বাংলাদেশ
বাঁশখালীতে ৫ জন নিহত: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ রিট দায়ের করেন।
সৈয়দা নাসরিন বলেন, আগামী সপ্তাহে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ৫ জন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নিহত ও আহত শ্রমিকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে নোটিশে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ নোটিশ পাঠান। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
গত শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত হন।
গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছিলেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আজিজুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছিলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধসহ বেশ কিছু দাবিতে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা শনিবার সকাল থেকে আন্দোলন করছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেখান গিয়ে শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়।
শেখ সোহান
আইন-বিচার
ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহীসহ চারজনের রিমান্ড নামঞ্জুর
পৃথক দুই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ চারজনের রিমান্ড ও জামিন বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম।
গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় পৃথক তিন মামলা করেন। মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেনে, প্রতিষ্ঠানটির আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
এই চার আসামির উপস্থিতিতে গুলশান ও বনানীর পৃথক দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামিন বাতিল চেয়ে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিবুল্যাহ হিরু, ঢাকা বারের সভাপতি আব্দুর রহমান রহমান, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন ও শাহিনুর রহমানসহ আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
বাদীপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুসহ আরও অনেকেই রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন বাতিল করেন এবং রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
টিআর/
জাতীয়
স্থগিত ২৩ উপজেলায় ভোট কবে, জানালো ইসি
ঘূর্ণিঝড় ও মামলাজনিত কারণে স্থগিত ২৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিন উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন। আর বাকি ২০ উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।
বুধবার (২৯ মে) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৮টি উপকূলীয় জেলা ও একটি পার্বত্য উপজেলার ভোট স্থগিত করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে চাঁদপুরের দুটি উপজেলা এবং সড়ক যোগাযোগ সমস্যার কারণে খালিয়াজুড়ীতে স্থগিত করেছিলাম।
মোট দুই দফায় ২২টি উপজেলা স্থগিত করা হয়েছিল। এছাড়া মামলাজনিত কারণে চান্দিনার ভোট স্থগিত করা হয়েছিল।
ইসি সচিব বলেন, আজকের তফসিল অনুযায়ী চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভোট হবে ৫ জুন। এছাড়া চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জের ভোটও ৫ জুন হবে। বাকি ২০টি উপজেলার ভোট হবে ৯ জুন, রোববার।
বাকি ২০টি উপজেলা হলো বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী।
টিআর/
অপরাধ
‘শাহিনকে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে’
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনে হত্যার ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিনকে সনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহিন আমেরিকায় পলাতক। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। কিন্তু সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহিনকে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি সদরদপ্তরে আয়োজিত ‘ডাটাবেজ এন্ড এনালাইসিস অফ রোড ক্র্যাশ (DARC) সফটওয়্যার’ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো পলাতক চারজন। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়া মূল পরিকল্পনাকারী আমেরিকায় আখতারুজ্জামান শাহিন ও সহযোগী সিয়াম নেপালে পালিয়ে গেছেন। তদন্তের স্বার্থে ডিবি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির এনসিবির কাছে সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরো (এনসিবি)।
হাবিবুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্যকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে অর্থাৎ হত্যার মোটিভ কি? এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা ভারতীয় পুলিশ কেউই উদ্ধার করতে পারেনি। এটার যিনি ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তিনি এখন দেশের বাইরে রয়েছেন তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই হত্যার কারণ এখনো কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার করলেই কেবল এই হত্যার মোটিভ জানা যাবে।
শাহিনকে ফেরানোর ক্ষেত্রে কি ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের প্রচেষ্টা করা দরকার সেটির সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। যেহেতু তিনি (আনার) সংসদ সদস্য ছিলেন সুতরাং বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। যদিও আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সেই ধরণের চুক্তি নেই। তাই অন্য যে কোনো মাধ্যম বা কূটনৈতিক চ্যানেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি কাজে লাগানো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি বাংলাদেশের আইনে বিচার হতে পারে এবং ভারতে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে সেখানেও বিচার হতে পারে। সুতরাং এটি আমাদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
কলকাতা পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডে যে কয়েকজনের নাম এসেছে তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার চারজন ছাড়াও এখনো পলাতক চারজন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তিনজন এবং ভারতের কলকাতায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তাররা হন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ও সিলিস্তি রহমান। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ জিহাদ হাওলাদার নামে একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার দুই মাস আগে মুম্বাইয়ের অবৈধ অভিবাসী জিহাদকে পাঠানো হয়েছিল। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়।
সংসদ সদস্য আনার খুনের বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত আরও কমপক্ষে চারজনের নাম পেয়েছে দুদেশের পুলিশ। তাদের মধ্যে আখতারুজ্জামান, সিয়ামসহ চারজন এখনো ধরা পড়েননি। বাকি দুজন হলেন ফয়সাল আলী সাজী ও মো. মুস্তাফিজুর রহমান ফকির। দুজনই খুলনার ফুলতলার বাসিন্দা। ঢাকা ডিবির হাতে গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত তারা। দুজন বাংলাদেশে আছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
টিআর/
-
অপরাধ7 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
টুকিটাকি6 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
অপরাধ4 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
বলিউড2 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
ঢালিউড2 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বাংলাদেশ6 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
বাংলাদেশ23 hours ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি