Connect with us

বাংলাদেশ

শাবাশ নির্বাচন কমিশন

Published

on

নির্বাচন কমিশন একের পর এক চমক উপহার দিয়ে চলেছে মানুষকে। এর সর্বশেষ কাণ্ড নিজেকে নিজে ক্ষমতাহীন করার বিভিন্ন প্রস্তাব। নানা মহলের সমালোচনার মুখে এ প্রস্তাবগুলো থেকে কমিশন এখন সরে এসেছে বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো খুব স্পষ্ট নয়। কমিশনের সচিব দাবি করেছেন তাঁরা ‘ভুল করে’ বা ‘বোঝাপড়ার মাধ্যমে’ প্রস্তাবগুলো করেছিলেন। যেভাবেই করা হোক না কেন, এটি বিস্ময়কর, অত বড় একটি সাংবিধানিক কমিশনের জন্য।

সাবেক আমলা কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন এই কমিশন অবশ্য বিস্ময়কর কর্মকাণ্ডের জন্যই খ্যাতিমান। তাদের অতুলনীয় কীর্তির স্বাক্ষর হয়ে আছে ২০১৮ সালের ‘নৈশ’ নির্বাচন। এর আগে ২০১৪ সালে এক অদ্ভুত নির্বাচন আয়োজন করে বসেছিল রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তখনকার নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে একাধিক প্রার্থী না থাকায় ভোট গ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যায়, নির্বাচনের দিনের আগেই সরকারি দল নির্বাচনে জিতেছে তা নিশ্চিত হয়ে যায়। নজিরবিহীন এ কাণ্ড করার জন্য শতাধিক আসনে নির্বাচন কমিশন নিজেই একজন বাদে অন্য প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করে দেয়। আমার মতো দুর্মুখরা নির্বাচনটির নাম দেয় প্রার্থীবিহীন নির্বাচন।

বিস্ময়ের কশাঘাতে আমরা যারা স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম, তাদের জন্য আরও বিস্ময় বাকি ছিল। ২০১৮ সালে নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন এগিয়ে যায় আরেক ধাপ। এবার আর প্রার্থী নয়, তিন শ আসনে নির্বাচন আয়োজিত হয় প্রায় ভোটারবিহীনভাবে। বিরোধী দলগুলোর প্রার্থিতা বাতিল, প্রার্থী-কর্মী-এজেন্ট গ্রেপ্তার, (কখনো গুলিবিদ্ধ) বা এলাকাছাড়া হওয়ার পর এ নির্বাচনে ভোটারদেরও কষ্ট করতে দেয়নি কমিশন। নির্বাচনের আগের রাতে ভোট বাক্স ভরে ফেলার ব্যবস্থা করা হয় এবং প্রকৃত ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় বহু কেন্দ্রে। ভোটারবিহীন নির্বাচনে সৃষ্টি হয় ভোটের নতুন নতুন রেকর্ড। দুই শতাধিক কেন্দ্রে পুরোপুরি শতভাগ ভোট পড়ে (কিছু কেন্দ্রে তারও বেশি), হাজারের বেশি কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থীরা পান শূন্য ভোট (কিছু কেন্দ্রে বিরোধী দলের সব প্রার্থী মিলে পান শূন্য ভোট) এবং বহু কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রার্থীরা পান প্রায় শতভাগ ভোট! সরকারি দল ও তার মিত্ররা বিজয়ী হন ৯৬ শতাংশ আসনে!

