এশিয়া
মিয়ানমারে বাসভবনে বন্দি অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/02/06/resize-600x315x1x0image-490-1612581364.jpg)
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অং সান সু চিকে তাদের বাসভবনে বন্দি করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেইপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী খিন মং জো।
আইনজীবী খিন মং জানান, তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নিজেরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। আটক নেতারা কোন আইন ভঙ্গ না করায় তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিও করেন ওই আইনজীবী। তদন্ত চলতে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়াও হয় নি।
সেনা অভ্যুত্থানের দুইদিন পর গেল বুধবার রপ্তানি ও আমদানি আইন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা করে সামরিক সরকার।
পুলিশের আবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন এবং দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত করোনাকালীন বিধিনিষেধ লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, ৭০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরে তার প্রেসিডেন্ট ভবনের ফটকে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি প্রচার সমাবেশে অংশ নিয়ে করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ওই সমাবেশে প্রায় ৭৬০ জন যোগ দেয়। কোভিড মহামারির মধ্যে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ওই সমাবেশে সর্বাধিক ৫০ জনের জমায়েত নির্ধারণ করা ছিল। ব্যাপক সমাগম করেছিল অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের।
এদিকে, পুলিশি হেফাজতে থাকা অং সান সু চির বিরুদ্ধে নেইপিদোয় তার বাসায় অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। মিয়ানমারের বাজারে এ জাতীয় ডিভাইস ব্যাপকভাবে সহজলভ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে সু চির সুরক্ষা দলের কাছে নয়টি ওয়াকিটকি পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে রপ্তানি ও আমদানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী প্রমাণ হলে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ৭৫ বছর বয়সী এই নেত্রীর।
এসএন
এশিয়া
তিস্তার পানি নিয়ে আবারও তোপ দাগলেন মমতা
“তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়া হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ পানি পাবেন না। এখানে মূল পক্ষ আমরা। অথচ আমাদের জানানো হল না। বলছে তিস্তার পানি দেবে বাংলাদেশকে। পানি রয়েছে যে দেবে?” বললেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার (৮ জুলাই) কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও গঙ্গা চুক্তির পুনর্নবায়ন নিয়ে এসব কথা বলেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গার ভাঙনে যে বাড়ি তলিয়ে গেছে, সেগুলো করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৭০০ কোটি টাকার তহবিল আজ পর্যন্ত দেয়নি। ফারাক্কা চুক্তির পুনর্নবায়ন করা হলে বিহারও ভাসবে।
মমতা বলেন, তাদের না জানিয়ে ফারাক্কা চুক্তি রিনিউ করা হচ্ছে। বাংলায় বর্ষা বেশি। নদীমাতৃক দেশ। এখানে নদ-নদী, সমুদ্র, পুকুর বেশি। অনেক পুকুর কাটা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ বন্যায় ভাসছে। সিকিমে বৃষ্টি। ধস নেমেছে।
তিনি বলেন, গঙ্গার ভাঙন কেন্দ্রের দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে দেখছে না। ফারাক্কার ড্রেজিং করেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন চুক্তি হয়, তখন কথা ছিল, বাংলাদেশে যে জল যাচ্ছে,পশ্চিমবঙ্গের যাতে সমস্যা না হয়, ড্রেজিং করা হবে।
এর আগে, গেলো জুনের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল শিগিগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ এক চিঠি লেখেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়।
আই/এ
এশিয়া
গাজায় স্কুলে বিমান হামলা, নিহত ১৬
এবার গাজার এক স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ডজন খানেক। হতাহতদের মধ্যে অনেকেই মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধ। জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
শনিবার (৬ জুলাই) মধ্য গাজার আল-নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারের আশ্রয় নেয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্কুলে হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। গাজা সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এক বিবৃতিতে মাহমুদ বাসাল বলেছেন, স্কুলে হামলার অর্থ হলো গাজার কোনো জায়গা নিরাপদ নয়। যদিও এসব ফিলিস্তিনি পরিবার হামলা থেকে বাঁচতেই ঘরবাড়ি ছেড়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলো।
গাজা উপত্যকার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি হলো আল-নুসিরাত। এই শরণার্থী শিবির নিশানা করে সম্প্রতি হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে আজই এই শরণার্থী শিবিরে হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছিল।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
এদিকে শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ আরও বাড়িয়েছে এবং এতে পাঁচ সাংবাদিকসহ বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনিও নিহত হয়েছেন। একদিনে পাঁচ সাংবাদিকের মৃত্যুর মাধ্যমে গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
টিআর/
এশিয়া
কাবা ঘর সেজেছে ‘নতুন গিলাফে’
মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম তথা ‘কাবা ঘরের’ গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। কালো কাপড়ের স্বর্ণখচিত গিলাফ মোড়ানো আরবিয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য। প্রতিবছর হজের সময় পুরোনো গিলাফ পরিবর্তন করে কাবা ঘরে নতুন গিলাফ পরানো হয়। কিন্তু এবার তা নতুন বছরে করা হয়েছে।
শনিবার ১ মুহাররম (সন্ধ্যা থেকে দিন গণনা শুরু) আরবি নতুন বছর উপলক্ষে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় এশারের নামাজের পর রাত পৌনে দশটার দিকে পবিত্র ঘরের নতুন গিলাফ পরিধানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
হারামাইন শরীফাইন কর্তপক্ষ জানায়, প্রতি বছর হজের দিন গিলাফ পরিবর্তন করা হলেও গতবছর সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে নতুন বছরে তা করা হবে।
শুঁয়োপোকা বা রেশম পোকার সাহায্যে তুঁত গাছের পাতা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত দামি রেশম সুঁতোয় তৈরি হয় কাপড়। সেই কাপড় দিয়েই তৈরি হয় পবিত্র কাবার গিলাফ। গিলাফ তৈরির পর তাতে স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে লেখা হয় পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত।
সৌদি আরবের বিশেষ একটি কারখানায় উৎপাদিত হয় কাবার এই ‘কালো গিলাফ’, যার মায়ায় পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিম প্রেমের মালা গাঁথেন। সৌদি আরবের ওই কারখানাটি শুধুমাত্র কাবার গিলাফ তৈরির জন্যই নির্মিত হয়েছে। কারখানার দক্ষ কারিগররা কয়েকমাসের চেষ্টায় তৈরি করেন কালো গিলাফ।
প্রতিবছর পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরিধান করানো হয়। পুরোনো গিলাফের অংশবিশেষ কেটে কেটে পরবর্তীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্দশনস্বরূপ উপহার হিসেবে পাঠায় সৌদ সরকার। বাংলাদেশকেও এমন মূল্যবান টুকরো দিয়েছিল সৌদি সরকার। যেটি জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে দরজায় লাগানো রয়েছে।
-
ঢাকা7 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
-
ঢালিউড6 days ago
দীঘির বিয়ে? যা বললেন অভিনেত্রীর বাবা সুব্রত
-
অন্যান্য7 days ago
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
-
ফুটবল6 days ago
নির্ধারিত হলো কোপার কোয়ার্টার ফাইনালের দল ও সময়
-
ফুটবল1 day ago
দেখে নিন ইউরোর সেরা ৪ দলের ম্যাচ সূচি
-
অপরাধ6 days ago
মেয়ের পরিকল্পনায় খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী: পিবিআই
-
বাংলাদেশ2 days ago
চাঁদ দেখা যায়নি, পবিত্র আশুরা যেদিন
-
ক্রিকেট5 days ago
বিসিবির কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিন সাবেক ক্রিকেটার