Connect with us

করোনা ভাইরাস

দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা বাড়ছে ব্যাপক হারে: আইএফআরসি

Published

on

বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। বর্তমানে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। ইউরোপ-অ্যামেরিকার পর সংক্রমণ বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। সংক্রমণ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে এই অঞ্চলের দেশগুলোতে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ আইএফআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুত কোভিড-১৯ মহামারির বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়া। করোনার নতুন মারাত্মক ও ভয়াবহ সংক্রামক ঢেউটির কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর প্রভাব পড়েছে সামাজিক ব্যবস্থায়ও। এরই মধ্যে দারিদ্র্য ও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়েছে লাখো মানুষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে প্রতিদিন অন্তত দুই লাখ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। ভারতে বর্তমান শনাক্তের সংখ্যা গেল বছর চূড়ান্ত সংক্রমণের সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ। বাংলাদেশে গেল বছর জুনে সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল। এবার এপ্রিল নাগাদ সে সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা পাকিস্তানেও। সেখানেও প্রায় প্রতিদিন ভাঙছে মৃত্যুর রেকর্ড।

আইএফআরসির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান উদয় রেগমি বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে যে গতিতে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই ভীতিকর। বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে সাড়ে ১৫ লাখের বেশি। গেল মাসের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ গুণ বেড়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে।

তিনি আরো বলেন, করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এটি বিশ্বের সব দেশের জন্য একটি চূড়ান্ত সতর্কবার্তা। ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সামান্য বিশ্রাম নেওয়ারও এখন সুযোগ নেই। সংক্রমণের এ মাত্রা সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য সর্বনাশা হতে পারে। এসব দেশে বয়স্ক ও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য স্বেচ্ছায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাজারো রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মী। এরই মধ্যে চরম দারিদ্র্য মোকাবেলা করছে লাখো মানুষ। তাদের কাছে খাবার, পানি ও অন্যান্য ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা।

Advertisement

গতকাল শুক্রবার ভারতে একদিনে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৩৫ হাজার মানুষের শরীরে। এই সংখ্যা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক। সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা আকাশ ছুঁয়েছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কয়েকটি দেশে। মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে কয়েকবার। শুক্রবার প্রথমবারের মতো মৃতের সংখ্যা ১শ’পেরিয়েছে বাংলাদেশেও।

করোনার সংক্রমণে গতকাল বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একদিনে মারা গেছে ১০১ জন করোনা রোগী। এতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৮২ জন।

আইএফআরসির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়কারী ডা অভিষেক রিমাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে বি.১.১.৭ ও বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। এগুলো মূলত ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি। এগুলো আগের প্রজাতিগুলোর চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক ও ক্ষতিকর। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী ভর্তির সংখ্যা, যা দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বোঝায় পরিণত হয়েছে।

 

এসএন

Advertisement

করোনা ভাইরাস

ফের ফিরে আসছে করোনা-আতঙ্ক!

Published

on

মানুষ যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে, তখনই হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। যদিও নতুন এ ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।

নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—

১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি— যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

Advertisement

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঝুঁকি কম।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৪ জনের

Published

on

গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ৫২%

Published

on

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গেলো চার সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এ সময় নতুন করে সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহারও। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, আগের ২৮ দিনের তুলনায় গেলো চার সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।

সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনকে।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেএন.১ ধরনটিকে পৃথক ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিকে এতদিন করোনার বিএ.২.৮৬ ধরনের একটি অংশ হিসেবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গণ্য করা হতো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জেএন.১-এর কারণে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে উত্তর গোলার্ধে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version