বিজ্ঞাপন

এমন নির্বাচন আয়োজন করে বুক ফুলিয়ে চলতে সাহস নয়, প্রয়োজন হয় দুঃসাহসের। সেই দুঃসাহস কমিশন দেখায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে। এত বড় দুঃসাহসী কাজ করেও কমিশন কোনো প্রশংসা পায়নি। এতে রাগ করেই কিনা জানি না কমিশন এবার উদ্যোগ নিয়েছিল আরও চমকপ্রদ একটি নির্বাচনের। তাদের উদ্যোগ সফল হলে পরবর্তী নির্বাচনটি হতো নির্বাচন কমিশনবিহীন নির্বাচন। এ জন্য তারা নিজেরাই কমিশনের বহু ক্ষমতাকে বাতিল করার প্রস্তাব করেছিল গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনীর একটি খসড়ায়।

Advertisement

নির্বাচন সফল করার জন্য অন্য অনেক কিছুর মতো প্রয়োজন নির্বাচনী এজেন্ট আর পর্যবেক্ষক নিয়োগ আর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ক্ষমতা। আরও প্রয়োজন আইন লঙ্ঘনকারী প্রার্থীর প্রার্থিতা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিলের ক্ষমতা। এসব বিষয়ে ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে আর কমিশনের হাতে না রেখে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল স্বয়ং কমিশন!

২.
কমিশনের উদ্যোগে ‘মুগ্ধ’ নাগরিকদের নিয়ে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) নামের সংগঠনটি। সেখানে আর ভুল করেননি অনেকে। নিজের সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতা নিজে কমানোর উদার প্রস্তাবে মুগ্ধ হয়ে কেউ কমিশনকে প্রশংসাবাণী দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। কেউ প্রশংসা করেছেন করোনাকালে লক্ষাধিক ভোটার ‘হাজির’ করে চারটি আসনে উপনির্বাচন করানোর কীর্তিকে। কেউ প্রস্তাব করেছেন রকিবউদ্দীন আর নূরুল হুদার মতো দুজন সিইসি খুঁজে বের করতে পেরেছে যে সার্চ কমিটি, তাকে ধন্যবাদ জানানোর!

কমিশন এখন বলছে, তারা নাকি ভুল করে ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাবগুলো করেছিল। তবে ওয়েবিনারে দেখলাম, কিছু গণ্যমান্য আলোচক সন্দেহ করছেন একবার যখন তারা এ চেষ্টা করেছে, ভবিষ্যতে আবারও করতে পারে তা। আমার নিজের অবশ্য মনে হলো করলেই ভালো একদিক দিয়ে। প্রার্থী, এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, ভোটার কারও নিরাপত্তা দিতে আগ্রহী নয় কমিশন, এটি দেখা গেছে আগের নির্বাচনে। যথেষ্ট ক্ষমতাবান হয়েও তারা প্রশাসন আর পুলিশকে তাদের অন্যায় কাজে বাধা দেয়নি। সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগের পরও তাদের প্রার্থিতা বাতিল বা মৃদু কোনো শাস্তিরও ব্যবস্থা নেয়নি। কাজেই অযথা ক্ষমতার বাতাবরণ রেখে প্রয়োজন কী?

বিজ্ঞাপন

আমি বরং প্রস্তাব করছি সামনের নির্বাচনে কারা প্রার্থী হতে পারবেন, সেটি নির্ধারণের ক্ষমতাও কমিশন দিয়ে দিক সরকারকে। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ নাকি কমিশন সরকারকে দিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে। এ পরিচয়পত্র প্রদানের ক্ষমতা হাতে থাকলে সরকার ভোটার তালিকা করতে পারবে ইচ্ছেমতো। এর সঙ্গে প্রার্থী ঠিক করার ক্ষমতাও সরকারকে দিয়ে দিলে সব ঝামেলা চুকে যায়। কমিশনকে তখন আর গালমন্দ করতে পারবে না কেউ। যে ক্ষমতা আইনেই থাকবে না, সে ক্ষমতা প্রয়োগে অনীহা বা ব্যর্থতার অভিযোগ আর উঠবে না তাদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন গোল্লায় যাক, কমিশনের পবিত্রতা তো রক্ষা হবে তাতে। দুধে-ভাতে কমিশনাররা থাকবেন বিনা অপরাধবোধে!

Advertisement

এমন মহৎ চিন্তার জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত না?

