পারসেভেরেন্স রোভারে মঙ্গলে নতুন শব্দ পেলো নাসা

সফলভাবে মঙ্গলগ্রহে নামার পর সেখান থেকে ছবি ও ভিডিও পাঠাতে শুরু করেছে নাসার মহাকাশযান পারসেভেরেন্স রোভারের রোবট। আগামী দুই বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে ছয় চাকার এই রোবটযান।

গতকাল শুক্রবার স্পেস এজেন্সি জানায়, গেল ৩০ এপ্রিল নতুন একটি ফুটেজ পাঠিয়েছে ছয় চাকার রোবট। এর সঙ্গে একটি অডিও ট্র্যাক রয়েছে। প্রায় তিন মিনিটের ভিডিওতে বাতাসের শব্দ কম শোনা যায়। তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে অতীত অণুজীবের অস্তিত্ব সন্ধান করেছিল এটি।

পারসেভেরেন্স রোভারের রোবটযানটি প্রথম যে দুটি ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে তা তোলা হয়েছে দুর্বল শক্তির প্রকৌশলী ক্যামেরা দিয়ে। ক্যামেরার লেন্সে ধুলার আস্তরণের মধ্যে দিয়ে ওই রোবটযানের সামনে ও পেছনে সমতল ক্ষেত্র দেখা গেছে।

নাসা জানায়, ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। আগামী দুই বছর সেখানেই গবেষণা চালাবে পারসেভেরেন্স।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহে কয়েক শ’ কোটি বছর আগে বিশাল হ্রদ ছিল। সেই হ্রদে সম্ভবত প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে অনুমান করছে বিজ্ঞানীরা। লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করাই এবারের মঙ্গলাভিযানের প্রধান লক্ষ্য।

মঙ্গলগ্রহে পাথরের যে কোনও রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে অতীতে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকেও থাকলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত পাওয়ার আশা রয়েছে।

এর আগে, নাসার প্রকাশ করা ভিডিওতে লালগ্রহের মাটি দেখা গেছে। মঙ্গল পৃষ্ঠে যে গর্ত রয়েছে তাও ভিডিওতে ধরা পড়েছে। মাটিতে অবতরণের সময় যে ধুলো উড়েছিল তাও দেখা গেছে এবং ঠিক তখনই মাইক্রোফোনে বাতাসের শব্দ ধরা পড়ে। তবে নাসা বলছে, মাইক্রোফোনে তেমন কোনো ব্যবহারযোগ্য ডেটা ধারণ করা হয়নি।

রোভারের টুইটার অ্যাকাউন্টে অডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। টুইটে বলা হয়েছে, আপনারা আগে মঙ্গল দেখেছেন, এখন শুনুন। হেডফোন নিন এবং শুনুন মাইক্রোফোনে ধারণ করা প্রথম শব্দগুলো।

গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে অবতরণ করে পারসেভেরেন্স।

 

এসএন

Recommended For You

Exit mobile version