অন্যান্য
অ্যান্টার্কটিকায় সর্ববৃহৎ আইসবার্গ ভাসছে
অ্যান্টার্কটিকায় ভাসছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গ বা হিমশৈল। এটি আকারে দ্বীপরাষ্ট্র পুয়ের্তো রিকোর সমান। অ্যান্টার্কটিকায় বরফ চাঁইটি ভেঙ্গে পড়ার পুরো দৃশ্য ধরা পড়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইটে।
নাসার দাবি, গেল সোম থেকে বুধবারের মধ্যে এটি প্রাকৃতিকভাবে রোন আইস-শেল্ফ থেকে ভেঙ্গে সাগরে ভেসে যায়। বাতাস এবং সাগরের ঢেউয়ের ক্রমাগত ধাক্কা প্রাকৃতিক কারণ হলেও এর জন্য দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছে গবেষকরা।
বিজ্ঞানীরা জানায়, চার হাজার ৩২০ বর্গ ফুট আয়তনের হিমশৈলটি লম্বায় ১৭৫ কিলোমিটার। চওড়ায় ২৫ কিলোমিটার। একে এ-সেভেনটি সিক্স নামকরণ করা হয়েছে। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশৈল ছিল এ২৩এ। তিন হাজার ৩৮০ বর্গফুটের ওই হিমশৈলকে পিছনে ফেলেছে নতুন হিমশৈলটি।
বর্তমানে ওয়েডাল সাগরে আছে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ভাসমান বরফের টুকরো এ২৩এ হিমশৈল। আতঙ্কের বিষয় হলো একই সামুদ্রিক এলাকায় অবস্থান একে এ-সেভেনটি সিক্সেরও। ভবিষ্যতে পণ্য পরিবহনের জন্য পরিচিত এ রুটটিতে হুমকির মুখে পড়বে জাহাজ চলাচল।
অ্যান্টার্কটিকায় আইস-শেল্ফ থেকে হিমশৈল খসে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে গেল কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ বরফ গলতে দেখা গেছে পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল মহাদেশটিতে। এতে ভেঙ্গে যাচ্ছে পাহাড়ে লেগে থাকা বহু হিমবাহ।
এসএন
অন্যান্য
শচীনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মহত্যা
ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নিরাপত্তারক্ষী আত্মহত্যা করেছেন। দেশটিতে ভিভিআইপিদের জন্য যে নির্দিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করে থাকে, সেই দলের অংশ ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রিভলবার গলায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন এই জওয়ান।
নিরাপত্তারক্ষী এই জওয়ানের নাম প্রকাশ কাপড়ে। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে নিজের কাছে থাকা রিভলবারটি দিয়ে গুলি চালিয়ে দেন প্রকাশ। তার পরিবারে বাবা-মা, স্ত্রী, দুই সন্তান, ভাই রয়েছেন।
ভারতের মহারাষ্ট্রের জামনের নামক জায়গায় এই ঘটনাটি ঘটে। রাজ্য পুলিশ ফোর্সের একজন সদস্য ছিলেন প্রকাশ। জামনের থানায় দায়িত্বরত থাকা পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে প্রকাশ এই কাজ করে থাকতে পারেন।
এম/এইচ
অন্যান্য
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে পাস
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে পুনর্বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১০ মে) সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। আর বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক (সদস্য নয়) হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রথমে সংস্থাটির ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হতে হয়। এর পর সেটি সাধারণ পরিষদে পাস হবে। এই প্রস্তাব আবার নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে সেটি আবার আটকে যেতে পারে।
এবার বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার দাবি আরও জোড়ালো হলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।এর আগে গেলো মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন। যেমন, সাধারণ পরিষদের অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের অন্য সদস্যদের মতো একটি আসন পাবে তারা। তবে ভোট প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না।ফিলিস্তিন বর্তমানে একটি নন-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র।
জেএইচ
অন্যান্য
বৃষ্টির সঙ্গে পড়লো অজস্র জীবন্ত মাছ, কেন এমন হয়?
