Connect with us

স্বাস্থ্য

এখন থেকে দেশেই হবে লিভার প্রতিস্থাপন

Published

on

দেশেই লিভার প্রতিস্থাপন আরও সহজ হয়ে গেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এ জন্য একটি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ উদ্বোধন করা হয়েছে। এরইমধ্যে ২২ জন লিভার প্রতিস্থাপনের হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনের প্রতিস্থাপনের সময় নির্ধারিত হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, নতুন যে সুপার স্পেলাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে, সেখানে লিভার প্রতিস্থাপনকে গুরুত্ব দিয়ে ১০০টি শয্যা রাখা হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, ‘শিগগির লিভার প্রতিস্থাপন শুরু হবে। এতে রোগীদের জীবন যেমন বাঁচবে, তেমনি বছরে কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ লাখ মানুষ লিভার রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ২৩ হাজার জন। যারা মারা যান, তাদের মধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার রোগীকে লিভার প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব।

সচ্ছল রোগীরা ৩০ লক্ষ থেকে কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে লিভার প্রতিস্থাপন করছেন। কিন্ত অসচ্ছল রোগী লিভার প্রতিস্থাপন করতে না পেরে মারা যাচ্ছে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি বছর ৩৮ থেকে ৪০ হাজার রোগীর লিভার প্রতিস্থাপন হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ছয়টি লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই এর শুরু।

বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে বিএসএমএমইউতে লিভার প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা ও লিভারের জটিল টিউমার অস্ত্রপচার করা হচ্ছে। এজন্য কেবিন ব্লকে মডিউল ওটি, কুসা মেশিনসহ আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, পরিচালক (হাসপাতাল) নজরুল ইসলাম খান।

হেপাটোবিলিয়ারি, পেনক্রিয়াটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, সহযোগী অধ্যাপক সাইফ উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) পবিত্র কুমার দেবনাথও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

রোগব্যাধি

মস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গগুলি কী, কেন হয়?

Published

on

মাথার যন্ত্রণা এখন ঘরে ঘরে, জনে জনে সমস্যা। কোনও আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ এটি হানা দেয়। ওষুধ খাওয়ার পর অবশ্য ধীরে ধীরে ব্যথা মিলিয়েও যায়। দু’দিন যেতে না যেতেই ফের যন্ত্রণা ফিরে আসে। শুধু যে মাথাব্যথা, তা তো নয়। সঙ্গে বমি, চোখের সামনে অন্ধকার দেখার মতো লক্ষণও থাকে। সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মস্তিষ্কে টিউমার হলে এমন হতে পারে।

তবে রোগ শনাক্ত করার জন্য আগে উপসর্গগুলি জানতে হবে।

উপসর্গগুলি কী?

১. এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ তীব্র মাথার যন্ত্রণা। তবে টিউমার হলে মাথাব্যথার ধরনটা অন্য রকম হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা করে।

২. জ্বর বা অন্য কোনও কারণ ছাড়া হঠাৎ হঠাৎ শরীরে কাঁপুনি শুরু হতে পারে। কিছুক্ষণ পর আপনা থেকেই কমে যায়। হজমের সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ বমি পায়।

Advertisement

৩. খুব সাধারণ ও সাম্প্রতিক ঘটনার কথা বেমালুম ভুল হয়ে যাওয়াও রোগের একটি লক্ষণ। কিছুতেই মনে পড়ে না। সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঝিমুনি থাকে, আলস্য লাগে।

৪. মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে, তার উপরেও কিছু কিছু লক্ষণ নির্ভর করে। যেমন, সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দেখতে অসুবিধে হয়। অন্যত্র হলে অন্য সমস্যা তৈরি হয়।

কেন হয় টিউমার?

নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই ব্রেন টিউমারের। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোবাইল ও ইয়ার ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু কিছু রাসায়ানিকের প্রভাবেও ক্যানসার-যুক্ত ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়েটে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও এই রোগ ডেকে আনতে পরে। এ ছাড়া, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্র দিচ্ছে সরকার

Published

on

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় কানে শোনার যন্ত্র ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস’ দিচ্ছে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট।

জানা গেছে, বিনামূল্যে বা আংশিক মূল্যে সার্জারির মাধ্যমে এই ডিভাইস প্রতিবন্ধী শিশুর কানে দেয়া হবে। এ জন্য আগ্রহী অভিভাবকদের আগামী ১৩ জুনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাকারিয়া সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটিতে (জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট) শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সার্জারির মাধ্যমে সরকারি অর্থে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান করা হবে।

আগামী ১৩ জুনের মধ্যে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিভাগ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়েছে, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসটি বরাদ্দ পাওয়া ও সার্জারির মাধ্যমে কানে স্থাপনের জন্য আগ্রহী শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু রোগীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে। ৫ বছরের নিচের শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বিনামূল্যে অথবা আংশিক মূল্যে এই ডিভাইসটি দেয়া হবে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রোগব্যাধি

ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ কি? নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে

Published

on

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা এখন অনেক বেশি বেড়ে গেছে। স্তন ক্যানসার, ব্লাড ক্যানসারের পাশাপাশি ওভারিয়ান (ডিম্বাশয়) ক্যানসারের প্রবণতা প্রবল আকারে বেড়ে গেছে মহিলাদের মধ্যে। তবে কিছু সচেতনতা এবং সাবধানতা বজায় রাখলে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই ক্যানসার থেকে।

ওভারিয়ান ক্যানসার কী?

ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হল এমন একটি ক্যানসার, যা ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়ে খুব তাড়াতাড়ি সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। ডিম্বাশয়ে ডিম্বানুগুলি যখন অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভাবেই ওভারিয়ান ক্যানসার হয়।

ওভারিয়ান ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

এই ক্যানসারকে প্রথমে চিহ্নিত করা অসম্ভব কারণ কোনও উপসর্গ ছাড়াই এই ক্যানসার মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে। তবে কিছু কিছু উপসর্গ এমন আছে যা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ক্যানসার বাসা বেধেছে।

Advertisement

পেটে অতিরিক্ত ব্যথা এবং অস্বস্তি হলে, খিদে না পেলে, অল্প খাওয়ার পর পেট ভরে গেলে, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা, ঋতুচক্রের অনিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘনঘন মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত পানি তেষ্টা, বদ হজম হলে বুঝতে হবে আপনার ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে।

কেন হয় ডিম্বাশয় ক্যান্সার?

মূলত দুইভাবে ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হতে পারে। প্রথমত, যদি পরিবারের কারোর ডিম্বাশয় ক্যানসার হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দ্বিতীয়তঃ শারীরিক সমস্যার কারণে ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকি আরো বেশি বেড়ে যায়।

কীভাবে ডিম্বাশয় ক্যানসার নির্ণয় করবেন?

ডিম্বাশয়ে অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করলে পেলভিক পরীক্ষা করতে পারেন। ডিম্বাশয়ের ছবি তোলার জন্য এমআরআই করতে পারেন। ডিম্বাশয় ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত কিছু প্রোটিন পরীক্ষা করে আপনি দেখতে পারেন আপনার শারীরিক কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা।

Advertisement

ওভারিয়ান ক্যানসারের চিকিসা পদ্ধতি

ডিম্বাশয়, প্রজনন অঙ্গ অথবা প্রভাবিত এলাকা অস্ত্রপ্রচার করে বাদ দিয়ে দিতে হবে। ক্যানসার বৃদ্ধি আটকানোর জন্য হরমোন থেরাপি করতে হবে। প্রয়োজন হলে করতে হবে রেডিয়েশন থেরাপি। চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে।

ডিম্বাশয় ক্যানসারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে

নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। মেনোপজের পর হরমোন থেরাপি করলে হবে না। সুষম খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। এই কটি পদক্ষেপ মেনে চললেই ডিম্বাশয় ক্যানসারের প্রবণতা কমে যাবে অনেকটা।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version