Connect with us

চট্টগ্রাম

তিন জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন

Published

on

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ১১ হাজার ৯০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (৪ মে) একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আর সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার মোট গ্রামীণ (উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক) সড়ক ২০ হাজার ৫৮৭ কিলোমিটার। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন পাকা সড়কের পরিমাণ ৮ হাজার ৯৪২ কিলোমিটার। অবশিষ্ট কাঁচা সড়ক ১১ হাজার ৬৪৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১ হাজার ৮১৭ কিলোমিটার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতির সঞ্চালন করা হবে। এছাড়া গ্রামীণ জনগণের জন্য গ্রাম, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে।’

একনেক সুপারিশে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার ৩৪টি উপজেলার সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস এবং কৃষি ও অকৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি  হবে। যা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এজন্যই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

Advertisement

শেখ সোহান

চট্টগ্রাম

বজ্রপাতে প্রাণ গেলো দুই শিক্ষার্থীর

Published

on

শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু মাহাদি হাসান এবং স্থানীয় নিকুঞ্জরা মাদরাসার দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী শাহীন মাহমুদ অভি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর কুহুমা এবং দক্ষিণ লাঙ্গল মোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম।

নিহতদের স্বজনেরা জানান, দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে মাঠে গরু আনতে যান মাহাদি। সেখানেই হঠাৎ বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় ঘোপালের দক্ষিণ লাঙ্গল মোড়া এলাকায় বাড়ির পাশে মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান অভি।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি জানান, দুপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিহত মাহাদির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, যুবলীগ নেতাসহ নিহত ২

Published

on

কক্সবাজারে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফের হরিখোলা গ্রামের লাতাইঅং চাকমার ছেলে বারিক্কা (প্রকাশ) কিরণ চাকমা (৪০)। ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি। নিহত অপরজনের পরিচয় যাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ (পরিদর্শক) মো. সামিউদ্দিন বলেন, দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর সংঘর্ষ হয়। এতে দুই জন নিহত হয়। নিহতের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।

রোববার ( ১৯ মে) দিবাগত রাতে উখিয়ার ক্যাম্প -২০ এলাকার পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে এপিবিএন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইচ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ( অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার লক্ষ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ( আরসার) শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও হ্যান্ড গ্রেনেডসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএনের একটি টিম আজ দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকস কাটা তারের বাইরের সংলগ্ন গোয়াম বাগান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরসার চার শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, দুইটি লম্বা কিরিচ, চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, ছয় রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক রাউন্ড কার্তুজ, এগারোটি গুলির খোসা ও দুইটি কার্তুজের খোসা, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল, দুইটি ওয়াকি-টকি চার্জার। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version