ফাইজারের করোনার ওষুধ আসতে পারে চলতি বছর

এবার করোনার চিকিৎসায় খাওয়ার উপযোগী ওষুধ বাজারে আনছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। চলতি বছরের শেষের দিকে ওষুধটি বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বোরলা। মঙ্গলবার মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।

সিএনবিসি জানায়, এরই মধ্যে ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করোনার টিকার প্রয়োগ চলছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এবার করোনার চিকিৎসায় দুটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নিয়েও কাজ করছে ফাইজার। এর একটি মুখে, অন্যটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করার ওষুধ।

আলবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, এই দুইটি অ্যান্টি-ভাইরালের মধ্যে মুখে খাওয়ার ওষুধটির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসেবে জানান, মুখে খাওয়ার ওষুধের একাধিক সুবিধা রয়েছে। তার একটি হলো, এই ওষুধ নেওয়ার জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে না। ঘরে বসেই নেওয়া যাবে।

আলবার্ট বোরলা বলেন, সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে এখন যে গতিতে কাজ চলছে সেই একই গতিতে ওষুধটি তৈরির প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের মতো গতিশীলভাবে কাজ করলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওষুধটি তৈরি হয়ে যাবে বলে তাঁর আশা।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গেল বছরের ডিসেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার অনুমোদন দেয় ব্রিটেন। পরে জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকার অনুমোদন দেয় অন্যান্য দেশও। ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা কার্যকর ৯৫ শতাংশ।

এদিকে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত মাত্র একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ অনুমোদন পেয়েছে। তার নাম রেমডিসিভির। এটি একটি ইনজেকশন। মার্কিন কোম্পানি গিলিয়েড সায়েন্সেস ওষুধটির প্রস্তুতকারক।

এসএন

Recommended For You

Exit mobile version