Connect with us

জাতীয়

দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহারই করবো না: তৌফিক-ই-ইলাহী

Published

on

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কি হবে। এলএনজি এখন আমরা আনছি না। এ সময়ে ২৫ ডলার হিসাব ধরেও যদি এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ৬ মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না- জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনেরবেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া গেলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের ভোলায় কিছু গ্যাস আছে, সেগুলো সিএনজিতে করে নিয়ে আসবো। সেখানে ৮০ এমএমসি গ্যাস আছে। আমরা দু-তিন মাসে সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। অপরদিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাবো। আরও এক হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করবো। তখন অনেকটাই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

তিনি বলেন, আজ যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারাদেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে। আমরা এসি বন্ধ রাখবো বা কম চালাবো। এতে দু-তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। সবাই মিলে যদি রাজি হই লোড কমাবো তাহলে কিছু গ্যাস রিলিজ হবে।

Advertisement

আমরা কৃষি ও ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুৎ বেশি দেয়ার চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করবো। প্রয়োজনে দিনেরবেলা ব্যবহারই করবো না। বিদ্যুৎ যদি আমরা শিল্পে দেই, তাহলে আবাসিকে সাপ্লাই কমাতে হবে। সেটা করলেই আবার মিডিয়ায় অনেকেই অনেক কথা বলবেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, যুদ্ধের সময় তো আমাদের কিছুই ছিল না। তখনও আমরা চলেছি। এখনও পারবো। আমরা শপথ নেবো, দরকার হলে দিনেরবেলা কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী যখন শিল্পকারখানা খুলে দিলেন, তখন অনেক বুদ্ধিজীবী এর বিরোধিতা করেছিলেন। তখন শিল্পকারখানা খুলে দেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। চলমান এই জ্বালানি সংকটে প্রধানমন্ত্রীকে এখন সেই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

জাতীয়

‘জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করলে আরও গ্রহণযোগ্য হবে’

Published

on

জাতীয় নির্বাচন যদি ধাপে ধাপে আয়োজন করা যায় তাহলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে নির্বাচনের আয়োজন করতেও সহজ হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনও নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এটি করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২ জুন) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা টিআইবিকে বলেছি- জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে আরও বেশি সুষ্ঠু করা যাবে। কারণ, তখন আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আরও বেশি পোলিং এজেন্ট মোতায়েন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও তার কয়েকজন সহকর্মী এসেছিলেন। আমরা পুরো কমিশন তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরাই মূলত তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার কারণটা হচ্ছে— প্রায়ই আমাদের মধ্যে এসএমএস (শর্ট ম্যাসেজ) এর মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছিল। তাই আমরা আরও বড় পরিসরে আলোচনা করতেই আজ বসেছিলাম।

বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তাদের মূল দাবিটা ছিল আমরা যেন দ্রুত তথ্য দেই। উনারা (টিআইবি) তথ্যের অবাধ প্রবাহ চাচ্ছেন। যেকোনো তথ্য যেন আমরা ওয়েবসাইটে সাথে সাথে তুলে দেই সেকথা তারা বলেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উনারা বলেছেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছি না।

Advertisement

সিইসি আরও বলেন, টোটাল নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। এবারের নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে ফেয়ার হয়েছে। ইভিএম প্রযুক্তি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এটি নিয়ে অনাস্থা ছিল, এখনও আছে। তবে ইভিএমে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে, এখানের ভোট ওখানে চলে গেছে। ইভিএমকে আরও সহজ করা যেতে পারে।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে বৈঠকে বসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রিজার্ভ চুরির চার্জশিট দেবে কবে, জানালো সিআইডি

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। সম্ভবত আমরা দুই এক মাসের মধ্যে এটার তদন্ত শেষ করে আমরা চার্জশিট দিয়ে দেব। জানালেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আট বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও এখনো সেই আলোচিত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সিআইডি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আসলে সমসাময়িক অনেক বিষয় আছে, আমরা কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি। আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোপূর্বে মাদক ব্যবহারকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসতাম। আমরা এখন স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত যত প্রোপার্টি আছে সেগুলোকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনটা সিজ করেছি।

গেলো এক বছরে কি পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা এক্সাক্টলি আমাদের কাছে ওইভাবে তথ্য নেই। এটা তো বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারব মানি লন্ডারিং রিলেটেড এম এফ এস রিলেটেড যেসব মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক রিকভারিও করেছি। এই রিলেটেড তাদের একাউন্ট সম্পত্তি যা আছে এগুলো আমরা ফ্রিজ করেছি।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রেমালের আঘাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানালেন প্রতিমন্ত্রী

Published

on

দেশের ২০ জেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বললেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি বলেন, আমরা গেলো কয়েকদিন থেকেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরদিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয়দের খোঁজখবর নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণকার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

তিনি বলেন, গেলো কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version