Connect with us

দুর্ঘটনা

দাদি মৃত্য খবরে, গ্রমে যাওয়ার পথে পরিবারের সবাইকে হারিয়েছে শিশু মীম

Published

on

খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারখালী গ্রামের মনির মিয়া ও হেনা বেগম দম্পতির সন্তান মীম আক্তার। তার বয়স মাত্র নয় বছর। মা, বাবা আর তিন বোন মিলে ছিলো তাদের সংসার।

শনিবার (১ মে) দিনগত রাতে খুলনায় মীমের দাদি মারা যায়। সেই খবর পেয়ে পরিবারের সবাই ঢাকা থেকে খুলনায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু পদ্মা নদীতে দুর্ঘটনায় দাদির মরদেহ দাফনের আগে পরিবারের সবাইকে হারালো মীম। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে মীমের বাবা মনির মিয়া (৩৮), মা হেনা বেগম (৩৬), বোন সুমী আক্তার (৫) ও রুমি আক্তার (৩)। বেঁচে গেছে শুধু মীম। 

সোমবার (৩ মে) ভোররাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরনো ঘাটে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবে তিন শিশু ও দুই নারীসহ মোট ২৬ জন নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনায় স্পিডবোট দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ছিটকে নদীর তীরে বালুর মধ্যে পড়ে মীম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দুপুর ৩টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে। সেখানে রাখা ছিলো দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ। মীম বাবা, মা ও দুই বোনের মরদেহ শনাক্ত করে। তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে মীম। মীমের কান্না দেখে অনেকে অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।

মীম বলে, ‘দাদির মরদেহ দেখতে খুলনা যাচ্ছিলাম বাবা-মার সঙ্গে। দাদির লাশ দাফনের আগে সবাই মারা গেলো। আমি এখন কার কাছে থাকবো?’

Advertisement

শেখ সোহান

চট্টগ্রাম

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে লরি, শিশুসহ পথচারী নিখোঁজ

Published

on

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবন্দর সড়কের মোড়ে বাটারফ্লাই সংলগ্ন পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেছে একটি লরি। এতে পাঁচ থেকে ছয় জন পথচারী লরির নিচে চাপা পড়েছেন। এখনো লরির নিচে শিশুসহ কয়েকজন থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছে, তিন জন পথচারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। লরির নিচে পড়া এক শিশুসহ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা থেকে আসা একটি কনটেইনারবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় ৫-৬ পথচারী লরির নিচে চাপা পড়েন। এর মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

গাজীপুরে স্কুলের লিফট বিকল হয়ে অচেতন ৪ ছাত্রী

Published

on

গাজীপুরের একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে লিফট বিকল হয়ে আটকা পড়ে ছয় ছাত্রী। ২০-২২ মিনিট অবরুদ্ধ ছিল তারা। এতে লিফটে তিনজন ও উদ্ধারের পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারায়। গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

আটকে পড়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, স্কুল ছুটির পর পঞ্চম তলা থেকে লিফটে সে নিচে নামে। টিফিন খেয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য ১২টা ৪২ মিনিটে ৫ সহপাঠীকে নিয়ে তারা আবার লিফটে ওঠে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝামাঝি যাওয়ার পর হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফট আটকে যায়। এ সময় লিফটের ভেতরে অন্ধকার হয়ে যায় এবং তারা চিৎকার দিতে শুরু করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ লিফট তৃতীয় তলায় নিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তখন বেলা একটার বেশি বাজে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও বলেন, লিফটের ভেতরে তাদের শ্বাস নিতে খুবই সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় তাদের তিন সহপাঠী লিফটের মধ্যে জ্ঞান হারায়। লিফট থেকে বের হওয়ার পর সে নিজেও জ্ঞান হারায়। পরে তাদের মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।

অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো লিফটম্যান নেই। লিফটের আকারও ছোট। জেনারেটরটি ম্যানুয়াল। বিদ্যুৎ চলে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিকটবর্তী তলায় থামার ডিভাইস লিফটিতে বসানো নেই।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে সায়লা ফারজানা বলেন, লিফটে স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস নেই। শিগগির লিফট পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবলু রহমান বলেন, ছাত্রীরা লিফটে ওঠার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। বিষয়টি দেখে তিনি দ্রুত জেনারেটর চালু করতে বলেন। কিন্তু জেনারেটরটি চালু হচ্ছিল না। তিনি নিজে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি ইন্টারকমে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ভয় না পেতে বলেন এবং দ্রুত উদ্ধারের আশ্বাস দেন। পরে চাবি দিয়ে তৃতীয় তলায় গিয়ে লিফটের দরজা খুলে দেখেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝামাঝি আটকে আছে। পরে লিফট টেনে তৃতীয় তলায় এনে তাদের উদ্ধার করেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেলো মহাসড়কে, নিহত ৫

Published

on

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

আজ শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৮টার দিকে চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল রিল্যাক্স পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস। বাসটি মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উদ্ধার কাজে নিয়োজিত আছে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version