Connect with us

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে বিদায় জানাতে পারেন যারা!

Published

on

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আইসিসির প্রতি মেগা আসরেই দেখা মেলে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো ঝলমল করা এক ঝাঁক উদীয়মান তারকার। পাশাপাশি বয়সের সাথে লড়ে বিশ্ব আসরকে বিদায় জানান বহু ধ্রুবতারা। এ যেন নতুনদের আগমনে পুরোনোদের বিদায়ের এক পরিচিত রুপলেখা।

এবারের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছেন ১৬ দলের মোট ২৪২ জন ক্রিকেটার। তবে সবার অনুভূতি ঠিক একরকম নয়। কারো জন্য এটিই প্রথম, আবার কাউকে টি-২০ এর বৈশ্বিক আসরে দেখা যাবে শেষবারের মত। এমনই পাঁচজন ক্রিকেটার, যারা ওজিদের মাঠেই খেলতে পারে নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ!
বিদায়ের তালিকায় সবার প্রথমে আছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী । আফগানিস্তানের হয়ে ১০১টি টি-২০ খেলে ১৪০.৩৭ স্ট্রাইক-রেটে ১৬৬৯ করেছেন এই অলরাউন্ডার। স্পিন ঘূর্ণিতে ৭.৩০ ইকোনমিতে বল করে উইকেট নিয়েছেন ৮৩টি। তরুণদের সুযোগ করে দিতেই হয়তো এবার থামতে হবে তাকে।

দুই নম্বরে রয়েছে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ঘরের মাঠে এবার অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জিতিয়েই নিশ্চয়ই বিদায়টা রাঙাতে চাইবেন ফিঞ্চ। সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। ১০০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ১৪৪.০২ স্ট্রাইক-রেটে ব্যাট করে ৩০১৩ রান করেছেন এই অজি ওপেনার। ১৮টি অর্ধশতকের পাশাপাশি ২টি শতকও করেছেন তিনি।

বিদায়ের খাতায় কিউই’র আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল। নিউজিল্যান্ডের এই টপ অর্ডার ব্যাটারের টি-২০তে রয়েছে এক বর্ণিল পরিসংখ্যান। ১২২ ম্যাচে ৩১.৮১ গড়ে করেছেন ৩৫৩১ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৩৫.৭০! বাইশ গজে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে গ্যালারি মাত করে রাখা এই ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটারকে হয়তো ২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আর দেখা যাবে না।

ব্যাটারদের ভীড়ে একমাত্র বোলার হিসেবে আছেন ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। তালিকার অন্যদের মতো তারও এবার বেজে যেতে পারে টি-২০ এর বিদায় ঘন্টা। যদিও ভারতের হয়ে টি-২০তে তার ক্যারিয়ার খুব বেশি ঈর্ষনীয় নয়। তবে বল হাতে দলের জয়ে এখনও অব্দি অবদান রেখে চলেছেন এই ডানহাতি অফস্পিনার। এখন পর্যন্ত টি-২০তে ৫৯ ম্যাচে ৬.৮ ইকেনমিতে ৬৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

তালিকার সবশেষে রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। ব্যাটে-বলে সমান পারদর্শী সাকিব শুধু দেশ নয় দেশের বাইরেও তার ক্রিকেটীয় প্রতিভার জন্য বেশ সমাদৃত। বর্তমানে বাংলাদেশ টি-২০ দলের অধিনায়ক সাকিব লাল-সবুজ জার্সিতে ১০৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২৩.৯০ গড়ে করেছেন ২১৯৯ রান। বল হাতেও দুর্দান্ত সাকিব মাত্র ৬.৭৩ ইকেনমিতে বল করে উইকেট নিয়েছেন ১২২টি।

তবে আদৌ তারা এখানেই কি থেমে যাবেন ? নাকি বয়সটাকে শুধু একটি সংখ্যা হিসেবে নিয়েই পাড়ি জমাবেন নতুন কোনো লক্ষ্যে? উত্তরটা দেবে সময়।

ক্রিকেট

মাইকেল ক্লার্কের কাছে বিশ্বকাপ ‘ফেভারিট’ ভারত

Published

on

ছবি; ক্রিকইনফো

ভারতকে ‘ফেভারিট’ মানতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। দর্শকেরা চাইলেই তা করতে পারেন। প্রায় প্রতিবারই দারুণ এক দল গঠন করে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে প্রবেশ করে তারা। আকাশী-নীল জার্সি নিয়ে নানারকম বন্দনা চলতে থাকে চারদিকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এরমধ্যে কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক মুখ খুললেন ভারতকে নিয়ে। আসছে বিশ্বকাপে ভারতের পাল্লা ভারী মনে করেন তিনি। পাশপাশি নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভারত সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠবে বলেও মনে করেন তিনি।

