Connect with us

অপরাধ

মামুনুলকে নাশকতার মামলায় পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ

Published

on

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের হরতালে নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কে নাশকতার মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লা থানার ভুইঘর এলাকায় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কার্যালয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৮ মার্চ দলটির হরতাল কর্মসূচিতে সদর উপজেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এ মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ শাখাকে।

তিনি জানান, তদন্তের প্রয়োজনে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় আদালতের আদেশে তিন দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জেলা পুলিশ। প্রত্যেক মামলায় পৃথক তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

Advertisement

নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয়টি মামলার মধ্যে চারটি মামলা হরতালে নাশকতার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়। অপর দুইটি মামলা দায়ের হয় ২ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে মামুনুলের নারী কেলেঙ্কারি ইস্যুতে হেফাজত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নাশকতা ও তাণ্ডব সৃষ্টির ঘটনায়। এর মধ্যে একটি মামলায় মামুনুলকে নাশকতার নেতৃত্বদাতা হিসেবে আসামি করা হয়। অপর মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিসোর্টে আটকে রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

এএ

অপরাধ

তথ্য চুরি করে এনআইডি বিক্রি করতেন ইসির ডাটা অপারেটর

Published

on

নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য চুরি করে টাকার বিনিময়ে  ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে আসছিলেন নির্বাচন কমিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জামাল উদ্দিন। তার সহযোগিতা করতেন লিটন মোল্লা। তাদের প্রধান গ্রাহক ছিলো মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারক চক্রগুলো। তাঁদের তৈরি এনআইডি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নকল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসি প্রধান জানান, কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জামাল  তথ্য চুরি করে হস্তান্তর করতেন লিটনের কাছে। ভুয়া সনদ তৈরির বাকি কাজ করা হতো নিজস্ব ওয়েবসাইটে। জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি ভুয়া জন্মসনদ এবং করোনা টিকার সনদও তৈরি করতো চক্রটি।

আসাদুজ্জামান জানান, আটককৃতরা অর্থের বিনিময়ে জাল এনআইডি, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকা সনদ ও টিন (TIN) সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতেন।

তিনি জানান,  কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী চক্রটি ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের দিতেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিতেন। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বীকার করেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে আটক করে সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের পৃথক দুইটি টিম। চক্রের বাকি সদস্য ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ডাক্তারের সই জাল করে সবকিছু লিখে দিতো মিল্টন সমাদ্দার

Published

on

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ মিডিয়াতে এসেছে তার অধিকাংশই স্বীকার করেছে। তার কাছে আশ্রমে ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতো। জানালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, তার আশ্রমে কোনো ডাক্তার ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে সে নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতো। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করত। তখন মিল্টন তাদেরকে পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।

তিনি বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। সে আমাদেরকে জানিয়েছে, যখন নির্যাতন করা হতো তখন সে ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতো। এতে করে তখন তার কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকতো না। এই কাজটি যে করা টিক হয়নি সেটিও সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, তার এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠা বসা। সে নিজে মনে করতো তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আরও তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসা করা হতে পারে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (৮ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময়  ১৩৭৯ পিস ইয়াবা, ৩২ গ্রাম ৭০ পুরিয়া হেরোইন, ৩ কেজি ৮৩০ গ্রাম গাঁজা ও ৭৯ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version