Connect with us

জাতীয়

রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এ অঞ্চলের মানুষের আপনজন: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ এবং তার সৃষ্ট কর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। কবিগুরু ছিলেন বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের একান্ত আপনজন। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৭ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিশ্বকবির ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। বাংলা ও বাঙালির অহংকার। প্রতিভা ও শ্রমের যুগলবন্দির সম্মিলনে তিনি অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে করেছেন ঐশ্বর্যমণ্ডিত। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগতকে দেখেছেন, অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলার সহস্রধারায় উৎসারিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবহমান বাংলার রূপ যেমন তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিতে ভাস্বর হয়েছে, তেমনই মানবতাবাদী বাণী তার সাহিত্যকে দিয়েছে অতুলনীয় মহিমা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পের প্রতিটি শাখায় তার অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। কবির সমস্ত সৃষ্টির মূলে নিহিত মানবতাবাদ তাকে বিশিষ্টতা দান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক। রবীন্দ্রনাথের জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার কবিতা ও গান মুক্তিকামী বাঙালিকে উদ্দীপ্ত করেছে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে।’

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘কবিগুরু ছিলেন বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জন্য তার পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি সম্মান জানিয়ে সিরাজগঞ্জে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’’

তিনি বলেন, ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে কালোত্তীর্ণ ও কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। রবি ঠাকুরের অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।’’

এস

জাতীয়

মঙ্গলবার ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি

Published

on

উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের ১৫ মে স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

যে সব উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি, জানতে ক্লিক করুন এখানে

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু

Published

on

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬০ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনও ভিসা হয়নি ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গতকাল ১৮ মে মো. মোস্তফা নামের এ হজযাত্রী মক্কায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর-ইজি ০৭৪০৮৪৭। এর আগে, গেলো ১৫ মে চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা যান। ওইদিন মো. আসাদুজ্জামান মদিনায় মারা যান।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ২টা পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৭২টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

Advertisement

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী

Published

on

পঞ্চমবারের মতো এবার বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন বাবর আলী। ১১ বছর পর ভয়ংকর এ যাত্রায় সফল হলেন আরেক বাংলাদেশি। রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান তিনি।

বেসক্যাম্প টিমের বরাতে অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমাদের স্বপ্নসারথি বাবর আলী আজ সকাল স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টা এবং বাংলাদেশ সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের উচ্চতম চূড়া ছুঁয়েছেন। ক্ষণিকের জন্য প্রকৃতি মাতা তাকে উচ্চতম চূড়ায় অবস্থান করার সুযোগ দিয়েছেন।

ফরহান জামান জানিয়েছেন, বাবর আলী এখন ক্যাম্প-৪-এ নামার পথে রয়েছেন। এটা ডেথ জোন বলা চলে। সেখানে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ছবি পেতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

বাবর এভারেস্ট জয় করেই ক্ষ্যান্ত নন জানিয়ে অভিযানের এ প্রধান সমন্বয়ক আরও জানান, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোয় আমরা ভীষণ আনন্দিত। কিন্তু বাবর আলীর লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়। তিনি একই সঙ্গে বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ লোৎসেও জয় করতে চান। রোববার ক্যাম্প-৪-এ নেমে মাঝরাতে আবারও পর্বতারোহণ শুরু করবেন বাবর। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার (২০ মে) ভোরে লোৎসেও জয় করবেন তিনি।

ফরহান জামানের দেয়া তথ্যমতে, এর আগে কোনো বাংলাদেশি লোৎসে পর্বতশৃঙ্গে সামিট করেননি। আবার একই অভিযানে দুটি আট হাজারী শৃঙ্গে চড়েননি। লক্ষ্য পূরণ হলে পর্বতারোহণে বাবর আলী বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবেন।

Advertisement

জানা গেছে, গেলো ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। সেখানে পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষে কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। প্রায় এক সপ্তাহ ট্র্যাকিং শেষে পৌঁছান এভারেস্টের বেসক্যাম্পে। সেখান থেকেই শুরু করেন মূল অভিযান।

বাবর আলীর আগে ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্ট জয় করেন মুন্সিগঞ্জের খালেদ হোসাইন (সজল খালেদ)। অর্থাৎ দীর্ঘ ১১ বছর বিরতির পর বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ জয় করলেন বাবর।

বাবর আলী চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী এ যুবক লেখাপড়া শেষে শুরু করেছিলেন চিকিৎসাপেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।

এভারেস্ট জয়ের আগে বাবর আলী সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মিটার), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মিটার), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মিটার), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মিটার), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মিটার), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মিটার), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মিটার) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ৫৯ মিটার) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এ তরুণ।

বাবর আলী গেলো বছরের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু করেন। এক মাসের চেষ্টায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়িয়ে দিয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী গিয়ে থেমেছিলেন। পথে ভারতের ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত বিভিন্ন অঞ্চল পাড়ি দেন তিনি।

Advertisement

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহীম। ২০১০ সালের ২৩ মে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। এরপর ২০১১ সালের ২১ মে মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, ২০১২ সালের ১৯ মে নিশাত মজুমদার, ২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া নাজরীন এবং ২০ মে সজল খালেদ এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন। নিশাত মজুমদার প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version