Connect with us

আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে রূপ, তাণ্ডবে ১১ জনের মৃত্যু

Published

on

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মূল কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ভোলার ওপর দিয়ে চলে গেছে। দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধা ছয়টায় ও মূল কেন্দ্র রাত নয়টায় উপকূলে আঘাত করে।

ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্র উপকূলের ১৫টি জেলার নদ–নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতা নিয়ে বয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার দিবাগত রাত পর্যন্ত কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, শরীয়তপুর, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেশাখালে গাছ উপড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেশাখাল ইউনিনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার।
নিহতরা হলেন, ওই এলাকার নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী সাথি আক্তার ও কন্যাশিশু লিজা। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, এখনও ঝড়ের তাণ্ডব চলছে, তাই ঘটনাস্থলে যেতে পারছি না। শুনেছি ঘরে একজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর দুজন মারা গেছে।

Advertisement

সিরাজগঞ্জে মা-ছেলের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহন ও শিল্পপার্কের মাঝখানে যমুনা নদীর ক্যানেলে সিত্রাংয়ের প্রভাবে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পূর্বমোহনপুর বাড়ি যাওয়ার পথে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, পূর্বমোহনপুর গ্রামের খোকনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (২৮) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (২)।

ভোলায় ৪ জনের মৃত্যু

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চেওয়াখালী গ্রামের মো. মফিজুল ইসলাম (৬০), চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মো. মনির হোসেন (৩০), লালমোহন উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাবেয়া বেগম (২৫) ও দৌলতখান পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাতিজা বেগম (৬০)।

জানা গেছে, সদরের মফিজুল ইসলাম একটি গাছ ভেঙে বসতঘরের ওপরে পড়লে চাপা পড়ে নিহত হন। লালমোহনের রাবেয়া বেগম জোয়ারের পানিতে ডুবে নিহত হন। দৌলতখানের খাতিদা বেগমও ঘরের ওপর গাছ পড়ে চাপায় নিহত হন। এ ছাড়া চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জে মনির মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে শরীরে পড়ে নিহত হন।

Advertisement

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম ভোলা সদর ও দৌলতখানের হতাহতের তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন, চরফ্যাশনে একজন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ঘর পুরো বিধ্বস্ত ও এক হাজারের অধিক ঘর আংশিক বিধস্ত হয়েছে।

এদিকে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, লালমোহনে একজন নিহত হয়েছেন।

বরগুনায় শতবর্ষী বৃদ্ধা নিহত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরগুনার সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকার আমেনা খাতুন নামের শতবর্ষী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে তার ঘরের ওপর গাছ পড়লে ভেতরে চাপা পড়ে তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে বরগুনার সোনাখালী এলাকার

সমাজকর্মী এনামুল হক ওরফে শাহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে তাঁদের এলাকায় নিহত আমেনা খাতুনের বয়স ১০০ বছরের বেশি।

শরীয়তপুরে গাছ পড়ে বৃদ্ধা নিহত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় সাফিয়া খাতুন (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহেল।

নড়াইলে একজনের মৃত্যু

Advertisement

ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে লোহাগড়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন জানান। নিহত মর্জিনা বেগম (৪০) বাগেরহাট সদর উপজেলার অর্জনবাহার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।

এদিকে, প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার দিবাগত রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি রাজধানীর ওপর দিয়ে সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। এ সময় এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলসহ দেশের ১৫টি উপকূলীয় জেলাকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার দিবাগত মধ্যরাতের মধ্যে রাজধানী হয়ে সিলেট দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এ সময় এটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

Advertisement

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাতাসের গতিবেগ ছিল সবচেয়ে বেশি—ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। এ ছাড়া বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে নদ–নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়ে। তবে বাতাসের গতিবেগ কম থাকায় জলোচ্ছ্বাসের গতিবেগও ছিল কম।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এর ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও খুলনার প্রধান সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। এর ফলে এসব এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা অন্যান্য স্থান থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নৌযান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। প্রবল বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ বাস নির্ধারিত সময়ে দক্ষিণের গন্তব্যে রওনা দিতে পারেনি, গাড়ির সংখ্যাও কমে যায়। সেই সঙ্গে উপকূলের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ ছিল না। ফলে উপকূলীয় এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ মুহূর্তে দেশের বেশির ভাগ উপকূলীয় এলাকার মাঠে ছিল আমন ধান ও শীতকালীন আগাম সবজি। উপকূলীয় প্রায় সব জেলায় মাছের ঘের ও পুকুর রয়েছে। ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে ফসলের পাশাপাশি মাছেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কৃষি মন্ত্রণালয় সোমবার (২৪ অক্টোবর) অতিবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য ৮০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ১৫ জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।

Advertisement

সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলসহ সারা দেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শুধু বরিশালে ৩৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ২৯৪, মোংলায় ২১৯ ও খুলনায় ১৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজধানীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ভারী এ বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশির ভাগ সড়কে পানি জমে ব্যাপক দুর্ভোগ দেখা দেয়।

আবহাওয়া

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

Published

on

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২২ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

ধেয়ে আসছে ঝড়বৃষ্টি, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

Published

on

দেশের কয়েকটি স্থানে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২২ মে) ভোর ৫টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা এবং এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এই সময়ে ঢাকা, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বাগেরহাট, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তার লাভ করতে পারে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

Published

on

বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২১ মে) আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপটি তৈরি হলে তা আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। শক্তি সঞ্চয় করলে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এখনই গতিপথ বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য সাগরের পানির তাপমাত্রা যে পর্যায়ে থাকতে হয়, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি তেমনই রয়েছে।

এদিকে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারীসহ, খুলনা-বরিশাল বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ সিলেট বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। এছাড়া অন্যত্র তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version