Connect with us

ইউরোপ

ফের ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার হামলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন শত শত শহর

Published

on

যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মুখে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো ইউক্রেনজুড়ে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। সোমবার সকালের দিকে রাশিয়ার চালানো এই হামলায় ইউক্রেনের শত শত শহর ও হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন।

আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল বলেছেন, তিনটি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে সারাদেশের শত শত শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

সকালের দিকে কিয়েভের প্রাণকেন্দ্রে অন্তত পাঁচটি হামলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দিনিপ্রোপেৎরোভস্ক এবং সুমি অঞ্চলেও হামলা করেছে রুশ সৈন্যরা। শ্যামিগাল বলেন, রুশ সন্ত্রাসীরা আবারও ইউক্রেনের তিনটি অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামো আক্রমণ করেছে। এর ফলে শত শত বসতি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রাশিয়ার নিন্দা জানানোর পরদিন গেলো বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ৪০টিরও বেশি শহর ও বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। দেশটির কর্মকর্তারা রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এই তথ্য জানান।

Advertisement

সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কিয়েভের মধ্যাঞ্চলে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেনের সৈন্যরা গুলি চালিয়ে রুশ ড্রোন ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে যান। বিস্ফোরণ এবং কমলা রঙের শিখা দেখা যাওয়ার পর সকালের দিকে কিয়েভের আকাশে বিমান-বিধ্বংসী রকেট ছুড়তে দেখা যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে রাশিয়ার হামলায় অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। জরুরি সেবা কর্মীরা আগুন নেভানো চেষ্টা করছেন।

এদিকে, ইউক্রেনে বিপর্যয়ের মুখে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক হামলার হুমকির জেরে সৃষ্ট তুমুল উত্তেজনার পর নিয়মিত পারমাণবিক প্রতিরোধ মহড়া শুরু করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। সোমবার পশ্চিম ইউরোপে শুরু হওয়া এই মহড়া পুরো অক্টোবর জুড়ে চলবে বলে জানিয়েছে ন্যাটো।

তবে ৩০ দেশের এই সামরিক জোট জোর দিয়ে বলেছে, ন্যাটোর নিয়মিত এবং পুনরাবৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করার আগেই এই মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং বর্তমান পরিস্থিতির সাথে এর কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।

মহড়ায় মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান এবং ৬০টির বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। মহড়া চলাকালীন বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর সাগরের আকাশজুড়ে এসব বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।

Advertisement

ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের বিপর্যয়ের কারণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক তর্জন-গর্জন বৃদ্ধি পেলেও মহড়া বাতিলের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। গেলো সপ্তাহে ন্যাটোর এই মহাসচিব বলেন, আমরা যদি এখন হঠাৎ করে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে একটি নিয়মিত, দীর্ঘ-সময়ের পরিকল্পিত মহড়া বাতিল করি, তাহলে সেটি অত্যন্ত ভুল সংকেত পাঠাবে।

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে তীব্র খরায় জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

Published

on

ফিলিপাইনে চলমান অতি তাপপ্রবাহে সেখানকার একটি বিশালাকার কৃত্রিম জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে তীব্র খরার মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠেছে।  তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে পানি সংরক্ষণের জন্য বাঁধ তৈরি করার কারনে পাশের ঐতিহ্যবাহী পান্তাবঙ্গন শহরটি তলিয়ে যায়। সম্প্রতি অতি খরায় ধ্বংসাবশেষটি মানুষের নজরে আসে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্কতম আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে এ বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো বেশী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গায় এখন তীব্র খরা চলছে। কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল চরম তাপদাহে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ ৩০টি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ সীমিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগের চিন্তা প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ায় পদত্যাগ করতে পারেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্বপালন চালিয়ে যাওয়া উচিত হবে কি না সে বিষয়ে খুব শিগগির সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারপ্রধান থাকা উচিত নাকি এই সম্মান ছেড়ে দেয়া উচিত, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য থামতে ও ভাবতে হবে। তিনি আগামী ২৯ এপ্রিল সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং সেই পর্যন্ত নিজের কাজগুলো স্থগিত রাখবেন।

অনলাইন নিউজ সাইট এল কনফিডেনশিয়ালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে বা চুক্তি জিতেছে এমন বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বেগোনা গোমেজের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রতিবেদনে আরও  বলা হয়, এয়ার ইউরোপার মালিকানাধীন স্প্যানিশ পর্যটন গ্রুপ গ্লোবালিয়ার সঙ্গে গোমেজের কথিত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত এই তদন্ত।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পেদ্রো সানচেজের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ডানপন্থি বিরোধী দল পপুলার পার্টি (পিপি)।

তবে সোশ্যালিস্ট নেতা সানচেজ দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘অবাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে’ তৈরি। এটি ‘অতি রক্ষণশীল’ মিডিয়ার নেতৃত্বে এবং রক্ষণশীল ও কট্টর ডানপন্থিদের সমর্থনে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ প্রচারণার অংশ মাত্র।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন পেদ্রো সানচেজ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

ইইউ পার্লামেন্টে শ্রম আইনের নতুন বিল পাস

Published

on

গেলো কয়েক বছর ধরেই শ্রমিকের সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আলোচনায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা। আর সে লক্ষ্যে আইনের দিকে ঝুঁকে নীতি নির্ধারকরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ আইন পাস হলো ইইউ পার্লামেন্টে। পক্ষে ভোটা ৩৭৪টি, ভোট দানে বিরত ছিল ১৯ জন আর বিপক্ষে ভোট পরেছে ২৩৫।

ডিউ ডিলিজেন্স আইনে বলা হয়, দেশে-বিদেশে ইইউর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো, কর্মীর সংখ্যা ১০০০ এর উপরে তারা পরবে নতুন আইনের আওতায়। সেসব করপোরেটদের নিশ্চিত করতে হবে শ্রমিক ও পরিবেশ নিরাপত্তা। নইলে গুনতে হবে জরিমানা।

বাংলাদেশের ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এ বিষয়ে বলেন, ইউরোপের মালিকানাধীন কিংবা অন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান যাদের ১০০০ এর ওপর কর্মী আছে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতা ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো তাদের সবাইকে যদি ইউরোপের বাজারে আগামীতে ব্যবসা করতে হয় তবে নিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার এবং পরিবেশের নিরাপত্তা।

তবে এখনই শ্রম ইস্যুতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতীয় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মনযোগী হবার আহবান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শিল্প কারখানায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের সার্বিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে যদি কোন ইইউ প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয় নিশ্চিত না করে, বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

Advertisement

নতুন আইনটি পাশ হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে আলোচনার শেষে কার্যকর হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান চার্লস।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version