Connect with us

জাতীয় পার্টি

থাই লেবু চাষ করে লাখপতি নওশের

Published

on

মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের নওশের আলী বারোমাসি থাই লেবু চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। খুব লাভজনক হওয়ায় অল্প দিনেই এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। সপ্তাহজুড়ে নিজ এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার উৎসাহী কৃষকরা তার বাগান দেখতে আসেন। ইতোমধ্যে অনেকেই সেখান থেকে চারা সংগ্রহ করে নতুন নতুন বাগান করছেন।

নওশের আলী বলেন, ‘এ বছর ৪০ শতক জমিতে ১৭৭টি গাছের লেবু প্রায় ২ লাখ টাকা বিক্রি করার পরও গাছে প্রায় দেড় লাখ টাকার লেবু আছে। প্রতিটি গাছে ১ হাজার থেকে ১২শ লেবু আছে। এ ছাড়া নতুন করে আবারও সব গাছে ফুল ও কুশি হয়েছে। এভাবেই সারা বছর লেবু পাওয়া যায়। বছরে পাঁচ-ছয়বার লেবু বিক্রি করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘চারা লাগানোর ১০-১১ মাস পরই ফল তোলা শুরু করা যায়। লেবু বাগানে সাথী ফসল হিসেবে লিচু চারা, ১২০টি সফেদা চারা, ৪০০টি পেঁপে চারা ও ৫ হাজার ওলের চারা লাগানো আছে। খরিপ মৌসুমে ওই বাগানে মটর কলাই বুনেছিলাম। সেখান থেকে সাড়ে ৫ মণ মটর কলাই পেয়েছি। আগামীতে আরও ২ একর জায়গায় থাই লেবুর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।’

নওশের আরও বলেন, ‘এক বছর আগে গাজীপুরের এক ব্যক্তি সরাসরি থাইল্যান্ড থেকে এ চারা এনে বাগান করেন। তার কাছ থেকেই চারা অনেক দামে কিনে আনি। নিজের বাড়ির মধ্যে ৪০ শতক জমিতে ১৭৭টি লেবু চারা রোপণ করি। গাছে ফল আসার পর প্রতি গাছে ২০-২৫টি করে কলম বেঁধে দিয়েছি। সীমাখালী পিয়ারপুর গ্রামের সুলাইমান হোসেনের কাছে ৩৫০টি চারা, পাঁচ কাহুনিয়া গ্রামের কৃষক সৌরভের কাছে ২৭০টি চারা বিক্রি করেছি। এসব চারা ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘নওশের আলী বিভিন্ন ফসলের চাষ করে উপজেলার শ্রেষ্ঠ ও আদর্শ কৃষক হিসেবে বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫টি পুরস্কার পেয়েছেন। নওশের আলী আদর্শ কৃষক হিসেবে ফসল ও ফলের চাষ করার পাশাপাশি মাগুরা-যশোর অঞ্চলের একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করেন।’

Advertisement

জাতীয় পার্টি

‘রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক’

Published

on

রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। রেলের ভাড়ায় রেয়াত তুলে দেয়ার সমালোচনাও করেছেন তিনি। এছাড়া পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের।

শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, রেল সাধারণ জনগণের বাহন। ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম ও নিরাপদ। বর্তমান বাজারে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। তার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক আয় ব্যহত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক। রেলপথে ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসহনীয় কষ্ট সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়ে যাবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে।

তিনি বলেন, যারা রেলপথে চলাচল করে না তাদের জীবনেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করছি রেলের রেয়াত বহাল রেখে সরকার রেলের ভাড়া সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় করে রাখবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ

Published

on

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই। তারা এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে যেতে পারবে, কিন্তু আস্থার সংকট আছে। বন্দনা করা ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে আর কোনো রাজনীতি নেই। একমাত্র বন্দনা করে সংসদে ঢোকা ও নিজের কিছু আখের গোছানো ছাড়া। বললেন, জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে  এসব কথা বলেন ফিরোজ রশিদ।

ফিরোজ রশিদ বলেন, অনেক ছোট দলের কথাও গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। কারণ তাদের রাজনীতি আছে। এজন্য জনগণ জাতীয় পার্টির ওপর মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেনি। কাউকে করতেও বলে নাই। যদি কারও ইচ্ছা থাকে তারা করবে। তাঁর দল স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কা দিয়ে কোন হানাহানিতে যেতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ টিকতে পারবেনা।  স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবেনা। একটি দল ছাড়া অন্য দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।

Advertisement

জাতীয় পার্টির একাংশের এ নেতা বলেন,  আজ অর্থনৈতিক ও ব্যাংক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বড় বড় ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগিয়ে তা গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আজ সংসদে কথা হচ্ছে না।

জাপা নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিই মূল স্রোত।  অচিরেই বুঝতে পারবেন লাঙ্গল কার। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন এ জাপা নেতা।

প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিলের নির্ধারিত পরিচিত সভা স্থগিত করে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ১০টি স্থানে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

‘বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়’

Published

on

স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবিদদের মতামত উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নাম্বারিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। ওই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ ২০২৩ সালে ওই সড়কের ১০ হাজার গাছ কেটেছে বনবিভাগ। সম্প্রতি একই সড়কে আরও ৩ হাজার গাছ কেটেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবিদদের মতামত উপেক্ষা করে ওই সড়কে আরও প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নাম্বারিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে ৯ শতাংশের কম। এভাবে বনাঞ্চল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই দেদারসে কেটে ফেলা হয়েছে হাজার গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতী এমন সিদ্ধান্তে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে। পরিবেশবিদদের মতে, রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। প্রয়োজন হলে গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই কারণে-অকারণে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে দস্তুর মতো ডাকাতি শুরু হয়েছে। বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version