান,  তাঁর ছেলে ক্যমংখো এ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) ও মং চাকমা গেলো ১৬ মে সকালে নাফ নদীতে কাঁকড়া ধরতে যায়। সন্ধায় বাড়িতে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তিনি জানতে পারেন, আরসার  সদস্যরা তাঁর ছেলে ও সঙ্গে থাকে আর একজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।  তিনদিন ধরে তারা আরসার সদস্যদের কাছে জিম্মি রয়েছে।

অপহৃত ছৈলা মং চাকমার বড় ভাই সালাও মং চাকমা জানান, হোয়াইক্যংয়ের ৫ নাম্বার সুইচ গেট পয়েন্ট থেকে তাঁর ছোটভাইসহ দুইজনকে তুলে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসী। পরে তারা জানতে পারেন আরসার সন্ত্রাসীরা তাঁদের অপহরণ করেছে । আজ বিকেল পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি বা কেউ যোগাযোগ করেনি।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা খোঁজ-খবর রাখছেন। দুই বাংলাদেশিকে কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলা, ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

Published

on

রাঙামাটির লংগদুতে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রসীত বিকাশ নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজন নিহতের হয়েছেন। ইউপিডিএফ এ ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গ্রুপকে দায়ী করছে।

নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সদস্যের তিনক চাকমা (৫০) ও দুদকছড়া গ্রামের জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধন্যমতি চাকমা (৪০)।

শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙামাটির সহকারী পুলিশ সুপার (বাঘাইছড়ি-লংগদু) সার্কেল আবদুল আউয়াল।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, শনিবার সকালে লংগদু ইউনিয়নের মনপতি, ধনপতি, মধ্য খাড়িকাটা ও খাড়িকাটা এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান নেয়। লংগদু উপজেলার কাট্টলী এলাকায় ১০-১২ জনের একটি দল মনপতি ও মধ্যখাড়িকাটা এলাকায় এসে ইউপিডিএফের সদস্যের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

Advertisement

রাঙামাটির সহকারী পুলিশ সুপার আরও বলেন, এলাকাটি অনেক দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ বিবৃতি দিয়েছে। ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কন্দোলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

৪ কেজি আইসসহ আটক ১

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ ও রামুতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ২৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা  হলো, উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং পাগলীর বিলের আলী হোছনের ছেলে মো. নূর মোহাম্মদ (৩৯)।

মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন লম্বরী ঘাট এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে সাগরপথে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল লম্বরী ঘাট এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল বঙ্গোপসাগরের তীরে লম্বরী ঘাট থেকে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একটি পোটলা হাতে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দিকে আসতে দেখে। এ সময় টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে ধাওয়া করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তার হাতে থাকা পোটলাটি ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া পোটলার ভিতর থেকে ২ কেজি ৪৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

চোরাকারবারীকে সনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Advertisement

এদিকে রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ জানান, একইদিন রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে মরিচ্যা চেকপোস্ট ও ব্যাটালিয়ন সদর থেকে একটি টহলদল গোয়ালিয়া লিংক রোডে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশীকালীন মরিচ্যা থেকে গোয়ালিয়া সড়ক হয়ে কক্সবাজারগামী যাত্রী মো. নূর মোহাম্মদকে (৩৯) সন্দেহ হওয়ায় তাকে তল্লাশি করে তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে ১ কেজি ৯৮০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।

অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ আরও জানান, আটককৃত আসামিকে ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version