Connect with us

এশিয়া

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের দখলে সেনাঘাঁটি, রকেট হামলা

Published

on

মিয়ানমারের দুইটি বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ চালালো অজ্ঞাত হামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার ভোরে মধ্যাঞ্চলীয় শহর মাগওয়ের নিকটবর্তী বিমান ঘাঁটিতে প্রথম হামলা হয়। এর কিছুক্ষণ পর মাগওয়ের উত্তর-পূর্বে দেশটির প্রধান বিমান ঘাঁটিগুলোর অন্যতম মেইকতিলায় পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়। এ হামলায় কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানায়নি সেনাবাহিনী।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্বৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বার্তা সংস্থা ডেল্টা নিউজ এজেন্সির ফেইসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ঘটনার সময় কাছাকাছি থাকা সাংবাদিক থান উয়িন হ্লাইং। তিনি জানান, স্থানীয় সময় ভোরে মাগুয়ে শহরের বিমানঘাঁটিতে তিনটি জোরালো বিস্ফোরণ হয়। দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে মেইকতিলায় অবস্থিত দেশের প্রধান বিমানঘাঁটিতে ৫টি রকেট ছোঁড়া হয়। নিজস্ব বার্তা সংস্থা ডেল্টা নিউজ এজেন্সিতে দুটি হামলার খবর প্রকাশ করা হয়।

হামলার একটি ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক থান উয়িন হ্লাইং। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হামলার বিষয়ে দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীও।

এদিকে মিয়ানমারের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্য শহরের উদ্দেশে ছুটছে স্থানীয়রা। সকালে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকা ছাড়তে শুরু করে তারা।

Advertisement

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কারেন রাজ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। গেল মঙ্গল ও বুধবার রাজ্যের সালবিন নদীর কাছে কয়েকটি সেনাঘাঁটি এবং তল্লাশি চৌকি দখলের দাবি করেছে কারেন বিদ্রোহীরা। একটি সামরিক চৌকিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। অঞ্চলটিতে টহল দিচ্ছে তারা। মিয়ানমার থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছে নদীর থাই অংশের বাসিন্দারা।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন জানায়, তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর অবস্থানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। কেএনইউর বিদেশ বিষয়ক প্রধান পাদোহ শো থো নী বলেন, বার্মিজ সামরিক ক্যাম্প দখলে নিয়েছে আমাদের সেনারা।

গেল মাসে একটি সামরিক ঘাঁটি দখলে নেয় কারেন বিদ্রোহীরা। এরপর কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়ে জবাব দেয় জান্তা সরকার। গেল ২০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম বিমান হামলার ঘটনা ঘটল কারেন রাজ্যে।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৪ হাজার বাসিন্দা। এদের মধ্যে অন্তত দুই হাজার জন নদী পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমারের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড বিশেষ করে সীমান্তবর্তী বেশকিছু এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব বিদ্রোহীদের রয়েছে নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনী।

Advertisement

 

এসএন

এশিয়া

গাজায় স্কুলে বিমান হামলা, নিহত ১৬

Published

on

এবার গাজার এক স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ডজন খানেক। হতাহতদের মধ্যে অনেকেই মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধ। জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

শনিবার (৬ জুলাই) মধ্য গাজার আল-নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারের আশ্রয় নেয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্কুলে হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। গাজা সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এক বিবৃতিতে মাহমুদ বাসাল বলেছেন, স্কুলে হামলার অর্থ হলো গাজার কোনো জায়গা নিরাপদ নয়। যদিও এসব ফিলিস্তিনি পরিবার হামলা থেকে বাঁচতেই ঘরবাড়ি ছেড়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলো।

Advertisement

গাজা উপত্যকার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি হলো আল-নুসিরাত। এই শরণার্থী শিবির নিশানা করে সম্প্রতি হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে আজই এই শরণার্থী শিবিরে হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছিল।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ আরও বাড়িয়েছে এবং এতে পাঁচ সাংবাদিকসহ বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনিও নিহত হয়েছেন। একদিনে পাঁচ সাংবাদিকের মৃত্যুর মাধ্যমে গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

কাবা ঘর সেজেছে ‘নতুন গিলাফে’

Published

on

মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম তথা ‘কাবা ঘরের’ গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। কালো কাপড়ের স্বর্ণখচিত গিলাফ মোড়ানো আরবিয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য। প্রতিবছর হজের সময় পুরোনো গিলাফ পরিবর্তন করে কাবা ঘরে নতুন গিলাফ পরানো হয়। কিন্তু এবার তা নতুন বছরে করা হয়েছে।

শনিবার ১ মুহাররম (সন্ধ্যা থেকে দিন গণনা শুরু) আরবি নতুন বছর উপলক্ষে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় এশারের নামাজের পর রাত পৌনে দশটার দিকে পবিত্র ঘরের নতুন গিলাফ পরিধানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

হারামাইন শরীফাইন কর্তপক্ষ জানায়, প্রতি বছর হজের দিন গিলাফ পরিবর্তন করা হলেও গতবছর সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে নতুন বছরে তা করা হবে।

শুঁয়োপোকা বা রেশম পোকার সাহায্যে তুঁত গাছের পাতা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত দামি রেশম সুঁতোয় তৈরি হয় কাপড়। সেই কাপড় দিয়েই তৈরি হয় পবিত্র কাবার গিলাফ। গিলাফ তৈরির পর তাতে স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে লেখা হয় পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত।

সৌদি আরবের বিশেষ একটি কারখানায় উৎপাদিত হয় কাবার এই ‘কালো গিলাফ’, যার মায়ায় পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিম প্রেমের মালা গাঁথেন। সৌদি আরবের ওই কারখানাটি শুধুমাত্র কাবার গিলাফ তৈরির জন্যই নির্মিত হয়েছে। কারখানার দক্ষ কারিগররা কয়েকমাসের চেষ্টায় তৈরি করেন কালো গিলাফ।

Advertisement

প্রতিবছর পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরিধান করানো হয়। পুরোনো গিলাফের অংশবিশেষ কেটে কেটে পরবর্তীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্দশনস্বরূপ উপহার হিসেবে পাঠায় সৌদ সরকার। বাংলাদেশকেও এমন মূল্যবান টুকরো দিয়েছিল সৌদি সরকার। যেটি জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে দরজায় লাগানো রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান

Published

on

ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ সংসদ সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হন।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। অন্যদিকে সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।

১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।

উল্লেখ করা যায়, শুক্রবার দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকলেও তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

ইরানে এখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম চলছে বলে দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। সন্ধ্যার পর ভোটারদের সারি বাড়তে থাকে এবং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সারি আরো দীর্ঘায়িত হয়।

Advertisement

এর আগে গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী তেহরানে দিনের প্রথম প্রহরেই ভোট দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। ভোটাধিকার প্রয়োগের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ আজ একটি ভালো দিন। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আজ আমাদের প্রিয় জনগণের সক্রিয় হওয়ার দিন। অর্থাৎ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার দিন। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রিয় জনগণ ভোট দিয়ে সেরা প্রার্থীকে বেছে নেবেন। এই পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় কাজটি শেষ করবেন।

গেলো ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে কেউ এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়। ২৮ জুনের নির্বাচনে ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার ভোট দেন। এরমধ্যে সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেশকিয়ান পান এক কোটি ৪ লাখ ভোট। অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক ও বিপ্লবের মূলনীতির অনুসারী সাঈদ জালিলি পান ৯৪ লাখ ভোট।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version