৩.
ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কমিশনের ইচ্ছা বা প্রচেষ্টা অচিন্তনীয়ও বটে। ক্ষমতার জন্য কিনা করে মানুষ। রাজরাজড়ার যুগে এ ক্ষমতার জন্য নিজের পরিবারকে নিকেশ করে দেওয়ার বহু উদাহরণ আছে। মোগল সম্রাট আলমগীর অসাধারণ সমরনায়ক ও শাসক ছিলেন, তাঁর চার যুগের শাসনকাল প্রায় ভারত উপমহাদেশজুড়ে বিস্তৃত ছিল। কিন্তু এর আগে তিনি মসনদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিজের তিন ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ান, অসুস্থ পিতা সম্রাট শাহজাহানকে আমৃত্যু বন্দী করে রাখেন আগ্রার দুর্গে।

একচ্ছত্র রাজতন্ত্রকালে ক্ষমতার জন্য এমন নিষ্ঠুরতা অবশ্য বিরল ছিল না পৃথিবীর কোথাও।

লিবারেটেরিয়ানদের ইতিহাস রচনায় অন্যতম থিমই হচ্ছে ক্ষমতার অদম্য লোভ এবং এর দূষিত প্রভাব। পরের যুগে দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিরাষ্ট্র আর গণতন্ত্রের ধারণার প্রসার ঘটেছে। গণতন্ত্রকালে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার জন্যও নানা ছলাকলা করা হয়েছে পৃথিবীর বেশির ভাগ রাষ্ট্রে। ক্ষমতায় থাকা সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে রেষারেষি হয়েছে ক্ষমতার ভাগ নিয়ে। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি, সংসদের সার্বভৌমত্ব, সরকারপ্রধানের দায়মুক্তি, সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার থিওরি, জুডিশিয়াল রিভিউ, ডকট্রিন অব পলিটিক্যাল কোয়েশ্চেন, ফ্লোর ক্রসিং নামে নানা তত্ত্ব ও নীতির সৃষ্টি হয়েছে। এসবই নিজের ক্ষমতা সংহত করার জন্য বা অন্যের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

নিজের ক্ষমতা বাড়ানো বা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশনও তৎপর হয়েছে। প্রয়োজনে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু কোনো দিন কোনো কমিশন (বা সরকারি প্রতিষ্ঠান) নিজের ক্ষমতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে, এটি কোথাও হয়নি সম্ভবত।

Advertisement

এ উদারতার জন্য কেন পারলাম না আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করতে? হয়তো এ কারণেই কমিশন তার প্রস্তাব থেকে সরে আসার কথা বলছে এখন। হয়তো প্রশংসা বা প্রণোদনা অন্তত সরকার থেকে না পেলে তারা আর এগোবে না এমন উদার পথে!

সত্যি অনন্য এই কমিশন!

আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক

অপরাধ

‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

Published

on

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। ফাইল ছবি

তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্দেশে একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক কর্মী ও তার বন্ধুকে তুলে তার কক্ষে আনা হয়। তারপর ওই কক্ষে আসেন শাখা ছাত্রলীগের ওই সাধারণ সম্পাদক। তারপর ছাত্রদলের ওই দু্ই কর্মীকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুসি মারতে থাকেন।  তিন ঘণ্টা ধরে এভাবে নির্যাতনের পর শাখা ছাত্রলীগের ওই সাধারণ সম্পাদক একটা পিস্তল দেখিয়ে ছাত্রদলের ওই কর্মীকে জিজ্ঞেস করেন, তার কোন পায়ে সে গুলি করবে। পরে রাত একটার দিকে হলের সহকারী প্রক্টরদের হাতে ছাত্রদলের ওই কর্মীকে তুলে দেওয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার(৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে বলে  গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। ফাইল ছবি

ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতার নাম নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি রাজশাহী শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ইউনুস খান। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের তিন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথরোধ করে তাদের বাইকে আমাকে  ও আমার বন্ধুকে তুলে মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।’

