বাংলাদেশ
৭ সদস্যের পরিবারে মাস্ক মাত্র একটি, ঘুরিয়ে পরেন সকলেই
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/04/27/resize-600x315x1x0image-4355-1619500813.jpg)
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে। গত দুইদিন ধরে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা তিন হাজার ছুঁইছুঁই। ভয়ঙ্কর এই অবস্থায় সংক্রমণকে বাগে আনার অন্যতম হাতিয়ার যে মাস্ক, চিকিৎসক থেকে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি, সকলেই বলছেন সে কথা।
কিন্তু সেই সতর্কবাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জায়গায় জায়গায় চলছে নিয়ম ভাঙার খেলা। মাস্ক পরা নিয়ে যখন এমন সব অজুহাত খাড়া করছেন কেউ কেউ, তখন অন্য ছবি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে।
হরিরামপুরের অখ্যাত গ্রাম ছোটকড়ি। চাষবাস আর পশুপালনই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। গ্রামে ঘুরলেই স্পষ্ট দারিদ্রতার ছাপ। গ্রামে ঘুরতে ঘুরতেই দেখা গেল মাস্ক ছাড়াই অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেখানে অভাবের তাড়নায় মাস্ক পরার চেয়ে সেই টাকায় পেটের জ্বালা মেটানোকে প্রাধান্য দেন গ্রামবাসীরা। কোনও পরিবারে সাতজন, কোনও পরিবারের ৯ জন সদস্য। অথচ মাস্কের সংখ্যা কোথাও ১ বা বড়জোর দুই।
এমনই একটি পরিবারের সদস্য নবম শ্রেণির এক ছাত্রী জানাল, তারা চার বোন। বাড়িতে সদস্য সংখ্যা ৭। কিন্তু, তাদের মাস্ক মাত্র একটি। ওই ছাত্রী বলছে, কখনও দিদি পরে বেরোয়, কখনও আমি পরে বেরোই। যখন বেরোই দিদির মাস্ক পরে যাই, আমি ফিরলে দিদি ওটা পরে বেরোয়। আর দুজনকে একসঙ্গে বেরোতে হলে, একজন পরে, আরেকজন পরে না।
কোনও বাড়িতে দুটো মাস্ক। সদস্য সংখ্য নজন। রোগ থেকে বাঁচতে সেখানেও পালা করে মাস্ক পরেন সদস্যরা। পরিবারের সদস্য ছাত্রী বললেন, দুটো মাস্ক স্কুল থেকে দিয়েছিল। দুটোই সম্বল। যে যখন বেরোই তখন এই মাস্কই পরে যাই। আরেকজন বাসিন্দা জানান, তার বাড়িতেও একটিই মাস্ক রয়েছে। একাধিকবার ব্যবহার হয়েছে তা। এখন ধুয়ে রেখে দিয়েছেন। কোনও বিয়ে বা অনুষ্ঠানে গেলে তখন মুখে ওঠে মাস্ক।
এক গৃহকর্তা বললেন, আমার ছোট্ট মুরগির ফার্ম, কোথা থেকে কিনব, মাস্ক কেনার পয়সা নেই, আমি জানি করোনা খুব ভয়ঙ্কর, কিন্তু মাস্ক কেনার ক্ষমতা নেই।
শুধু একটি বাড়িই নয়। পাশের বাড়িতেও একই ছবি। সত্তর ছুঁইছুঁই বৃদ্ধর বক্তব্য, তিনি কখনও মাস্ক পরেননি। বললেন, পয়সা কোথায় যে মাস্ক কিনব! তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধের পুত্রবধূর হাতে রয়েছে একটা মাস্ক। জানালেন, ভোট দেয়ার পর পেয়েছেন। গ্রামের এক বাসিন্দা বললেন, কী করে মাস্ক কিনে দেব ছেলেমেয়েদের, সংসারই চলে না, কিনে দেয়ার কোনও উপায় নেই।
গ্রামেরই আরেক বাসিন্দার দাবি, তার বাড়িতেও একটা মাস্ক আছে। সেটা দিয়েই বাকি পাঁচজনের চলে যায়।
গ্রামের রাস্তায় আরও অনেককেই মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল। প্রত্যেকেরই দাবি, পয়সার অভাবেই মাস্ক কিনতে পারছেন না তারা।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
এএ
জনদুর্ভোগ
সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা
বৃষ্টিপাত কমায় গত কিছুদিন ধরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি ক্রমাগতভাবে কমে বন্যা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী সমূহের পানিসমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানিসমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এএম/
অপরাধ
মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক টেকনাফে
কক্সবাজারের টেকনাফে হঠাৎ মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। মাসখানেকের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, বাইকের মাথা লক করা থাকলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ফুটবল খেলা দেখার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফয়াজ এর বাড়িতে যাই। এ সময় মোটর সাইকেলটি বাড়ির সামনে উঠানে রেখে বাড়িতে প্রবেশ করি। যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর- কক্সবাজার-ল-১২-১৩৬০, সিসি- ১৫৫, রং-কালো, ইঞ্জিন নং- BGA1-786520, চেসিস নং- RMBL- EB11J-105433। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মোটর সাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
একই কায়দায় মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ করে পুরান পাড়ার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ৭ জুন রাতে আমার নিজ বাড়ির ভিতরে নীল কালারের ভার্সন-২ গাড়িটা রেখেছি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির গেটের তালা ভেঙে মোটর সাইকেলটি নাই।
লবণ ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ভুলু নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, চলতি মাসের ১৪ তারিখে গভীর রাতে আমার ফেজার মোটর সাইকেলটি বাড়ির উঠানে রেখেছি। ঘণ্টাখানেক পর বের হয়ে দেখি বাইকটি উধাও। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে আয়ুদের দায়িত্ব দিয়েছি। এ বিষয়ে যথেষ্ঠ তৎপর রয়েছি। তারপরও বিষয়টি দেখছি।
এএম/
খুলনা
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ছোটদুধপাতিলা রেলগেটে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন রেলগেট পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আলামিন হোসেন (২৯)। তিনি সদর উপজেলার ডিহি কৃষ্ণপুর ডাক্তার পাড়ার ঝন্টু আলীর ছেলে।
বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে দর্শনা হল্ট স্টেশন রেলওয়ে পুলিশ ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, দামুড়হুদা উপজেলার ছোটদুধপাতিলা গ্রামের রেলগেটে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন এসে পৌঁছালে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আলামিন হোসেন অরক্ষিত রেলগেট পার হতে যায়। এ সময় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ও দর্শনা রেল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে দর্শনা রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
এএম/
-
পর্যটন23 hours ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম12 hours ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
আবহাওয়া3 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
অপরাধ21 hours ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
টুকিটাকি2 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর2 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়2 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…