ইএসপিএন ‘এরাউন্ড দ্য উইকেট’ এ কথা বলতে গিয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘আপনি যদি বিশ্বকাপের ‘ফেভারিট’ নিয়ে বলেন, এটা ভারতের দিকেই যাবে। কারণ তারা যে পরিমাণ ক্রিকেট খেলে, তাদের প্রস্তুতি থাকে দুর্দান্ত। ক্যারিবিয়ান ও আমেরিকার কন্ডিশন আলাদা ভারতের জন্য। তবে অনেককিছু মিলও রয়েছে, তাদের খেলোয়াড়দের অভ্যাস হয়ে যাবে।‘

ভারতীয় দলে স্পিনারদের আধিক্য রয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের কন্ডিশনে তাদের ভালো করার সুযোগ বেশি বলেও মনে করেন সাবেক অজি অধিনায়ক ক্লার্ক।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

‘ক্রিকেট আমাদের শক্তি, বেশি মনোযোগে দুর্বল হতে পারে’

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারত সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছে ২০১৩ সালে। এরপর সুযোগ কাছে এলেও আর জেতা হয়নি কোনো শিরোপা। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে নিজেদের ঘরের মাটিতেও ফাইনাল খেলেছে ভারত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হয়নি জেতা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা একবারই ঝুলিতে যায় দলটির, সেটা ২০০৭  সালে। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশা দেখছে ভারতের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।

‘স্টার স্পোর্টস’ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলি ও রিশাব পান্ট কথা বলেছেন। রোহিত জানিয়েছেন, ‘আমরা ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিলাম। এরপর আমরা সব করেছি, কিন্তু এটা জিততে পারিনি। তো আমার মনে হয় আমাদের এবার দারুণ সুযোগ আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’

কোহলি বলেন, ‘যেখানেই ভারত খেলে, সেখানেই প্রত্যাশা থাকে। আমি বলছিনা আশা করা, লোকদের প্রত্যাশা থাকা, এসব বাস্তব নয় বা আমাদের থেকে একটা কিছু চাওয়া। আমাদের দেশে ক্রিকেটকে আলাদাভাবে দেখা যায়। এটা আমাদের শক্তিও। এটা আমাদের দুর্বলতাও হয়ে উঠতে পারে, যদি এখানে আমরা বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলি। আমার মনে হয় আমাদের শক্তির দিকে তাকানো উচিত এবং এখান থেকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি নেওয়া দরকার। আমাদের পেছনে অনেক সমর্থকরা আছেন, যারা চায় আমরা ভালো করি।’

পান্ট জানান, ‘আমি সবসময় দায়িত্ব নেওয়া উপভোগ করি। যখন আমি দলে আসি, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি- তখনই দায়িত্বটা আপনার কাছে আসে।’

আসছে ৫ জুন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ-যাত্রা শুরু করবে ভারত।

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

কারা হবেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট ও রান সংগ্রহকারী, পন্টিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী

Published

on

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর বেশি দূর নয়। দুই দিন বাকি আছে। এর মধ্যে নানা আলোচনা করছেন সাবেকরা। কোন দল কতদূর যাবে বা কোন ক্রিকেটার কত ভালো করবে- সে ব্যাপারে একটা মতামত জারি রাখছেন তারা। এবার সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং জানালেন তার জবান। বিশ্বকাপে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক এবং শীর্ষ রান সংগ্রাহক কে হবেন, এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি।

খেলোয়াড়দের বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় তো থাকে। সাবেক ক্রিকেটাররা অনেক সময় নিজ দেশের প্রতিও পক্ষপাতী করেন অনেক ক্ষেত্রেই। তবে পন্টিংয়ের মতামতকে এখানে পক্ষপাতী মনে করার সুযোগ কম বোধহয়।

জাসপ্রীত বুমরাহকে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক মনে করছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে দেখছেন ট্রাভিস হেডকে। হেডের ক্ষেত্রে কি পক্ষপাতিত্ব ভাবার সুযোগ আছে? আইপিএলের সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তিনি ব্যাট হাতে কী করেছেন, তা সবাই দেখেছে।

একই টুর্নামেন্টে বুমরাহর পারফরম্যান্সটাও দেখার মতো। এই ভারতীয় বোলার ১৩ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ২০ উইকেট। অন্যদিকে ব্যাট হাতে হেড ১৫ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৫৬৭ রান।

আইসিসি রিভিউতে পন্টিং জানান, “টুর্নামেন্টে জাসপ্রীত বুমরাহকে আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে দেখি।“

Advertisement

“সে উইকেট সংগ্রহ করে। সে অনেক কঠিন ওভার করতে পারে। যখন আপনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কঠিন ওভার করতে পারেন, এটা আপনাকে অনেক বেশি উইকেট পাওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। তো আমি তার দিকেই যাচ্ছি।“

এরপর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের কথা বলতে গিয়ে পন্টিং বলেন, “আমি ট্রাভিস হেডকে শীর্ষ রান সংগ্রহকারী মনে করি।“

“আমি শুধু মনে করি, সে যা করেছে গত দুই এক বছরে, এটা কি লাল বল বা সাদা বল হোক। দারুণ মানসম্পন্ন ছিল। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে।“

বাংলাদেশ সময় আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্ব আসর।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version