এশিয়া
হংকংয়ে সাবেক চার সংসদ সদস্যসহ গণতন্ত্রপন্থি ধনকুবেরের জেল
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি সংবাদমাধ্যমের মালিক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জিমি লাইকে চৌদ্দ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন জানানোর অপরাধে জিমি লাই ছাড়াও সাবেক চার সংসদ সদস্যসহ ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, দুই বছর আগে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়ার দায়ে জিমি লাইসহ সাবেক চার সংসদ সদস্যসহকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮ আগস্টের ঘটনায় জিমি লাইয়ের ১২ মাস এবং বাকি আটজনকে আট মাস থেকে এক বছর এবং ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় লাইয়ের দুই মাসসহ অপর দুজনের আট মাস ও দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের দমনপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ জোরদার করছে চীন। এই কারাদণ্ডের মধ্য দিয়ে তা আবারো প্রমাণিত হয়েছে।
হংকং ও চীনা প্রশাসনের নানা বিষয়ে খবর প্রচার করে বিরাগভাজনে পরিণত হয়েছে জিমি লাইয়ের প্রতিষ্ঠিত হংকংয়ের বহুল প্রচারিত পত্রিকা অ্যাপল ডেইলি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কারাগার থেকে তাঁর লেখা একটি চিঠি প্রকাশিত হয় অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায়। সেখানে জিমি লাই লেখেন, সাংবাদিক হিসেবে ন্যায়বিচার চাওয়াটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। অন্যায় অবিচার আমাদের ছেয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত আমাদের কর্তব্য পালন করে যাব।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জিমি লাই বলেছেন, আমার দৃঢ়তাকে ঘৃণা করে প্রশাসন। আমি সমস্যা সৃষ্টি করছি বলে মনে করে তারা।
জিমির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের দুটিসহ আরও ছয়টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাঁর সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে চীন সরকার। সম্প্রতি বেইজিংয়ের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়াতে পরিবর্তন করা হয় নির্বাচনী আইনও।
এসএন
এশিয়া
গাজার ধ্বংসস্তুপের নিচে নিখোঁজ হাজারো শিশুর মৃতদেহ: ইউনিসেফ প্রধান
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা যেনো বন্ধ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। এবার বিমান হামলা চালিয়েছে গাজার উত্তর, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক এলাকায়। হামলায় মারা গেছেন কয়েক হাজার মানুষ। হাজার হাজার নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ গাজার বিভিন্নস্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। জানালেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান।
বৃহস্পিবার ( ২৭ জুন ) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আনরোয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটি অথবা দুটি পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে যত মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সেখানে প্রতিদিনই ছোট ছোট শিশুরা যুদ্ধের তাণ্ডবে প্রাণ হারাচ্ছে বা আহত হচ্ছে।
আনরোয়ার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, এই হিসাবের মধ্যে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের দেয়া তথ্য যোগ করা হয়নি। ইউনিসেফের তথ্য বলছে, ইসরায়েলের হামলায় বহু শিশু তাদের হাত অথবা বাহু হারিয়েছে।
ফিলিপ লাজারিনি আরোও বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০ জন শিশু একটি পা বা দুটি পা হারাচ্ছে। এটা থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে সেখানকার একটি শিশুর শৈশব কেমন হতে পারে।
লাজারিনি বলেন, প্রায় চার হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ১৭ হাজার শিশু তাদের অভিভাবককে হারিয়েছে।
ভয়ানক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।
গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে অভিযানের নামে গেলো ৮ মাসে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৭১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ৩৭৭ জন।
এশিয়া
পাকিস্তানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, তীব্র গরমে ৫৬৮ জনের মৃত্যু
গেলো ছয়দিনে তীব্র গরমে পাকিস্তানে ৫৬৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৫ জুন) একদিনেই ১৪১ জনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের করাচি শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। তবে উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভব হচ্ছে। গেলো চার দিনে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২৬৭ জন ভর্তি হয়েছেন, যাদের অধিকাংশের বয়স ৬০ থেকে ৭০।
করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ জানান, যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের বমি, ডায়রিয়া এবং উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে। তাদের অনেকেই বাইরে কাজ করছিল।
দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে। এটি সারাবিশ্বে ঘটছে। ইউরোপেও ঘটছে। করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবেশি দেশগুলোতেও সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। ভারতের রাজধানী দিল্লিও ‘অভূতপূর্ব’ তাপপ্রবাহ প্রত্যক্ষ করে চলেছে। গেলো মে মাস থেকে সেখানে প্রতিদিনের তাপমাত্রাই ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।
এশিয়া
ছয় মাস যেতে না যেতেই রাম মন্দিরে ফাটল
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি অযোধ্যার রাম মন্দিরে উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ছয় মাস পার হতে না হতেই ছাদ ফেটে অঝোরে পানি পড়ছে। অটল সেতুর ফাটলের পর অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছাদে এমন ফাটল সবার মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এ মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ইস্পাত। শুধুমাত্র নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় কুতুব মিনারের কাছাকাছি উচ্চতার রাম মন্দির। এটি তৈরির পিছনে রয়েছেন ভারতের নামিদামী বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই বেহাল অবস্থা রামমন্দিরের। ফুটো ছাদ এবং জলাবদ্ধ প্রাঙ্গন নির্মাণের গুণমান নিয়ে ব্যাপক বির্তর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনও বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
তিনি আরও বলেন, কেন নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে মনোযোগ দেয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অটল সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সেতুটিই ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এর জন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ৫ মাস যেতে না যেতেই সেই সেতুতে দেখা গেল ফাটল।
টিআর/
-
আবহাওয়া1 day ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি11 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
অপরাধ1 day ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
-
ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
-
আন্তর্জাতিক6 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
-
টুকিটাকি1 day ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
-
জাতীয়13 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
-
আইন-বিচার1 day ago
পাহাড়ের নিচে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন আনার হত্যার আসামিরা