ভারী বর্ষণের পাশাপাশি আকাশ থেকে পড়ছে মাছ। বাতাসের সঙ্গে উড়ে এসে আছড়ে পড়ছে মাটিতে। মাটিতে পড়েই ছটফট করছে।আকাশ থেকে তুলার মতো বরফ পড়ার ঘটনা ঘটেছে। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ‘উল্কাবৃষ্টি’ দেখেছে বিশ্ববাসী। বিরল হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ থেকে মাছ পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কোগিলওয়ে-বোয়ের আহমাদ প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার(৬ মে) ইরানের ইয়াসুজ অঞ্চলের বাসিন্দারা অবাক করা এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির সঙ্গে রাস্তায় পড়া মাছগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ১২ সেকেন্ডের ওই ‘মাছবৃষ্টির’ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় পৌর প্লাজার কাছ থেকে এক ব্যক্তির করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়-রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মাছ। এর মধ্যেই উপর থেকে পড়ছে আরও। ভিডিওকারী ব্যক্তি নিজেই মাটি থেকে একটি মাছ তুলেছেন, সেটি নড়াচড়া করছে। প্রতিটি জীবন্ত মাছের গড় আকৃতি ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি। ইরানে হওয়া এই মাছবৃষ্টির ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
ইরানের এই মাছবৃষ্টির ঘটনা বিশ্বে প্রথম নয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের টেক্সারকানা শহরে মাছবৃষ্টির এমন ঘটনা ঘটে। ওই শহরের বাসিন্দারা ঝড়বৃষ্টি চলাকালীন বাইরে বের হয়ে দেখেন, আকাশ থেকে শত শত মাছ পড়ছে। শুধু মাছ নয়, মাছের সঙ্গে আছে ছোট ব্যাঙ ও ছোট ছোট কাঁকড়াও।
এরও আগে, ২০১৭ সালে মাছবৃষ্টির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অরভিলের জনগণ।
যে কারণে ঘটে ‘মাছবৃষ্টি’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর আগে ‘মাছবৃষ্টির’ ঘটনা ঘটেছে। এটি অনেকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হলেও প্রকৃতিতে এটা স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটে থাকে। বিজ্ঞানীরা বোলছেন, প্রচুর মাছ থাকা কোনো কম গভীরতার জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে যাওয়ার সময় ওই জলাশয়ে থাকা ছোট ছোট মাছ, ব্যাঙসহ আকাশে উঠে ঝড়ের সঙ্গে কয়েক মাইল পর্যন্ত যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলেও মেঘের স্তরের কারণে এরা কিছু সময়ের জন্য আটকে থাকে। ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলে বৃষ্টির সঙ্গে ঝরে পড়ে ওই মাছ, ব্যাঙসহ জলজ প্রাণীগুলো।
‘মাছবৃষ্টি’ নিয়ে হন্ডুরাসে প্রচলিত মিথ”
মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসে ‘মাছবৃষ্টি’ নিয়ে একটি মিথ প্রচলিত আছে। প্রতি বছরের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ‘মাছবৃষ্টি’ হয় বলে দাবি দেশটির অধিবাসীদের।এসময় আকাশ থেকে বৃষ্টিরে সঙ্গে পড়ে মাছ, স্কুইড, ব্যাঙ ইত্যাদি জলজ প্রাণী। স্প্যানিশ ভাষায় এই মাছবৃষ্টিকে বলা হয় ‘জুভিয়া দে পেতেস’।
এক সময় হন্ডুরাসের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করতেন হোসে সুবিরানা নামে এক খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের আশির্বাদেই দেশটিতে মাছবৃষ্টি হয়ে থাকে। ১৮৫৬ সাল থেকে ওই ধর্মযাজক হন্ডুরাসে অসেন এবং ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত দেশটিতে থাকেন। ওইসময় হন্ডরাসের লোকজন দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাতেন। তাঁদের দুর্দশা দূর করতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন ওই ধর্মযাজক। হোসে সুবিরানার প্রার্থনার পরই শুরু হয় মাছবৃষ্টি। এ ঘটনায় ঈশ্বর আকাশ থেকে ‘বৃষ্টির সঙ্গে মাছ’ উপহার দিয়েছেন বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেন হন্ডুরাসের বেশিরভাগ মানুষ।
এমআর//
-
ঢালিউড7 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি
-
অপরাধ5 days ago
পাসপোর্ট করতে বেনজীরের নজিরবিহীন জালিয়াতি, মিথ্যা পরিচয়ে বিশ্বভ্রমণ
-
বাংলাদেশ2 days ago
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যে তোলপাড় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে
-
অর্থনীতি2 days ago
বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম
-
অর্থনীতি2 days ago
বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
-
ঢালিউড5 days ago
নায়ক হয়ে আসছেন মান্নাপুত্র সিয়াম
-
আমদানি-রপ্তানি6 days ago
যে কারণে ক্রেতারা ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে ঝুঁকছে
-
অর্থনীতি2 days ago
ধূমপায়ীদের জন্য আসছে দুঃসংবাদ