Advertisement

ভুক্তভোগী নাফিউল আরও বলেন, ‘  কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে এসে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে আমাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও মাথার ওপর কিল-ঘুসি মারেন। এরপর একটা পিস্তল বের করে গুলি লোড-আনলোড করতে করতে আমাকে বলেন, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে।’ এমন করতে করতে একবার শুট করেন। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। পরে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রক্টরদের হাতে তুলে দেন।’

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতন করে সন্ত্রাসীদের সংগঠন ছাত্রলীগ কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে। সেই সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রকাশ্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত আহত ও নির্যাতন করছে।’ রাবি প্রশাসন ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করেন।

তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ বলে জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তিনি গণমাধ্যমকে  বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। আমরা সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করি।’

গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রলীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, ছাত্রলীগ করে না। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র নয়।’

এবিষয়ে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেন।”

Advertisement

অভিযোগের ব্যাপারে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রক্টর জানান, মারধর বা নির্যাতন করা হয়েছে কিনা জানি না। তাছাড়া মারধর কিংবা নির্যাতনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

গ্রাম আদালত বিল পাস

Published

on

গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিলটি পাস হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সংশোধিতে বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

এর আগে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস করা হয়।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

রোহিঙ্গা  সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে  বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর এক‌টি হোটেলে সফররত আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপে ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২৪ প্রকাশ কালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ব্রিডিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ ক‌রে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।  ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

Advertisement

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে, যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

প্রসঙ্গত, এসময় ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ  গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অপরাধ15 mins ago

‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্দেশে একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক কর্মী ও তার বন্ধুকে তুলে তার...

জাতীয়57 mins ago

গ্রাম আদালত বিল পাস

গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪...

জাতীয়1 hour ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা  সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। একই...

বাংলাদেশ2 hours ago

যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়

মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিনের ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখা ১০০ প্রভাবশালীর’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ-৩...

জাতীয়4 hours ago

সংসদে লোডশেডিং এর কারণ জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী

চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায়...

জাতীয়6 hours ago

‘৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবে’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মানে নিয়োজিত জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে।  ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে...

জাতীয়7 hours ago

ফের বাড়লো হজ ভিসা আবেদনের সময়

কাঙ্ক্ষিত হজ ভিসা আবেদন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে এর আবেদন করার সময়। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১১ মে...

আইন-বিচার7 hours ago

গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনে হাইকোর্টের রুল

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি...

জাতীয়7 hours ago

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহে আইওএম’র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

রোহিঙ্গা সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে...

জাতীয়9 hours ago

হজযাত্রীদের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ছে

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৯ মে)। বুধবার (৮ মে) হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।...

Advertisement
অপরাধ15 mins ago

‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

জাতীয়57 mins ago

গ্রাম আদালত বিল পাস

জাতীয়1 hour ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হলিউড1 hour ago

এবার বিয়ে করে থিতু হচ্ছেন সেলেনা গোমেজ

বাংলাদেশ2 hours ago

যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়

আন্তর্জাতিক2 hours ago

গাজার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ দখল করলো ইসরাইল

দেশজুড়ে2 hours ago

আটকের ১২ ঘন্টা পর ছাড়া পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

আন্তর্জাতিক3 hours ago

জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ, ইউক্রেনের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

অর্থনীতি3 hours ago

টানা ৩য় দফায় বাড়লো স্বর্ণের দাম

রাজশাহী4 hours ago

পাথরের ট্রাক থেকে ৫ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার

আন্তর্জাতিক5 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

ঢালিউড5 days ago

‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’

তথ্য-প্রযুক্তি4 days ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢালিউড5 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ5 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

অপরাধ6 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

দেশজুড়ে6 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

বাংলাদেশ3 days ago

স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ

ঢালিউড5 days ago

শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী

জাতীয়3 days ago

তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

উত্তর আমেরিকা2 weeks ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি2 months ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায়
Exit mobile version